Advertisement
Advertisement

হংকং যেন আগ্নেয়গিরি, ভয়ে শহর ছাড়ছে চিনা পড়ুয়ারা

ক্রমেই বাড়ছে চিন বিরোধী প্রতিবাদের মাত্রা। 

Chinese students leave Hong Kong as education institutes burn
Published by: Monishankar Choudhury
  • Posted:November 15, 2019 11:19 am
  • Updated:November 15, 2019 11:19 am

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ‘হংকংয়েই লুকিয়ে সাফল্যের চাবিকাঠি।’ মূল ভূখণ্ডের চিনা পড়ুয়াদের মধ্যে প্রচলিত এই প্রবাদ। ফলে প্রতি বছরই ওই শহরের বিশ্ববিদ্যালয়গুলির দরজায় লম্বা লাইন পড়তে দেখা যায়। উদারপন্থী ও অনেকটাই পাশ্চাত্য ঘেঁষা শিক্ষা ব্যবস্থার দরুণ চিনা যুবকদের ‘ড্রিম ডেস্টিনেশন’ হংকং। তবে এবার পরিস্থিতি পালটেছে। শহরজুড়ে চলা টানা বিক্ষোভের আঁচ পড়েছে বিশ্ববিদ্যা;লগুলিতে। ক্রমেই বাড়ছে চিন বিরোধী প্রতিবাদের মাত্রা। ফলে ত্রস্ত হয়েই হংকং ছাড়ছেন মূল ভূখণ্ডের চিনা ছাত্ররা।

সংবাদ সংস্থা রয়টার্স সূত্রে খবর, পুলিশ ও বিক্ষোভকারীদের সংঘর্ষে রণক্ষেত্রে পরিণত হয়েছে হংকংয়ের বিশ্ববিদ্যালয়গুলি। চিনা শাসনের বিরুদ্ধে বিপুল জনমত তৈরি হওয়ার পাশাপাশি বাড়ছে গণতন্ত্রের দাবি। একই সঙ্গে চিনের ভূখণ্ডের নাগরিকদের প্রতি বিদ্বেষ বাড়ছে হংকংবাসীর একটি বিশাল অংশের মধ্যে। ফলে শহরের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ছেড়ে অপাতত পার্শ্ববর্তী শেনঝেন শহরে বহলে এসেছেন কয়েক হাজার চিনা পড়ুয়া। সংবাদমাধ্যমের প্রশ্নের উত্তরে ফ্র্যাঙ্ক নামের ২২ বছরে এক পড়ুয়া বলেন, ‘আমাদের বিরুদ্ধে ওদের বিদ্বেষ চূড়ান্ত পর্যায়ে পৌঁছে গিয়েছে। কখন কী ঘটবে কিছুই বুঝতে পারছি না। তাই ভাবছি আর ফেরত যাব না।’ আরও এক পড়ুয়া জানান, মাঝপথে বিশ্ববিদ্যালয় ছেড়ে চ্ছলে আশায় পড়াশোনা প্রায় শিকেয়। অনেকেই হয়তো পরীক্ষায় বসার সুযোগও পাবেন না। ফলে কার্যত অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে তাঁদের ভবিষ্যত। সরকারি পরিসংখ্যান মতে, হংকংয়ে প্রায় ১০ লক্ষ চিনা নাগরিক রয়ছে। এদের মধ্যে প্রায় ১২ হাজার পড়ুয়া।

Advertisement

গত মাসেই বিতর্কিত প্রত্যর্পণ বিল রদ করার কথা ঘোষণা করেন হংকংয়ের নিরাপত্তা মন্ত্রী জন লি৷ তবে এতেও থামেনি বিক্ষোভ৷ পালটা গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার দাবিতে আরও জোরদার হয়ে উঠে আন্দোলন৷ উল্লেখ্য, গত এপ্রিল মাসে ‘2019 Hong Kong extradition bill’ নামের একটি বিল আনে ক্যারি ল্যামের প্রশাসন৷ বিলটি আইনে পরিণত হলে অপরাধীদের চিনের হাতে সঁপে দেওয়ার ক্ষমতা চলে আসত হংকং প্রশাসনের হাতে৷ গণতন্ত্রের বারুদে এই প্রস্তাবই কার্যত স্ফুলিঙ্গের কাজ করে৷ প্রবল জনমত বিস্ফোরণ ঘটে স্বায়ত্বশাসিত প্রদেশটিতে৷ কম্যুনিস্ট চিনের শৃঙ্খল ভেঙে ফেলতে রাস্তায় নেমে পড়েন লক্ষ লক্ষ মানুষ৷ তারপর থেকেই চলছে বিক্ষোভ৷ পুলিশ দিয়ে লাঠি চালিয়ে, টিয়ার গ্যাস ছুঁড়েও নিয়ন্ত্রণে অন্য যায়নি৷ শুধু বিল রদ নয়, আর একগুচ্ছ দাবি তোলেন প্রতিবাদীরা৷ জার মধ্যে রয়েছে মুখ্য প্রশাসক ক্যারি ল্যামের ইস্তফারও দাবিও৷

[আরও পড়ুন: বিক্ষোভে উত্তাল হংকং, অন্তঃসত্ত্বার মুখে পিপার স্প্রে পুলিশের]

 

২০২৪ এর পূজা সংক্রান্ত সমস্ত খবর জানতে চোখ রাখুন আমাদের দেবীপক্ষ -এর পাতায়।

চোখ রাখুন
Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement