Advertisement
Advertisement
UK

খোদ পার্লামেন্টেই নিরাপদ নন ব্রিটিশ মহিলারা! ৪০ ‘কামুক’ পুরুষ এমপির বিরুদ্ধে চাঞ্চল্যকর অভিযোগ

'বিপজ্জনক' এমপিদের 'গোপন তালিকা' ঘিরে শোরগোল।

British MP discloses ‘whisper list’ of 40 'predatory' politicians। Sangbad Pratidin
Published by: Biswadip Dey
  • Posted:November 11, 2022 6:16 pm
  • Updated:November 11, 2022 6:16 pm

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: এর আগে ব্রিটিশ (UK) পার্লামেন্টে বসে পর্ন দেখার অভিযোগ উঠেছিল এক সদস্যের বিরুদ্ধে। তুমুল বিতর্কও হয়েছিল এই কাণ্ড ঘিরে। কিন্তু এবার এক মহিলা সদস্য শার্লট নিকোলাস দাবি করলেন, পার্লামেন্টে ৪০ জন এমপির (British MP) একটি ‘গোপন তালিকা’ রয়েছে। মহিলাদের সতর্ক করে দেওয়া তাঁদের সম্পর্কে। জানিয়ে দেওয়া হয় এঁদের থেকে সাবধানে থাকে। স্বাভাবিক ভাবেই এহেন চাঞ্চল্যকর দাবি ঘিরে বিতর্ক ছড়িয়েছে।

কী বলেছেন লেবার পার্টির ওই সদস্য? শার্লট জানিয়েছেন, তালিকার একটা বড় অংশই মহিলাদের হেনস্তা করা ও তাঁদের সঙ্গে অশালীন আচরণ করার অভিযোগে কুখ্যাত। তাঁর কথায়, ”আমাকে বলা হয়েছে, আমি যেন ওঁদের থেকে কোনও ড্রিঙ্ক না নিই কিংবা লিফটে না উঠি। সোজা কথায়, আমি যেন এড়িয়ে চলি।” তবে তালিকায় কারা আছেন, সেই নাম পরিষ্কার করেননি তিনি। কিন্তু জানিয়েছে, এঁদের মধ্যে দু’জন ক্যাবিনেটের সদস্য।

Advertisement

[আরও পড়ুন: ইউক্রেনের ভারতীয় পড়ুয়ারা পড়াশোনা শেষ করুক রাশিয়ায়, ‘বন্ধু’ ভারতকে প্রস্তাব মস্কোর]

স্বাভাবিক ভাবেই প্রশ্ন ওঠে, এই ধরনের অভিযোগ থাকা সত্ত্বেও কী করে পার্লামেন্টে রয়ে গিয়েছেন ওই এমপিরা? এপ্রসঙ্গে শার্লট জানাচ্ছেন, ”এটা আমরা সবাই জানি। কিন্তু কিছুই হয়নি। ওঁরা আমাদের আশপাশেই ঘুরে বেড়ান, নিজেদের কাজ করেন। এভাবেই চলছে।” তিনি সরাসরি জানাচ্ছেন, এই পরিস্থিতিতে তিনি আদৌ ‘নিরাপদ’ অনুভব করছেন না পার্লামেন্টে।

Advertisement

সদ্যই ব্রিটেনের নতুন প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব সামলাতে শুরু করেছেন ঋষি সুনাক (Rishi Sunak)। আর এই সময়ই প্রকাশ্যে এল এমন বিস্ফোরক দাবি। ইতিমধ্যেই এক বর্ষীয়ান আমলাকে হেনস্তার অভিযোগে বিদ্ধ হয়ে পদত্যাগ করেছেন সুনাকের ক্যাবিনেটের সদস্য গেভিন উইলিয়ামসন। এবার দেখার শার্লটের এই বিবৃতির পরে সুনাক কোনও সিদ্ধান্ত নেন কিনা।
যৌন হেনস্তা ও শক্তির অপব্যবহার ব্রিটেনের পার্লামেন্টে নতুন কিছু নয়। এর আগে খোদ ব্রিটেনের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনকেও এই সমস্যায় পড়তে হয়েছে। বিতর্কিত এমপি ক্রিস পিঞ্চারকে নিজের সরকারে গুরুত্বপূর্ণ পদে বসিয়েছিলেন বরিস। আর সেই কারণেই গণ ইস্তফার পথে হাঁটেন এমপিরা।

[আরও পড়ুন: মুক্তি পেয়ে গেল রাজীব হত্যায় দোষী নলিনী-সহ ৬, সাজা মকুব সুপ্রিম কোর্টের]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ