সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: পাহাড় টলল বুঝি? আন্তর্জাতিক কূটনৈতিক বিশেষজ্ঞদের মত অন্তত সেরকমটাই। হবে না-ই বা কেন! ‘চক্ষুশূল’ কিম জং উনের সঙ্গে কথা বলায় কোনও আপত্তি নেই বলে জানিয়েছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। শীতকালীন ওলিম্পিক সংক্রান্ত আলোচনায় প্রায় দু’বছর পর আগামী ৯ জানুয়ারি দক্ষিণ ও উত্তর কোরিয়ার প্রতিনিধিদের সামনাসামনি বসার কথা। তা নিয়েও যথেষ্ট আশাবাদী ট্রাম্প। তাঁর মতে, এই আলোচনায় ইতিবাচক কিছু ঘটলে তা মানবজাতির পক্ষে সহায়ক।
[ফিরলেন পাকিস্তানে নিযুক্ত প্যালেস্টাইনের রাষ্ট্রদূত, দাবি পাক মিডিয়ার]
উত্তর কোরিয়ার প্রেসিডেন্টের প্রতি মার্কিন প্রেসিডেন্টের এই নরম সুর ঠিক যেন হজম হচ্ছে না বিশেষজ্ঞদের। সাপ-নেউল কি তবে এবার অন্য প্রবাদ গড়তে চলেছে? ভাবনায় আন্তর্জাতিক রাজনীতি। টুইটারে কিমকে ‘রকেট ম্যান’ বলেন ট্রাম্প। তার প্রতিবাদে ট্রাম্পকে ‘ভীমরতিগ্রস্ত বৃদ্ধ’ বলে আক্রমণ করেন উত্তর কোরিয়ার একনায়ক। ক্ষেপণাস্ত্র নিয়ে কবজির জোর দেখান। ছেড়ে কথা বলেননি মার্কিন প্রেসিডেন্টও। টুইটে হুঁশিয়ারি দেন, “আমার বোতাম আরও বড় ও শক্তিশালী।” গত এক সপ্তাহে ট্রাম্প-কিমের ‘তু তু ম্যায় ম্যায়’-র বল গড়িয়েছে এক কোর্ট থেকে অন্য কোর্টে। টুইটারে তাঁদের ফলোয়ার বা নন ফলোয়ার- প্রত্যেকেই ঘাড় ঘুরিয়ে উপভোগ করেছেন সেই খেলা। সোশ্যাল মিডিয়াতেও ভাইরাল হয়েছে সেই সংক্রান্ত হাসির চুটকি, জিআইএফ, মিম ইত্যাদি। এমন ‘রণং দেহি’ পরিস্থিতিতে ট্রাম্প যে কিমের সঙ্গে কথা বলার ইচ্ছে প্রকাশ করে বসবেন-তার জন্য প্রস্তুত ছিল না বিশ্ব রাজনীতি। তবে বরাবরই খেলার মোড় ঘোরাতে সিদ্ধহস্ত রাজনীতির বাইশ গজ। রবিবারের ঘটনা নতুন করে তা প্রমাণ করল।
[তাইল্যান্ডে পুরুষাঙ্গ ফর্সা করার হিড়িক, ভাইরাল ভিডিও]
এই মুহূর্তে মেরিল্যান্ডের ক্যাম্প ডেভিডে ছুটি কাটাচ্ছেন ট্রাম্প। সেখানেই সাংবাদিকরা ছেঁকে ধরেন তাঁকে। কিমের সঙ্গে ভবিষ্যতে রফার কোনও সম্ভাবনা রয়েছে কি না জিজ্ঞেস করেন। উত্তরে অকপট মার্কিন প্রেসিডেন্ট। বলেন, ‘‘আমি সবসময় কথা বলায় বিশ্বাসী। নিশ্চয়ই ওঁর সঙ্গে কথা বলব। এ ব্যাপারে আমার অন্তত কোনও সমস্যা নেই।’’ দক্ষিণ কোরিয়ায় আসন্ন ওলিম্পিকে উত্তর কোরিয়ার অংশগ্রহণ নিয়েও আশাবাদী তিনি। তাঁর মতে এটি ‘বিগ স্টার্ট’। দক্ষিণ কোরিয়ায় উত্তর কোরীয় প্রতিযোগীদের সুরক্ষা নিয়ে আগামী ৯ তারিখ পানমুজোমে যে বৈঠক হতে চলেছে, সেটিও পরমাণু ও ক্ষেপণাস্ত্র বিষয়ক শক্তিপ্রয়োগ কিছুটা কম করবে, আশা রাখছেন ট্রাম্প।