সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: চুক্তিহীন ব্রেক্সিটেই ভরসা রাখতে বলেছিলেন সদ্য নির্বাচিত দেশের প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। একই কথা বলেছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পও। কিন্তু তাতেই সিঁদুরে মেঘ দেখছেন ব্রিটিশ অর্থনীতিবিদরা। একটি সরকারি সূত্র বলছে, খুব শীঘ্রই এমন দিন আসছে যখন ব্রিটেনে জ্বালানি, খাবার এবং ওষুধপত্রের অভাব দেখা যাবে। কারণ, ব্যবসার কাজে ব্যবহৃত ব্রিটেনের ট্রাকগুলিকে আটকাচ্ছে ফ্রান্সের শুল্ক দপ্তর। যে কারণে থমকে যাচ্ছে ব্যবসা।
[আরও পড়ুন: ঘাতক প্লাস্টিক দূষণ, প্রাণ গেল সামুদ্রিক প্রাণী ডুগং মরিয়মের]
ব্রিটেনের এক দৈনিকে প্রকাশিত খবর অনুযায়ী, দেশের প্রায় ৮৫ শতাংশ ট্রাক ব্যবহৃত হয় আমদানি রপ্তানির কাজে। কিন্তু ফ্রান্সের শুল্ক দপ্তরের দৌলতে সেই সব ট্রাক আটকে যাচ্ছে মাঝ রাস্তায়। প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর থেকে জানা গিয়েছে, ৩১ অক্টোবর অবধি এই টানাপোড়েন চলবে। কিছুদিন আগেই টেরেসা মে-র ইস্তফার পর বিশাল ভোটে জিতে প্রধানমন্ত্রী হয়েছেন বরিস জনসন। এই জটিল পরিস্থিতি এড়াতে কী ব্যবস্থার কথা ভাবছে জনসনের মন্ত্রিসভা, সে নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন বিশেষজ্ঞরা। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বরিস জনসনের সামনে রাস্তাটাও খুব মসৃণ হবে না। আসলে চুক্তি ছাড়া ব্রেক্সিট মানেই দেশের অর্থনীতিকে খাদের কিনারে নিয়ে যাওয়া।
চলতি বছর জুলাই মাসে ব্রিটেন সফরে এসে ডোনাল্ড ট্রাম্প সংবাদমাধ্যমকে জানান, ব্রিটেনের সরকার ব্রেক্সিট-মীমাংসার দিকে এগোচ্ছে। তাঁর মতে, এত দিনের আলোচনায় ব্রিটেন ইউরোপীয় ইউনিয়নের হাতেই অনেকটা সুযোগ তুলে দিয়েছে। কূটনৈতিক সৌজন্যের কোনও রকম তোয়াক্কা না করে মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেন, ব্রেক্সিটপন্থী নেতা নাইজেল ফারাজই (যাঁর দল ইউরোপীয় পার্লামেন্ট নির্বাচনে সবচেয়ে বেশি আসন পেয়ে জিতেছিল) ইইউয়ের সঙ্গে মীমাংসা আলোচনায় অনেক বেশি কিছু করে দেখাতে পারেন। তাঁর কথায়, “আমি নাইজেলকে খুবই পছন্দ করি। উনি অনেক কিছু করার ক্ষমতা রাখেন। খুবই বুদ্ধিদীপ্ত ব্যক্তিত্ব। ওরা (ব্রিটেনের সরকার) তো ওঁকে কাজে লাগাবে না, কিন্তু কাজে লাগালে বুঝত, কতটা উপকার হয়েছে। ওরা সেটা এখনও ভেবেই উঠতে পারেনি।”
[আরও পড়ুন: দক্ষিণ কোরিয়ায় ভারতবিরোধী স্লোগান, পাক নাগরিকদের রুখলেন বিজেপি নেত্রী]
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.