৭ চৈত্র  ১৪২৯  বুধবার ২২ মার্চ ২০২৩ 

READ IN APP

Advertisement

ভারত মহাসাগরে লালফৌজের উপস্থিতিতে চরম উদ্বিগ্ন ওয়াশিংটন

Published by: Sangbad Pratidin Digital |    Posted: May 6, 2017 7:55 am|    Updated: May 6, 2017 7:55 am

China's presence in IOR fueling concern: US

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: পরিকল্পনা শেষ। এবার সাজানো হচ্ছে ঘুঁটি। হিসেবনিকেশ অন্তে বুলির থেকে বন্দুকই যে বেশি কার্যকর তা স্পষ্ট। একদা ‘ইম্পেরিয়াল’ সাম্রাজ্যগুলির পদতলে পিষ্ট চিন আজ মাওয়ের মতবাদে উদ্বুদ্ধ হয়ে ধারণ করেছে বিশাল সর্বগ্রাসী ড্রাগনের রূপ। নাৎসি জার্মানির হাতে পোল্যান্ড ও চেকোস্লোভাকিয়ার ধর্ষণের মতোই লাল চিনের হাতে সম্ভ্রম খুইয়েছে তিব্বত। এবার সেই ড্রাগনের নজর পড়েছে ভারত মহাসাগরে। এশিয়া মহাদেশে আধিপত্যের লড়াইয়ে চিন যে ভারত-সহ কাউকেই রেয়াত করবে না তা কমিউনিস্ট দেশটির সাম্প্রতিক উসকানিমূলক কার্যকলাপে স্পষ্ট।

[আমেরিকাকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে দক্ষিণ চিন সাগরে অস্ত্র মোতায়েন বেজিংয়ের]

ভারত মহাসাগরে চিনের সন্দেহজনক গতিবিধি নিয়ে এবার চরম উদ্বেগ প্রকাশ করেছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। চিনের ‘ওয়ান বেল্ট ওয়ান রোড’ প্রকল্পের পেছনে লুকিয়ে থাকা কূট অভিসন্ধি জানতে পেরে দুশ্চিন্তায় পড়েছে ট্রাম্প প্রশাসন। ভারতীয় সামরিক আধিকারিকদের সঙ্গে এক আলোচনার পর শুক্রবার ইউএস প্যাসিফিক ফ্লিটের কমান্ডার অ্যাডমিরাল স্কট সুইফট জানিয়েছেন, ভারত মহাসাগরে লালফৌজের রণতরীর গতিবিধি অস্বাভাবিক বেড়ে গিয়েছে। চিনের এই গতিবিধি তুলে ধরছে বেশ কিছু প্রশ্ন। ওই এলাকায় স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে ভারত ও আমেরিকাকে এক হয়ে কাজ করতে হবে।

[টিকা এবং টুপির মধ্যে ভেদাভেদ করবে না সরকার, মন্তব্য যোগীর]

উল্লেখ্য, চিনকে রুখতে ভারতকেই হাতিয়ার করতে চাইছে আমেরিকা। বছরের শুরুতেই মার্কিন প্যাসিফিক কমান্ডের প্রধান অ্যাডমিরাল হ্যারি হ্যারিস জানিয়েছিলেন, একটি চুক্তি স্বাক্ষর করে ভারত ও আমেরিকা চিনা যুদ্ধজাহাজ ও সাবমেরিনের উপর যৌথভাবে নজরদারি চালাতে পারে। চলতি বছরের জুলাই মাসেই বঙ্গোপসাগরে যৌথ মহড়ায় নামছে ভারত ও আমেরিকার নৌসেনা। থাকছে জাপানও। আগ্রাসী চিনকে ঠেকানো ও কড়া বার্তা দেওয়াই এই মহড়ার উদ্দেশ্য বলে মনে করছেন প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞরা।

[শুধু ফাঁসি নয়, ওদের পুড়িয়ে মারা হোক, বলেছিলেন নির্ভয়া]

প্রসঙ্গত, দক্ষিণ চিন সাগরের উপর আধিপত্য বজায় রাখার চেষ্টায় ক্রমশ সংঘাতের দিকে এগোচ্ছে আমেরিকা ও চিন৷ এনিয়ে বেজিংকে প্রচ্ছন্ন হুমকিও দিয়েছে ওয়াশিংটন৷ এক বিবৃতিতে হোয়াইট হাউস স্পষ্ট জানিয়েছিল যে, আমেরিকা দক্ষিণ চিন সাগরে নিজের এবং আন্তর্জাতিক অধিকার ও স্বার্থ রক্ষা করতে বদ্ধপরিকর৷

Sangbad Pratidin News App: খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
নিয়মিত খবরে থাকতে লাইক করুন ফেসবুকে ও ফলো করুন টুইটারে