Advertisement
Advertisement

ভারতকে চাপে রাখতে পাকিস্তানে দ্বিতীয় সামরিক ঘাঁটি গড়ছে চিন

আমেরিকাকেও পালটা চাপ, চিনা মুদ্রায় বাণিজ্য চালিয়ে যাবে পাকিস্তান।

China constructing military base near Chabahar Port
Published by: Sangbad Pratidin Digital
  • Posted:January 6, 2018 4:45 am
  • Updated:January 6, 2018 4:45 am

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: এবার সরাসরি ভারতের বিরুদ্ধে সংঘাতে যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে চিন। ইরানে ভারতের চাবাহার বন্দরের খুব কাছে পাকিস্তানে একটি সেনাঘাঁটি তৈরি করছে বেজিং। বলাই বাহুল্য এতে ইসলামাবাদের প্রত্যক্ষ মদত রয়েছে। পাকিস্তান চায়, প্রয়োজনে তাদের দেশের মাটি ব্যবহার করে ভারতকে ডরাক চিন। চাপে থাকুক নয়াদিল্লি। তার উপর রয়েছে আমেরিকার চাপ। সন্ত্রাস প্রসঙ্গে পাকিস্তানকে আর এক কানাকড়িও দেবেনা না বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প

[নয়াদিল্লির উসকানিতেই বন্ধ মার্কিন অনুদান, ভারতকে তীব্র আক্রমণ পাকিস্তানের]

পয়লা জানুয়ারি ট্রাম্পের হুমকির পরই আরও কাছাকছি চলে এসেছে চিন ও পাকিস্তান। পাক বিদেশমন্ত্রী খোয়াজ আসিফ সাফ জানিয়েছেন, আমেরিকাকে ছাড়াও যে টিকে থাকা যায় সেটাই এবার দেখিয়ে দেবে পাকিস্তান। এবার কাজেও তার প্রতিফলন ঘটল। চিনের সরকারি সংবাদমাধ্যম গ্লোবাল টাইমস জানিয়েছে, এবার থেকে চিনা মুদ্রাতেই চিন-পাক দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য ও লেনদেন চলবে। পাশাপাশি পাকিস্তানে পরিকাঠামো গড়ে তুলতে ৫০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার বিনিয়োগও করবে চিন।

Advertisement

[মোদির কূটনৈতিক ‘সার্জিক্যাল স্ট্রাইক’, চিনা সাবমেরিন ঠাঁই পেল না লঙ্কায়]

তবে ভারতের মাথাব্যথা বাড়িয়েছে চিনের সামরিক পদক্ষেপটি। ইরানের চাবাহারের খুব কাছে আর একটি সেনাঘাঁটি তৈরি করছে চিন। যেখান থেকে লাগোয়া সামদ্রিক অঞ্চলে শাসন চালানো যাবে। ঠিক এই একই কারণে ভারত কোটি কোটি মার্কিন ডলার বিনিয়োগ করে চাবাহার বন্দর তৈরি করে ব্যবহার করতে শুরু করেছে। আর এবার তার কাছেই, ওমান উপসাগরের জিওয়ানিতে দ্বিতীয় সেনাঘাঁটিটি তৈরি করছে বেজিং। এখন থেকে বালোচিস্তানের গ্বদর বন্দরের দূরত্বও খুব বেশি নয়। যত দ্রুত সম্ভব চিনের দ্বিতীয় সেনাঘাঁটিটি এখানেই গড়ে উঠুক, চায় পাকিস্তান। চিনের দ্বিতীয় সেনাঘাঁটি প্রসঙ্গে দক্ষিণ এশিয়ার সামরিক বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ‘চিন ও পাকিস্তান এই মুহূর্তে যৌথ সামরিক ঘাঁটি গড়ে তুলতেই পারে, কিন্তু এই অশান্ত পরিস্থিতিতে এই পদক্ষেপের প্রয়োজন ছিল না।’

Advertisement

[ভারতের লগ্নিতে ইরানে চালু চাবাহার বন্দর, ঘুম ছুটেছে চিন-পাকিস্তানের]

এদিকে চিন তাদের সামরিক ঘাঁটি বাড়িয়েই চলেছে। প্রথমে আফ্রিকার জিবৌতিতে আর এবার পাকিস্তানে। মুখে অবশ্য এগুলিকে সামরিক ঘাঁটি বলতে নারাজ বেজিং। তাঁদের সরকারি আধিকারিকরা বলেন, এগুলি সবই লজিস্টিক সাপোর্ট সেন্টার, মূলত জলদস্যুদের পরাস্ত করতে। কিন্তু কোন সংগঠনের জলদস্যুদের পরাজিত করতে অ্যান্টি-ট্যাঙ্ক গাইডেড মিসাইল, ডিফেন্স সিস্টেম বা মাঝআকাশে ধেয়ে আসা মিসাইল ধ্বংস করার মতো অত্যাধুনিক সামরিক সরঞ্জাম লাগে? উপরের দুটি সেনাঘাঁটিই শুধু নয়, শ্রীলঙ্কার হামবানতোতা বন্দরটিও ৯৯ বছরের জন্য লিজ নিয়েছে চিন।

[পাকিস্তানে চিনের গ্বদরের জবাবে ইরানে চাবাহার গড়ছে ভারত]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ