Advertisement
Advertisement
চিন

পাকিস্তানের সঙ্গে জৈব অস্ত্রের ভাণ্ডার গড়ছে চিন, নিশানায় ভারত

অ্যানথ্রাক্স-সহ বেশ কিছু মারাত্মক জীবাণু নিয়ে চলছে গবেষণা।

China joins hands with Pakistan to boost bio-warfare capabilities
Published by: Monishankar Choudhury
  • Posted:July 24, 2020 12:00 pm
  • Updated:July 24, 2020 12:04 pm

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ভারতকে কোণঠাসা করতে পাকিস্তানের (Pakistan)সঙ্গে ভয়ংকর ষড়যন্ত্র রচনা করছে চিন (China)। হাড়হিম করা এক রিপোর্ট মতে ভারতের বিরুদ্ধে হাতে হাত মিলিয়ে জৈব অস্ত্রের ভাণ্ডার গড়ে তুলছে দুই পড়শি দেশ।

[আরও পড়ুন: ‘চরবৃত্তি ও তথ্যচুরির কেন্দ্র হিউস্টনের চিনা দূতাবাস’, তোপ মার্কিন বিদেশ সচিবের]

প্রতিরক্ষা বিষয়ক পত্রিকা ‘The Klaxon’-এ প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ভারত ও ইউরোপের দেশগুলির বিরুদ্ধে জৈব অস্ত্র তৈরি করতে অ্যানথ্রাক্স-সহ বেশ কিছু মারাত্মক জীবাণু নিয়ে যৌথভাবে গবেষণা চালাচ্ছে পাকিস্তান ও চিন। ইতিমধ্যে পাক সেনার সামরিক গবেষণা শাখা Defense Science and Technology Organization-এর (DESTO) সঙ্গে একটি গোপন চুক্তি করেছে Wuhan Institute of Virology (এই ল্যাব থেকেই প্রথম করোনা ছড়ায় বলে অভিযোগ)। নিজের প্রতিবেদনে অ্যান্টনি ক্লান দাবি করেছেন, মারাত্মক ছোঁয়াচে রোগ ও করোনার মতো সদ্য আবিষ্কৃত ভাইরাসগুলিয়েক নিয়ে গবেষণা করছে পাক সেনা ও চিনা ফৌজ। জীবাণুগুলিকে নিয়ন্ত্রণে এনে কীভাবে তা শত্রু দেশের উপর হামলা চালানোর কাজে ব্যবহার করা যেতে পারে, সেই বিষয়ে মূলত গবেষণা চালানো হচ্ছে। তবে সবথেকে আশঙ্কার বিষয়টি হল, করোনা আবহে আন্তর্জাতিক মঞ্চের ভয়ে অন্য দেশে গোপনে জৈব হাতিয়ারগুলি প্রয়োগ করে দেখতে পারে চিন। ফলে সংক্রমণ ছড়ালেও সরাসরি বেজিংকে কেউ দায়ী করতে পারবে না।

Advertisement

এক সূত্রকে উদ্ধৃত করে পত্রিকাটি দাবি করেছে, ইতিমধ্যে পাকিস্তানকে জৈব অস্ত্র নির্মাণে বেশ কিছু মারাত্মক ভাইরাস দিয়েছে চিনের ইউহানের গবেষণাগার। সেগুলি মধ্যে সবথেকে ঘাতক হচ্ছে Bacillus Anthracis (অ্যানথ্রাক্স) ও acillus Thuringiensis (অ্যানথ্রাক্স-এর সঙ্গে মিল থাকা) নামের দু’টি জীবাণু। ওই জীবাণুগুলি কীভাবে সংরক্ষণ করতে হয় এবং প্রয়োজনে গবেষণাগারে আরও বেশি করে তৈরি করা যায় সেই প্রযুক্তিও ইসলমবাদকে দিয়েছে বেজিং। এই অস্ত্র ভাণ্ডারের মূল নিশানা হচ্ছে ভারত ও ইউরোপ চিনের বিরোধী দেশগুলি। উল্লেখ্য, লাদাখে চিনা আগ্রাসন চলাকালীন জম্মু-কাশ্মীর সীমান্তে সেনা বৃদ্ধি করে পাকিস্তান। দুই দেশ যে মিলিতভাবে ভারতের বিরুদ্ধে নয় ফ্রন্ট খুলেছে তা অজানা নয়। কিন্তু পূর্ব লাদাখে নয়াদিল্লির লড়াকু মনোভাব আঁচ করতে পেরে সরাসরি সংঘাতের পথে না গিয়ে এবার পড়শি পাকিস্তানকে দিয়ে চাপ সৃষ্টি করার চেষ্টা করছে বেজিং।

Advertisement

[আরও পড়ুন: এক রাষ্ট্র হোক ইজরায়েল-প্যালেস্টাইন, জল্পনা উসকে মন্তব্য জর্ডনের প্রধানমন্ত্রীর]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ