Advertisement
Advertisement
Elon Musk

‘বাড়িতে বসে কাজ করা চলবে না’, টুইটার কর্মীদের উদ্দেশে প্রথম বার্তাতেই কঠোর মাস্ক

অফিসে আসতে না চাইলে তৎক্ষণাৎ ইস্তফা দিতে হবে বলে দাবি করেছেন মাস্ক।

Elon Musk directs employees come work from office as Twitter faces financial crisis | Sangbad Pratidin
Published by: Anwesha Adhikary
  • Posted:November 11, 2022 11:56 am
  • Updated:November 11, 2022 11:56 am

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সামনে কঠিন সময়। তাই এখন বাড়িতে বসে কাজ করার বিলাসিতা চলবে না। টুইটারের (Twitter) কর্মীদের উদ্দেশে প্রথম ইমেল করে এলন মাস্ক জানিয়ে দিলেন, আগামী দিনে কঠিন সময় আসতে চলেছে। তাই প্রত্যেক কর্মীকে কঠোর পরিশ্রম করতে হবে। দেউলিয়া হয়ে যেতে পারে টুইটার, এমন সম্ভাবনার কথাও জানিয়ে রেখেছেন মাস্ক (Elon Musk)।

বৃহস্পতিবার কর্মীদের উদ্দেশে ইমেল করেছেন টুইটার কর্তা এলন মাস্ক। প্রথমেই বলেছেন, টুইটারের বর্তমান পরিস্থিতি খুব খারাপ। নানা কারণে আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়েছে এই সংস্থা। সেই জন্যই টুইটারের অর্থনীতিকে চাঙ্গা করে তুলতে হবে। এই কঠিন পথ পাড়ি দিতে গেলে প্রচুর পরিশ্রম করতে হবে। বাড়িতে বসে কাজের সুযোগ আর পাবেন না টুইটার কর্মীরা। সপ্তাহে অন্তত ৪০ ঘণ্টা তাঁদের অফিসে বসেই কাজ করতে হবে। মাস্কের তরফে স্পষ্ট জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, যদি কেউ অফিসে এসে কাজ করতে না চান, তাহলে অবিলম্বে তাঁকে ইস্তফা দিতে হবে।

Advertisement

[আরও পড়ুন: বয়স মাত্র ২৩! আমেরিকার মধ্যবর্তী নির্বাচনে ইতিহাস ভারতীয় বংশোদ্ভূত নাবিলা সইদের]

মাস্ক দায়িত্ব নেওয়ার পরেই একের পর এক শীর্ষকর্তা এই সংস্থা থেকে ইস্তফা দিয়েছেন। তাঁদের অধিকাংশের মতে, মাস্কের নীতি অনুযায়ী চললে সংস্থার উন্নতি হওয়া বেশ কঠিন। কারণ হিসাবে জানা যাচ্ছে, টুইটারের আয়ের প্রধান উৎস হল বিজ্ঞাপন। কিন্তু মাস্কের জমানায় টুইটারে কন্টেন্ট প্রকাশের উপর থেকে সমস্ত বিধিনিষেধ প্রায় তুলে নেওয়া হয়েছে। সেই জন্যই বিজ্ঞাপনদাতারা আর এই মাইক্রো ব্লগিং সাইটে বিজ্ঞাপন দিতে রাজি হচ্ছেন না। আপত্তিকর কোনও কন্টেন্টের সঙ্গে নিজেদের বিজ্ঞাপনের প্রচার হোক, এমনটা কেউই চান না।

Advertisement

কিন্তু আপাতত মাস্কের মূল লক্ষ্য, যেভাবে হোক টুইটারে বিজ্ঞাপনের সংখ্যা বাড়ানো। তা না হলে দেউলিয়া হয়ে যেতে পারে এই সংস্থা, এমনটাই হুঁশিয়ারি দিয়েছেন মাস্ক। টুইটারের বেশ কয়েকজন কর্মী ইস্তফা দেওয়ার ফলে খানিকটা চাপের মধ্যে রয়েছেন টুইটারের নয়া কর্তা। কীভাবে সংস্থাকে এগিয়ে নিয়ে লাভের মুখ দেখাতে পারবেন, তা নিয়ে চিন্তিত হয়ে পড়েছেন। সব মিলিয়ে, টুইটারের ভবিষ্যৎ নিয়ে শুধু কর্মীরাই নন, বিপাকে পড়েছেন মাস্ক নিজেও। 

[আরও পড়ুন: তাইওয়ান ঘিরে দ্বন্দ্বের মধ্যেই দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে বাইডেন-জিনপিং, G20 সম্মেলনে আলোচনায় দুই রাষ্ট্রনেতা]

 

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ