সুকুমার সরকার, ঢাকা: আসন্ন সাধারণ নির্বাচনের দায়িত্বে থাকবে তত্ত্বাবধায়ক সরকার। অবশেষে বিরোধীদের দাবি মেনে এমনটাই ঘোষণা করল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার। বুধবার এই সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছেন বাংলাদেশের পরিবহণ মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
[পক্ষপাতিত্বের অভিযোগে মানবাধিকার পরিষদ থেকে সরে দাঁড়াল আমেরিকা]
এদিন সচিবালয়ে পরিবহণ ও সেতু মন্ত্রকের আধিকারিকদের সঙ্গে ইদ পরবর্তী বৈঠকে বসেন পরিবহণ মন্ত্রী। তারপরই সাংবাদিক সম্মেলনে তিনি জানান, অক্টোবরে গঠিত হবে তত্ত্বাবধায়ক সরকার। নির্বাচনের তারিখ ঘোষণার সঙ্গেই রাশ ধরবে নয়া সরকার। তবে ‘সাপ ও মরল লাঠিও ভাঙল না’ কায়দায় তিনি জানান, শাসকদলই নির্বাচনে তত্বাবধায়ক সরকার গড়বে। তবে কিছুটা রদবদল হতে পারে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মন্ত্রিসভায়। তবে সমস্ত প্রক্রিয়া প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশেই করা হবে।
উল্লেখ্য, নির্বাচন চলাকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবি জানিয়ে আসছে বিরোধীরা। দাবি না মানা হলে আন্দোলনের হুমকিও দিয়েছে খালেদা জিয়ার দল বিএনপি। এই দাবিতে ২০১৪ সাল থেকে নির্বাচন বয়কট করে আসছে বেগম জিয়ার দল। এবারও বিরোধী দল সেই পথেই হাঁটতে পারে। এহেন পরিস্থিতিতে কী পদক্ষেপ নেবে সরকার? এই প্রশ্নের উত্তরে ওবায়দুল কাদের জানান, চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবেন প্রধানমন্ত্রী। সমস্ত প্রক্রিয়া নির্বাচন কমিশন দেখবে। একাধিক দল নির্বাচনে অংশ নেবে ফলে একতরফা ভোটের কোনও প্রশ্ন নেই। এক্ষেত্রে বিএনপি ভোটের লড়াইয়ে না নামলে সংবিধান লঙ্ঘনের অভিযোগ ওঠার কারণ নেই।
উল্লেখ্য, চলতি বছরের শেষের দিকেই জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে চলেছে বাংলাদেশে। ভোট প্রক্রিয়া চলাকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবি জানিয়ে আসছে বিএনপি। কয়েকদিন আগেও এই দাবি মানা হবে না বলে সাফ জানিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তারপরই এই সিদ্ধান্ত উসকে দিয়েছে জল্পনা। বিশ্লেষকদের একাংশের মতে, এক ঢিলে দুই পাখি মেরেছেন হাসিনা। একদিকে বিএনপি-র দাবি মানা হয়েছে, আবার ক্ষমতাও বর্তমান সরকারের হাতেই থাকবে। সব মিলিয়ে আসন্ন নির্বচনে পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে উঠার আশঙ্কা রয়েছে।
[OMG! রাশিয়ায় বিশ্বকাপের জন্য কাজ হারিয়েছেন কয়েক হাজার শ্রমিক]
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.