Advertisement
Advertisement
China

লাদাখে মনোবল হারিয়ে দিশেহারা লালফৌজ! সেনাদের চাঙ্গা করতে সীমান্তে নর্তকী পাঠাচ্ছে চিন

সীমান্তে ধরা পড়া চিনা সেনাদের মদ্যপ অবস্থায় দেখা গিয়েছে।

Drunk, alone & lost: Chinese soldiers crossing over to Indian side suggest medical issues, lack of training | Sangbad Pratidin
Published by: Biswadip Dey
  • Posted:February 10, 2021 4:24 pm
  • Updated:February 10, 2021 6:53 pm

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: গত বছর অতিমারীর মধ্যেই লাদাখ (Ladakh) সীমান্তে চিনা (China) সেনার আগ্রাসনকে ঘিরে দু’দেশের মধ্যে সম্পর্ক একেবারে তলানিতে পৌঁছেছে। বারবার আলোচনার পরেও জট কাটেনি। এই পরিস্থিতিতে বেজিংয়ের ‘রণং দেহি’ ভাবমূর্তি অব্যাহত। পালটা দিতে প্রস্তুত ভারতও। কিন্তু এমন সাজো সাজো রব থাকলেও আদৌ কি প্রস্তুত লালফৌজ? এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমের দাবি, প্রবল শীতে নির্জন লাদাখে পড়ে থেকে ক্রমশই হতাশাগ্রস্ত হয়ে পড়ছে তারা। পরিস্থিতি এমনই দাঁড়িয়েছে, চিনা প্রশাসন রীতিমতো আমোদপ্রমোদের ব্যবস্থা করছে সবাইকে চাঙ্গা করতে। সীমান্তে উড়িয়ে আনা হচ্ছে নর্তকীর দল। শুধু তাই নয়, বারবার রদবদল করা হচ্ছে সেনার মধ্যে। বেশিদিন সীমান্তে ফেলে রাখা হচ্ছে না একই সেনাদের।

গত বছরের অক্টোবরে ভারতীয় সীমান্তে পথভ্রষ্ট এক চিনা সেনার দেখা মিলেছিল। এবছরের জানুয়ারিতেও ধরা পড়ে আরও এক সেনা। দু’জনকে জিজ্ঞাসাবাদ করে পরে ফেরতও পাঠিয়ে দেওয়া হয়। সূত্রের দাবি, তাঁরা ছিলেন রীতিমতো মদ্যপ! কেবল নেশায় টইটম্বুর থাকাই নয়, তাঁদের জুতোর ফিতেও ঠিক ভাবে বাঁধা ছিল না। আরও যে ব্যাপারটা অবাক করেছিল, তা হল এঁরা সকলেই একা একা ঘুরে বেড়াচ্ছিলেন। যা সেনার শৃঙ্খলা ও অনুশাসনের সঙ্গে একেবারেই বেমানান। সারা পৃথিবীতেই সেনারা উত্তেজনাপূর্ণ এলাকায় কখনও একা থাকে না। সব সময় সশস্ত্র ও সদলবলে ঘুরে বেড়ানোই নিয়ম। সেই নিয়ম আদৌ চিনা সেনাদের জানা ছিল কি না তাতে ঘোর সন্দেহ প্রকাশ করেছে ওই সূত্র। দাবি, রীতিমতো হতভম্বের মতো ওই মদ্যপ সেনারা একা একা রাতে ঘুরে বেড়াচ্ছিলেন। শেষ পর্যন্ত পথ হারিয়ে ঢুকেও পড়েন ভারতীয় ভূখণ্ডে।

Advertisement

[আরও পড়ুন : বালোচিস্তানে ফের সাধারণ জনতার উপরে গুলি পাক সেনার! শিশু, মহিলাদের অপহরণের অভিযোগ]

এমন সম্ভাবনাও অনেকের মাথায় এসেছিল যে, এঁরা হয়তো চিনের গোয়েন্দাবাহিনীর লোক। কিন্তু তাঁদের ফোন ঘেঁটে তেমন কোনও প্রমাণ মেলেনি। তাছাড়া গোয়েন্দা বা গুপ্তচররা সতর্কতার সঙ্গে কাজ করেন। তাঁরা নেশাগ্রস্ত অবস্থায় রাতের বেলায় ওই ভাবে শত্রুশিবিরের কাছে ঘোরাফেরা করবেন না। সব মিলিয়ে ধরা পড়া সেনাদের পর্যবেক্ষণ করে ধারণা করা হচ্ছে সীমান্তে থাকা চিনা সেনারা কেউই উচ্চপ্রশিক্ষণপ্রাপ্ত নন। অন্যদিকে একই জায়গায় মোতায়েন থাকা সত্ত্বেও ভারতীয় সেনারা কিন্তু পুরোপুরি তৈরি। সিয়াচেন উপত্যকায় প্রবল শীতকে অগ্রাহ্য করে শৃঙ্খলাবদ্ধ ভারতীয় সেনা সীমান্তে অটল প্রহরারত।

Advertisement

[আরও পড়ুন : ‘সুশৃঙ্খল গণতন্ত্র’ ফেরাতেই মায়ানমারের সেনা অভ্যুত্থান, চাপের মুখে সাফাই জুন্টার]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ