Advertisement
Advertisement

Breaking News

জমি হারাচ্ছে হেজবোল্লা, প্রচণ্ড বিক্ষোভে উত্তাল লেবানন

'রাজনেতারা নিপাত যাক', স্লোগান দিচ্ছে প্রতিবাদীরা।

Cops roaming in 'Mufti' on Kolkata roads to trace banned crackers
Published by: Monishankar Choudhury
  • Posted:October 26, 2019 4:28 pm
  • Updated:October 26, 2019 4:28 pm

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মধ্যপ্রাচ্যে শান্তি সেই অর্থে কোনওকালেই ছিল না। প্রায় পাঁচ দশক আগে ইজরায়েলের জন্মে তা নয়া মাত্রা পায়। তারপর থেকেই চলছে ইহুদি ও আরবদের মধ্যে লড়াই। যার ফলে মাঝে মাঝেই লেবাননের খ্রিস্টান ও মুসলিমদের মধ্যে দাঙ্গা বাঁধে। এবারও কার্যত গৃহযুদ্ধের দিকে এগোচ্ছে ভূমধ্যসাগরের তীরে অবস্থিত ক্ষুদ্র দেশটি। সরকার বিরোধী- বলা ভাল রাজনেতা বিরোধী আন্দোলনে উত্তাল হয়ে উঠেছে লেবানন। দুর্নীতিতে অভিযুক্ত হেজবোল্লা প্রধান হাসান নাসরুল্লাহর বিরুদ্ধেও চড়ছে সুর।

বিগত কয়েক দশক ধরে লেবাননে অঘোষিত সরকার চালাচ্ছে ইরানের মদতপুষ্ট শিয়া মিলিশিয়া (সশস্ত্র সংগঠন) হেজবোল্লা। ইজরায়েলের বিরুদ্ধে জেহাদ, তাদের জীবনশক্তি এবং জীবিকা দুই-ই। লেবাননের নির্বাচিত সরকার থাকলেও ক্ষমতার রাশ বরাবরই নাসরুল্লাহর হাতে। তবে সম্পূর্ণ অপ্রত্যাশিতভাবে এবার আঘাত এসেছে সেই শাসনতন্ত্রে। প্রায় নয় মাস ধরে চলা ‘দর কষাকষি’র পর চলতি বছরের শুরুতেই লেবাননে অবশেষে সরকার গঠন হয়। প্রধানমন্ত্রী পদে বসেন সাদ হারিরি। তবে বছর না ঘুরতেই নয়া সরকারের বিরুদ্ধে একের পর এক দুর্নীতির অভিযোগ উঠতে শুরু করে। উন্নয়ন তো দূর অস্ত, দুর্নীতির জেরে দেশটির ভেঙে পড়া আর্থিক কাঠামো আরও গুঁড়িয়ে গিয়েছে। ফলে সমস্ত রাজনেতাদের পদত্যাগ চেয়ে রাজধানী বেইরুটের রাস্তায় নেমেছেন লক্ষ লক্ষ মানুষ। এই আন্দোলনে যতটা রাজনেতারা বিপাকে পড়েছেন, তার চাইতে অনেক বেশি বেকায়দায় পড়েছে হেজবোল্লা। কারণ দুর্নীতিতে নাম জড়িয়েছে সংগঠনটির প্রধান নাসরুল্লাহর বিরুদ্ধে। লেবাননে অসীম ক্ষমতার অধিকারি হেজবোল্লা প্রধানের বিরুদ্ধে এই প্রথম জনমত গড়ে উঠতে দেখা গেল। অন্যান্য বারের মতো গোষ্ঠীভিত্তিক পতাকা নয়। লেবাননের জাতীয় পতাকা হাতে রাস্তায় নেমেছে প্রতিবাদীরা।

Advertisement

এদিকে, ইতিমধ্যেই সিঁদুরে মেঘ দেখতে শুরু করেছেন হাসান নাসরুল্লাহ। শুক্রবার, দেশ গৃহযুদ্ধের দিকে এগোচ্ছে বলেও হুঁশিয়ারি দিয়ে ফেলেছেন তিনি। এই বিক্ষোভকে হাতিয়ার করছেন ইজরায়েল, পরোক্ষে এমনটাই ইঙ্গিত দিয়েছেন তিনি। এখানে বলে রাখা ভাল, লেবাননে মুসলিম, খ্রিস্টান, দ্রুজ সম্প্রদায়ের মানুষের বাস। প্রায়শই তার নিজেদের পতাকা নিয়ে বিক্ষোভে নামে। কিন্তু নজিরবিহীনভাবে করবৃদ্ধি ও মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে এবার বিভেদ ভুলে সবাই সুরে সুর মিলিয়েছে। ফলে হেজবোল্লার পতাকা ছেড়ে লেবাননের পতাকা নিয়েই ভাষণ দিয়েছেন হাসান। শনিবারও বেইরুটে হেজবোল্লার একাধিক গড়ে চলছে বিক্ষোভ। অনেক ক্ষেত্রেই প্রদর্শনকারীদের নেতৃত্বে রয়েছে খ্রিস্টানরা। ‘ইয়ম কিপুর’ যুদ্ধের সময় থেকেই লেবানিজ খ্রিস্টানদের অস্ত্র ও মদত জুগিয়ে আসছে ইজরায়েল। এবারেও এর অন্যথা হবে না। হেজবোল্লাকে বিপাকে ফেলতে তেল আভিভের প্রধান অস্ত্র খ্রিস্টান মিলিশিয়া। এহেন পরিস্থিতে সরকার বিরোধী বিক্ষোভ ‘জায়নিস্ট রেজিমের’ কাজ আরও সহজ করল বলেই মনে করা হচ্ছে।

Advertisement

[আরও পড়ুন: ‘শ্বাস নিতে পারছি না মা’, লন্ডনের অভিশপ্ত ট্রাক থেকে শেষ মেসেজ তরুণীর]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ