সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বিয়ের আংটি বলে কথা। কত স্মৃতি, আবেগ তার সঙ্গে জড়িয়ে। জীবনের অন্যতম বড় প্রাপ্তিও বটে। একদিন প্রাণের চেয়ে প্রিয় বস্তুটি ভদ্রমহিলা হারিয়ে ফেলেছিলেন। আর তাতেই মেরি গ্রামস পড়েছিলেন মহা ফাঁপরে। স্বামী জানতে পারলে কষ্ট পাবেন, তাই তাঁকে খবরটা দেননি। মনের দুঃখের কথা জানিয়েছিলেন শুধু ছেলেকে। ১৩ বছর আংটি হারানোর যন্ত্রণা বুকে চেপে রেখেছিলেন। হিরের আংটির পাওয়ার আশা যখন বৃদ্ধা কার্যত ছেড়ে দিয়েছেন, তখনই এল সুখবর। গ্রামস পরিবারের জমিতে গাজর চাষ হচ্ছিল। সেখানেই মেলে আংটিটি।
কাউকে টোপ দিতে গাজর ঝোলানো অনেক দিনের চল। তবে গাজরের জন্য দাম্পত্যে শান্তি ফিরল, এমন ঘটনা বোধহয় বিরল। বিয়ের আংটি হারিয়ে কী বিপাকেই না পড়েছিলেন কানাডার বাসিন্দা মেরি গ্রামস! সমালোচনার ভয়ে যন্ত্রণার কথা কাউকে সেভাবে বলতে পারেননি। দুঃখের কথা জেনেছিলেন কেবল তাঁর ছেলে। প্রায় ১৩ বছর বুকে চেপে থাকা এই কষ্ট থেকে তাঁকে মুক্তি দিয়েছে সামান্য একটি গাজর। মেরির এই যখের ধন ধারণ করেই বেড়ে ওঠে গাজরটি। মেরির পুত্রবধূ কলিন আংটিটি খুঁজে পেয়েছেন। সম্প্রতি বাড়িতে ডিনারের জন্য কলিন জমিতে গাজর তুলতে যান। সবজি ধোয়ার সময় তিনি আবিষ্কার করেন গাজরের মধ্যে গোলাকার কিছু আটকে রয়েছে। গোলাকার বস্তুটি হিরের আংটি। মেরির ছেলে বুঝে যান এটিই মায়ের সেই হারিয়ে যাওয়া আংটি। এনগেজমেন্ট রিং যখন মেরি হাতে পান তখন তার চুলে আরও পাক ধরেছে। বয়স পৌঁছেছে চুরাশিতে।
২০০৪ সালে কানাডার অ্যালবার্টায় পারিবারিক বিয়ের অনুষ্ঠানের সময় মেরি আংটিটি হারিয়ে ফেলেন। পরিবারের সদস্যদের ধারণা বাগানের কোনও জায়গায় আংটিটি দীর্ঘদিন পড়ে ছিল। পরে সেখানেই গজিয়ে ওঠে গাজরটি। তবে গাজরের মধ্যে হারানো আংটি খুঁজে পাওয়ার ঘটনা নতুন নয়। ২০১১ সালে সুইডেনের এক মহিলা গাজরের মধ্যে তাঁর হারানো আংটি খুঁজে পেয়েছিলেন। ১৬ বছর পর তিনি আংটি ফিরে পান। আপাতত গাজরের গুণে মেরির সংসারে ফিরল দাম্পত্যের উষ্ণতা।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.