Advertisement
Advertisement

Breaking News

ব্রেক্সিট

পারলেন না জনসন, ব্রেক্সিট পিছোল ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত

গণভোটের পর কেটে গিয়েছে সাড়ে তিন বছর।

Blow to Johnson, EU agrees to Brexit extension until January 31
Published by: Monishankar Choudhury
  • Posted:October 29, 2019 8:58 am
  • Updated:October 29, 2019 9:00 am

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: আরও তিন মাস ব্রেক্সিট সময়সীমা বাড়িয়ে দিল ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ)। সোমবার তারা এ খবর জানিয়েছে। ব্রিটিশ পার্লামেন্টে গৃহীত প্রস্তাব অনুযায়ী প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন এ বিষয়ে অনুরোধ জানাতে বাধ‌্য হয়েছিলেন। যদিও তিনি তাতে রাজি ছিলেন না। এবার তাঁর ব্রেক্সিট প্রস্তাব নিয়ে পার্লামেন্টে ভোটাভুটির চেষ্টা করবেন জনসন।

গণভোটের পর সাড়ে তিন বছর কেটে গেলেও এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত না হওয়ায় জট বাড়ছে ব্রিটেনের রাজনীতিতে। পার্লামেন্টের প্রস্তাব মেনে তিনি ব্রেক্সিট পিছনোর আবেদন করেছেন। এর বিনিময়ে তাঁর প্রস্তাবিত চুক্তি নিয়ে ১২ ডিসেম্বর ভোটাভুটি করার কথা বলেছেন জনসন। প্রস্তাবের পক্ষে দুই-তৃতীয়াংশ অর্থাৎ ৬৫০ জনের মধ্যে ৪৩৪ জন এমপি-র সমর্থন দরকার।

Advertisement

৩১ অক্টোবর নির্ধারিত সময়সীমার মধ্যে ব্রেক্সিট রূপায়ণের কথা বলে গদিতে বসেছিলেন বরিস জনসন। তিনি ‘ডু অর ডাই’ নীতি নিলেও পার্লামেন্ট ‘ধীরে চলো’র কথা বলে। তাই জনসনের প্রস্তাবিত চুক্তি নিয়ে সহমত না হওয়ায় ব্রেক্সিট পিছিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় ব্রিটিশ পার্লামেন্ট। ইউরোপীয় ইউনিয়নের বর্তমান ২৭টি সদস‌্য রাষ্ট্র সোমবার তাতে সায় দিয়েছে। নতুন সময়সীমা ৩১ জানুয়ারি। তবে তার আগে ব্রিটিশ পার্লামেন্ট একমত হলে, তখনই ব্রেক্সিট রূপায়িত হবে। ইউরোপীয় কাউন্সিলের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড টাস্ক টুইটে এ খবর জানিয়েছেন। তবে ব্রিটেনকে এবার লিখিত প্রস্তাব দিতে হবে। তার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে প্রস্তাব গ্রহণ বা খারিজ করবে ইউরোপীয় ইউনিয়ন। এর আগে ২৯ মার্চ এবং ১২ এপ্রিল ব্রেক্সিট হওয়ার কথা থাকলেও জনসনের পূর্বসূরি টেরেসা মে চুক্তি পাস করাতে না পারায় তা পিছিয়ে যায়।

Advertisement

উল্লেখ্য। কোনওভাবে ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে বেরিয়ে যেতে মরিয়া কনজারভেটিভ পার্টির প্রধান জনসন। আসলে ব্রেক্সিট চুক্তি নিয়ে গোড়া থেকেই বেশ নাকানিচোবানি খেতে হয়েছে ব্রিটেনের নয়া প্রধানমন্ত্রীকে। তাঁর কেরিয়ারের সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জই ছিল এই ব্রেক্সিট। যার জন্যে পূর্বতন প্রধানমন্ত্রী টেরেসা মে’কে পদত্যাগ করতে হয়। এবং ব্রেক্সিটপন্থী হিসেবে ব্রিটেনের শাসনভার তুলে নেন লন্ডনের প্রাক্তন মেয়র বরিস জনসন। ব্রিটিশ পার্লামেন্টে বারবার ব্রেক্সিট চুক্তি পেশ হওয়ার কথা থাকলেও, বিরোধীদের চাপে তা বারবারই পিছিয়ে যাচ্ছিল। ফলে ইউরোপীয় ইউনিয়নে ব্রিটেনের থাকার সময়সীমাও পিছোচ্ছিল। শেষ সময়সীমা দেওয়া হয় ৩১ অক্টোবর।

[আরও পড়ুন: ব্রেক্সিট বিপাকে নাজেহাল জনসন, আরজি বিবেচনা করার আশ্বাস দিল ইইউ]

 

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ