Advertisement
Advertisement

Breaking News

China

অরুণাচল সীমান্ত ঘেঁষেই বেজিং থেকে লাসা পর্যন্ত ছুটবে চিনের বুলেট ট্রেন

প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর দ্রুত পরিকাঠামো তৈরি করছে চিন।

Chinese high-speed bullet train near Arunachal sparks concern in India | Sangbad Pratidin
Published by: Monishankar Choudhury
  • Posted:March 13, 2021 2:45 pm
  • Updated:March 13, 2021 4:11 pm

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর দ্রুত পরিকাঠামো তৈরি করছে চিন (China)। লাদাখ থেকে অরুণাচল প্রদেশ পর্যন্ত সড়ক, সেতু, রেলপথ গড়ে পরিবহণ ব্যবস্থা রীতিমতো মজবুত করে তুলেছে দেশটি। এবার অরুণাচলের গা ঘেঁষেই বেজিং থেকে তিব্বতের লাসায় ছুটবে বুলেট ট্রেন।

[আরও পড়ুন: চিনা আগ্রাসন রুখতে ভারতেই আস্থা QUAD গোষ্ঠীর, বাইডেনের সঙ্গে আলোচনা মোদির]

চিন রেল সংস্থার প্রধান লু ডংফু জানিয়েছেন, ২০১৪ সাল থেকে বুলেট ট্রেন প্রকল্পের কাজ শুরু হয়েছিল। তিব্বতের লাসা থেকে অরুণাচল সীমান্তের কাছে চিনের নিংচি পর্যন্ত মিলবে পরিষেবা। ৪৩৫ কিলোমিটার লম্বা এই রুটটিতে তিব্বতের (Tibet Autonomous Region) প্রথম ইলেকট্রিক ট্রেন পরিষেবা শুরু হতে চলেছে। উল্লেখ্য, অরুণাচল সীমান্ত থেকে নিংচির দূরত্ব খুব বেশি হলে ৫০ কিলোমিটার। অর্থাৎ ভারতের ঘাড়ের উপরই তৈরি হয়েছে এই রুটটি। যদিও যাত্রীবাহী পরিষেবার জন্যই এই পরিকাঠামো তৈরি বলে দাবি চিনের, প্রতিরক্ষা বিশ্লেষকরা বিষয়টি নিয়ে উদ্বিগ্ন। আগামী জুন মাস থেকে লাসা-নিংচি বুলেট ট্রেন চললে মুহূর্তের নির্দেশে অরুণাচল সীমান্তে সেনাদল পাঠাতে সক্ষম হবে লালফৌজ। ফলে যুদ্ধের পরিস্থিতিতে ভারতীয় সেনার প্রতিরক্ষা সমীকরণ পালটে দিয়ে যাত্রীবাহী ট্রেনে তিব্বত থেকে বিশাল সেনাদল বুলেট ট্রেনে পাঠিয়ে দিতে পারে চিনা ফৌজ।

Advertisement

উল্লেখ্য, গালওয়ান উপত্যকায় লালফৌজের সঙ্গে ভারতীয় সেনার সংঘর্ষের পর থেকেই রণনীতি পালটেছে সাউথ ব্লক। পাকিস্তান ভিত্তিক ‘ইনফ্যান্টরি ফর্মেশন’ ছেড়ে ড্রোন ও উন্নতমানের মিসাইল প্রযুক্তি তথা পাহাড়ে যুদ্ধের কৌশল ঝালিয়ে নিচ্ছে ভারত। ভারতীয় সমর বিশেষজ্ঞদের মতে, এতদিন ভারতীয় সেনার রণনীতি ছিল পাকিস্তান (Pakistan) কেন্দ্রিক। যা ‘কোল্ড স্টার্ট ডক্ট্রিন’ নামে পরিচিত। সোজা কথায়, বিশাল ট্যাংক বাহিনীর সঙ্গে হাজার হাজার সৈনিক নিয়ে রাজস্থানের মরু অঞ্চল বা পাঞ্জাবের সমতল থেকে হামলা চালিয়ে পাকিস্তানকে দু’ভাগে ভাগ করে ফেলা। কিন্তু লাদাখ বা অরুণাচলের পাহাড়ি অঞ্চলে তা কাজ করবে না। ফলে সময় ও পরিস্থিতির দাবি মেনে চিন কেন্দ্রিক সমরকৌশল তৈরি করা উচিত। এর অন্যথায় ভবিষ্যতে ফের খেসারত দিতে হতে পারে দেশকে।

Advertisement

[আরও পড়ুন: অর্থনীতির হাল বেহাল, আমিরশাহী ১০০ কোটি ডলার ফেরত চাওয়ায় আরও বিপাকে পাকিস্তান]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ