Advertisement
Advertisement

Breaking News

মোদির সঙ্গে দক্ষিণী ব্যঞ্জন খেলেও পাকিস্তানকে ৩০০টি ট্যাঙ্ক দিচ্ছেন চিনা প্রেসিডেন্ট

প্রযুক্তি হস্তান্তরের বিষয়েও রাজি হয়েছে চিন।

China to supply 300 modern VT-4 tanks to Pakistan Army
Published by: Monishankar Choudhury
  • Posted:October 12, 2019 9:57 am
  • Updated:October 12, 2019 3:16 pm

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক:  ভারত সফরে আগত চিনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের জন্য শুক্রবার বিশেষ একটি নৈশভোজের আয়োজন করেছিলেন স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। আর সেখানে জিনপিংয়ের রসনা তৃপ্তিতে কার্যত কোনও কসুরই বাকি ছিল না। তবে বিশেষ করে দক্ষিণী কুইজিনের সঙ্গে জিনপিংয়ের পরিচয় করিয়ে দিতে শুক্রবারের নৈশভোজে ছিল হরেক রকমের জিভে জল আনা দক্ষিণী খাবার। তবে ভারতে উদরপূর্তি করলেও পাকিস্তানের থালায় ৩০০টি অত্যাধুনিক ট্যাঙ্ক পরিবেশন করতে চলেছেন চিনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং।

[আরও পড়ুন: শিল্পে অশনি সংকেত, উৎপাদন হার দাঁড়াল মাইনাসের খাতায়]

Advertisement

জানা গিয়েছে, ইসলামাবাদের বায়না মতো পাক সেনার হাতে ৩০০টি ‘ভিটি-৪’ ট্যাঙ্ক তুলে দেবে বেজিং। শুধু তাই নয় প্রযুক্তি হস্তান্তরের বিষয়েও রাজি হয়েছে চিন। ফলে এবার পাকিস্তানেই তৈরি হবে ওই ট্যাঙ্কগুলি। উল্লেখ্য, তুরস্কের আলতে, দক্ষিণ কোরিয়ার কে-২, রাশিয়ার টি-৯০ ও চিনা ভিটি-৪ ট্যাঙ্কে আগ্রহ প্রকাশ করেছিল ভারতীয় সেনা। তবে ভারতের হাতে টি-৯০ রয়েছে এবং বাকীগুলির তুলনায় চিনা ট্যাঙ্ক অনেকটাই সস্তা। ফলে শেষমেশ ভিটি-৪ কেনার সিদ্ধান্ত নেয় পাকিস্তান। শুধু তাই নয় কয়েকদিন আগেই চিনের গানসু প্রদেশে সামরিক মহড়া করে পাক সেনা ও লালফৌজ। বিশ্লেষকদের মতে, ভারতকে চাপে রাখতে পাকিস্তানকী সামরিক মদত দেবে চিন। ফলে কূটনৈতিক স্তরে দিল্লি-বেজিং আলাপ-আলোচনা হলেও ভারতকে যে কোনও পরিস্থিতির জন্য তৈরি থাকতে হবে।

Advertisement

উল্লেখ্য, বছর দেড়েক আগে চিনের ইউহান শহরের নয়নাভিরাম রিসর্টে আদতে যা ছিল দুই দেশের রাষ্ট্রপ্রধানের ঘরোয়া পরিবেশে বৈঠকী আড্ডার রেশ ধরেই গতকাল দিল্লি এসেছেন শি। ভারত-চিন সম্পর্ক মজবুত করার যে চিনা উদ্যোগ শুরু হয়েছিল চিনের ইউহানে, সেই রেশ জিইয়ে থাকল তামিলনাড়ুর মামাল্লাপুরমেও। কূটনৈতিক সূত্রের খবর, কাশ্মীর, আকসাই চিন, অরুণাচল সীমান্ত, ডোকলাম, তিব্বত, দক্ষিণ চিন সাগর, জিনজিয়াং, উইঘুর, তাইওয়ান, হংকং সহ সাম্প্রতিককালের সবগুলি আলোচিত,দমন ইত্যাদি ইস্যুগুলি নিয়ে বেশি জোর দেবেন এবং আলোচনা করবেন। সেখানে হয়তো তাল কাটতে পারে ভিন্ন দৃষ্টিভঙ্গী নিয়ে। কারণ চিন পাকিস্তানের স্বার্থে কাশ্মীর ইস্যু তুলতে পারে। পালটা মোদিও হয়তো চিনের জিনজিয়াংয়ে মানবাধিকার লঙ্ঘন, পাকিস্তানের সন্ত্রাস ইত্যাদি প্রসঙ্গ তুলতে পারেন। তবে অস্বস্তি এড়াতে মূল ফোকাস থাকবে বাণিজ্যিক ও বিনিয়োগ নিয়ে আলোচনাতেই। এর মদ্যেই সবচেয়ে চমকপ্রদ ঘটনা হল, মোদি ও জিনপিংয়ের মধ্যে সন্ধে সাতটায় শুরু হওয়া নৈশভোজ ও আড্ডা চলে প্রায় তিন ঘণ্টা।

[আরও পড়ুন: নজরে ‘ড্রাগন’, বাংলাদেশ উপকূলে অত্যাধুনিক রাডার বসাচ্ছে ভারত]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ