সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: পৃথিবীর সাতটি আশ্চর্যের কথা সকলের জানা। কিন্তু অষ্টম আশ্চর্যের সৌন্দর্য এতকাল গোপনেই রয়ে গিয়েছিল। এবার সেই অষ্টম আশ্চর্যের বর্তমান পরিস্থিতির কথাই জানালেন বিজ্ঞানীরা। নিউজিল্যান্ডে অবস্থিত সেই অষ্টম আশ্চর্যের নতুন করে হদিশ পেলেন গবেষকরা।
নিউজিল্যান্ডের লেক রোটোমোহনার সিলিকা উপত্যকার সৌন্দর্য দেখতে এককালে ভিড় জমাতেন হাজার হাজার পর্যটক। কিন্তু ১৮৮৬ সালের পর ছবিটা পালটে যায়। তারাওয়েরা আগ্নেয়গিরির অগ্ন্যুৎপাতে সাজানো উপত্যকা ছারখার হয়ে গিয়েছিল। হ্রদের নিচে তলিয়ে যায় এটি। যদিও সেই ধ্বংসলীলা পুরোপুরি নিঃশেষ করে দিতে পারেনি গোলাপি-সাদা সিঁড়ির মতো সুন্দর উপত্যকাটিকে। দীর্ঘ দিনের গবেষণা ও প্রচেষ্টার পর ধ্বংসাবশেষ থেকে অত্যাশ্চর্য সিলিকা টেরিসটি খুঁজে বের করতে সফল হয়েছেন গবেষকরা। সোপানটি জুড়ে রয়েছে হট স্প্রিং। ২০১১ সালে ওয়াইকাটো বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞানীরা প্রথম এই গোলাপি সোপানের একাংশ আবিষ্কার করেছিলেন। তারপর চলে দীর্ঘ গবেষণা। ২০১৬ সালে তাঁদের গবেষণার কথা এক জার্নালেও প্রকাশিত হয়েছিল।
সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ান-এর খবর অনুযায়ী, গবেষক রেক্স বান জানান, “ধ্বংসের আগে পর্যটকদের সবচেয়ে প্রিয় দর্শনীয় স্থানের মধ্যে একটি ছিল সিলিকা টেরিস। মনোরম সেই সোপান দেখলে চোখ জুড়িয়ে যেত। সাধারণরাই শুধু নন, এর আকর্ষণে ব্রিটিশ রাজা-রাজরা থেকে সুদূর আমেরিকার মানিগুণি ব্যক্তিরাও এসে উপস্থিত হতেন। তবে সেই সময় এই উপত্যকা নিয়ে কোনও পরীক্ষা-নিরীক্ষা হয়নি বলে এর দৈর্ঘ্য-প্রস্থ সঠিক জানা যায়নি।” বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, ১৩০ বছর পর অগ্ন্যুৎপাতে ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে পড়া সেই বিস্তৃত অঞ্চলের সন্ধান পেয়েছেন তাঁরা। তবে কি পৃথিবীর অষ্টম আশ্চর্য নতুন রূপে বিশ্ববাসীর সামনে ধরা দিতে চলেছে? গবেষকরা অন্তত সেই চেষ্টাই করছেন।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.