Advertisement
Advertisement
China encroaches into Nepal territory

বন্ধুত্বের পুরস্কার! ফের নেপালের জমি দখল করে বিল্ডিং বানাল চিন

৩০ আগস্ট থেকে ৯ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ৯টি বিল্ডিং তৈরি করেছে ড্রাগন।

China encroaches into Nepal territory, constructs 9 buildings । Sangbad Pratidin

৩০ আগস্ট থেকে ৯ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ৯টি বিল্ডিং তৈরি করেছে ড্রাগন।

Published by: Soumya Mukherjee
  • Posted:September 21, 2020 12:35 pm
  • Updated:September 21, 2020 12:39 pm

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: নেপালকে তিব্বত বানানোর সবরকম চেষ্টা চালাচ্ছে চিন। ওলি প্রশাসন যখন বন্ধু বেজিংয়ের উসকানিতে ভারতের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নিচ্ছে তখন নেপালের জমি দখল করে অবৈধভাবে নির্মাণের কাজ শুরু করে দিয়েছে চিন। সম্প্রতি নেপালের সংবাদমাধ্যমে এই ঘটনার কথা প্রকাশ পেতেই ওলি প্রশাসনের উপরে ক্ষুব্ধ সাধারণ মানুষ।

নেপালের সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুযায়ী, কিছুদিন ধরে হুমলা (Humla) অঞ্চলের লাপচা-লিমি (Lapcha-Limi) এলাকায় চিনের প্রশাসন অবৈধভাবে বিল্ডিং তৈরি করছে বলে অভিযোগ জানাচ্ছিলেন স্থানীয় বাসিন্দারা। এরপরই হুমলা জেলার সহকারী জেলা আধিকারিক দলবাহাদুর হামাল (Dalbahadur Hamal) ওই এলাকা পরিদর্শন করতে যান। গোটা এলাকা ঘুরে দেখার পরই জানা যায়, আন্তর্জাতিক সীমান্ত পেরিয়ে নেপালের এক কিলোমিটারের মধ্যে ঢুকে বেশ খানিকটা জায়গা নিয়ে ৩০ আগস্ট থেকে ৯ সেপ্টেম্বরের মধ্যে ৯টি বিল্ডিং তৈরি করেছে চিন।

Advertisement

[আরও পড়ুন: হোয়াইট হাউসে বিষ ভরতি চিঠি কে পাঠিয়েছিল? প্রকাশ্যে চাঞ্চল্যকর তথ্য ]

এপ্রসঙ্গে পরিদর্শনকারী দলে থাকা নেপালের এক আধিকারিক বলেন, ‘আমরা প্রথমে লাপচা-লিমি এলাকা চিন একটি বিল্ডিং তৈরি করেছে বলে খবর পেয়েছিলাম। কিন্তু, গোটা এলাকা দূর থেকে ঘুরে থেকে আরও আটটি নতুন বিল্ডিং দেখতে পেয়েছি। ইতিমধ্যে এই বিষয়ে সম্পূর্ণ রিপোর্ট নেপালের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক ও বিদেশ মন্ত্রকের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে।’

Advertisement

গত জুন মাসে নেপালের ভূমি ও কৃষি মন্ত্রক থেকে প্রকাশিত একটি রিপোর্টে জানা যায়, ডোলাখা, গোর্খা, দারচুলা, হুমলা, সিন্ধুপালচক, সঙ্খুওয়াভা ও রাসুয়া জেলার বেশ কয়েকটি গ্রাম ও ফাঁকা এলাকায় নিজের আধিপত্য বিস্তার করেছে চিন। ডোলাখা জেলায় আন্তর্জাতিক সীমান্ত থেকে দেড় হাজার মিটার ভিতরে ঢুকে এসে নেপালের বিস্তীর্ণ অঞ্চল নিজেদের দখলে এনেছে তারা। এমনকী ওই জেলার করল্যাং এলাকার একদম শীর্ষে যে ৫৭ নম্বর সীমান্ত পিলারটি ছিল সেটি অনেকটি ভিতরে এনে পুঁতে দিয়েছে। প্রধানমন্ত্রী ওলিকে বিষয়টি জানানো হলেও চিনের কমিউনিস্ট পার্টির কুনজরে পড়ার ভয়ে এনিয়ে তিনি কোনও উচ্চবাচ্য করছেন না বলে অভিযোগ। উলটে এই বিষয় খবর প্রকাশ করায় নেপালের জনপ্রিয় এক সাংবাদিককে খুনও করা হয়।

[আরও পড়ুন: বাড়ছে সংঘাত, ভারতীয় দূতাবাসের দায়িত্বপ্রাপ্ত কূটনীতিককে ভিসা দিল না পাকিস্তান]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ