Advertisement
Advertisement

Breaking News

Russia-Ukraine

যুদ্ধের মাঝেই রাশিয়া-ইউক্রেন সফরে চিনা রাষ্ট্রদূত, কোন ছক বেজিংয়ের?

পাশাপাশি তিনি ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের দেশগুলোতেও সফরে যাবেন।

China envoy will visit Russia-Ukraine amid war। Sangbad Pratidin

চিনের রাষ্ট্রদূত লি হুই

Published by: Suchinta Pal Chowdhury
  • Posted:February 28, 2024 6:09 pm
  • Updated:February 28, 2024 6:10 pm

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: তিন বছর পূর্ণ হয়েছে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের। এখনও থামেনি রক্তক্ষয়ী লড়াই। একে অপরকে আক্রমণ শানাচ্ছে দুদেশেই। এই আবহে চলতি সপ্তাহে যুদ্ধরত দুটি দেশে যাচ্ছেন চিনের রাষ্ট্রদূত লি হুই। এই সফরে তিনি মস্কো ও কিয়েভের সঙ্গে চলমান সংঘাত নিয়ে কথা বলবেন। পাশাপাশি তিনি ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের দেশগুলোতেও সফরে যাবেন। বিশেষজ্ঞদের মতে, লড়াই থামানোর নামে ‘বন্ধু’ রাশিয়াকে সাহায্য করতে হয়তো নতুন কোনও কৌশল নিয়েছে কমিউনিস্ট দেশটি।    

বুধবার লি হুইয়ের আসন্ন সফরের কথা ঘোষণা করেছে বেজিং। এবিষয়ে একটি বিবৃতি দিয়ে চিনের বিদেশমন্ত্রী ওয়াং ই জানান, “দ্বিতীয় দফায় ইউক্রেনযুদ্ধে রাজনৈতিক নিষ্পত্তি ঘটানোর লক্ষ্যে এই সফরের পরিকল্পনা করা হয়েছে। লি হুই রাশিয়া, ইউক্রেনের পাশাপাশি ফ্রান্স, জার্মানি, পোল্যান্ডেও যাবেন।” এদিন সরকারিভাবেও জানানো হয়, “এই মুহূর্তে শান্তি ফিরিয়ে আনাই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।” চিনের বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র বলেন, “গত দুবছরে আমরা যুদ্ধ থামাতে একাধিক পদক্ষেপ করেছি। আমরা আমাদের চেষ্টার কোনও খামতি রাখিনি। এখন আমাদের একটাই লক্ষ্য, এই যুদ্ধ থামাতে ঐক্যমত গঠন করা। শান্তি চুক্তির পথ প্রশস্ত করা।”

Advertisement

[আরও পড়ুন: প্রথম ভারতীয় হিসেবে নাইটহুড! সুনীল ভারতী মিত্তলকে খেতাব রাজা তৃতীয় চার্লসের]

উল্লেখ্য, গত বছরেও রাশিয়া-ইউক্রেন সফরে গিয়েছিলেন লি হুই। মস্কো ও কিয়েভের মধ্যে মধ্যস্থতা করেছিলেন। কিন্তু তাতে খুব একটা লাভ কিছু হয়নি। এখনও এই যুদ্ধের কোনও রফাসূত্র মেলেনি। কিন্তু চিনের এই পদক্ষেপে বিরুদ্ধে সরব হয়েছিল পশ্চিমের দেশগুলো। তাদের বক্তব্য ছিল, চিন ‘পলিটিক্যাল সেটেলমেন্ট’-এর কথা বলছে। কিন্তু এর মাধ্যমে রাশিয়া আরও বেশি করে ইউক্রেনের এলাকাগুলো কবজা করে নেবে। যদিও চিনের তরফে সব সময় বলা হয়েছে, দুদেশের এই যুদ্ধে বেজিং নিরপেক্ষ অবস্থানে রয়েছে। কিন্তু ইউক্রেনে রুশ সামরিক অভিযান নিয়ে কোনও মস্কোর নিন্দা করেনি বেজিং।

Advertisement

বলে রাখা ভালো, গত বছর অক্টোবরে চিন সফরে গিয়েছিলেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। এবার মস্কোতে যাচ্ছেন চিনা রাষ্ট্রদূত। বিশ্লেষকদের মতে, যুদ্ধের ময়দানে মস্কোর উপর চাপ বাড়াচ্ছে ইউক্রেন। অত্যাধুনিক অস্ত্রশস্ত্র দিয়ে কিয়েভকে সাহায্য করছে আমেরিকা। তাই এবার চিনের থেকেও অত্যাধুনিক সমরাস্ত্র চাইতে পারে ক্রেমলিন। এই সফরে সেনিয়েও আলোচনা হতে পারে। আমেরিকাকে চাপে ফেলতে যুদ্ধের ময়াদনে ‘বন্ধু’ রাশিয়াকে সাহায্য করতে পারে চিনও। 

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ