Advertisement
Advertisement

Breaking News

সোনার খনিতে করোনা

ভূগর্ভেও করোনার থাবা! পৃথিবীর গভীরতম সোনার খনিতে কাজে নেমে আক্রান্ত শতাধিক শ্রমিক

লকডাউনের পর খনির কাজ শুরু হলেও সংক্রমণের জেরে তা ফের বন্ধ।

Coronavirus outbreak in South African city Johannesburg closes the deepest gold mine
Published by: Sucheta Sengupta
  • Posted:May 25, 2020 4:16 pm
  • Updated:May 25, 2020 4:17 pm

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সুড়ঙ্গেও নোভেল করোনা ভাইরাসের থাবা! দক্ষিণ আফ্রিকায় পৃথিবীর গভীরতম সোনার খনি পোনেংয়ের অন্তত ১৬৪ জন শ্রমিক করোনা আক্রান্ত হওয়ায় কাজের জন্য তা খুলেও ফের বন্ধ করে দেওয়া হল। সূত্রের খবর, এই শ্রমিকদের কারোরই কোনও উপসর্গ ছিল না। স্রেফ নিরাপত্তার স্বার্থে পরীক্ষা করানোর পর বোঝা যায়, তাঁদের শরীরে বাসা বেঁধেছে COVID-19। এঁদের সকলকে আইসোলেশনে রাখা হয়েছে বলে জানিয়েছেন খনির মালিক অ্যাংলো গোল্ড আশান্তি।

বিশ্বজুড়ে ছড়িয়ে পড়া করোনা সংক্রমণ থেকে নিরাপদে থাকতে বিভিন্ন দেশের মতো দক্ষিণ আফ্রিকাতেও লকডাউনের জেরে সব বন্ধ ছিল। এখানকার সোনার খনিগুলোতেও কাজ হয়নি। মে মাসের শুরুতে লকডাউন ওঠায় নিয়ম মেনে ৫০ শতাংশ শ্রমিক নিয়ে কাজ শুরু হয়। জোহানেসবার্গ থেকে প্রায় ৭৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমের পোনেং নামে সোনার খনিতেও সোনা উত্তোলনের কাজে নামেন শ্রমিকরা।

Advertisement

[আরও পড়ুন: গতি মন্থর করোনার, নিউ ইয়র্কে দৈনিক মৃত্যুর সংখ্যা নামল একশোর নিচে]

বলা হয়, এই পোনেং নাকি পৃথিবীর গভীরতম খনি। ভূপৃষ্ঠ থেকে থেকে এর গভীরতা অন্তত ৪ কিলোমিটার। এখানেই কাজ করতে নেমেছিলে শতাধিক শ্রমিক। কারও শরীরেই করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার কোনও উপসর্গ ছিল না। কিন্তু খনিতে নামার পরপরই তাঁদের করোনা পরীক্ষা হওয়ায় ধরা পড়ে, ১৬৪জন আক্রান্ত। এরপর আরও অন্তত ৬৫০ জনের পরীক্ষা হয়েছে। এমন ব্যাপক হারে সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ায় খনি কর্তৃপক্ষ দ্রুত কাজ বন্ধ করে দিয়েছে। খনিমুখ-সহ গোটা এলাকা স্যানিটাইজেশনের কাজ চলছে। উদ্বেগ বেড়েছে।

Advertisement

[আরও পড়ুন: পিপিই’র নিচে স্পষ্ট ফুটে উঠেছে অন্তর্বাস, নার্সের পোশাক দেখে তাজ্জব নেটদুনিয়া]

এই মুহূর্তে দক্ষিণ আফ্রিকার করোনা পরিস্থিতি মোটেই ভাল নয়। আক্রান্ত এবং মৃত্যুর হারে আফ্রিকা মহাদেশের মধ্যে এই দেশই প্রথম। লকডাউন উঠে কাজ শুরু করার পর এত শ্রমিকের করোনায় আক্রান্ত হওয়া তারই একটা প্রমাণ। যদিও সূত্রের খবর, এর আগে দক্ষিণ আফ্রিকার এক প্ল্যাটিনাম খনি থেকে ছড়িয়ে পড়েছিল COVID-19 সংক্রমণ। তারপর সোনার খনি। আর সংক্রমণ রুখতে হলে একে একে খনিগুলি বন্ধ করে দিতে বাধ্য হচ্ছে কর্তৃপক্ষ। মূলত ভূগর্ভ থেকে সোনা, হিরে, প্ল্যাটিনামের মতো বহুমূল্য রত্ন উত্তোলন এ দেশের অর্থনীতিকে অনেকটাই ধরে রেখেছে। কিন্তু সাম্প্রতিক পরিস্থিতিতে সেই উত্তোলনের কাজ বন্ধ থাকবে দেশের অর্থনীতিতে অনেকটাই প্রভাব পড়বে বলে আশঙ্কা ওয়াকিবহাল মহলের।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ