সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সুদানের কারথানায় বিস্ফোরণ। নিহত ১৮ ভারতীয়-সহ ২৩ জন। জখম আরও ১৩০। তাঁদের মধ্যে কয়েকজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। ফলে মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। মঙ্গলবার সুদানের রাজধানী খার্টুম শহরে একটি সিমেন্টের কারখানায় এলপিজি গ্যাসের ট্যাঙ্কারে বিস্ফোরণ হয়। আর তাতেই বিপত্তি। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, কারখানায় জোরালো বিস্ফোরণের জেরে ট্যাঙ্কারটি উড়ে গিয়ে বাইরে পড়ে। কারখানার ভিতরে থাকা প্রায় সকলেই প্রাণ হারিয়েছেন বলে মনে করা হচ্ছে। তাঁদের মধ্যে অধিকাংশ বিদেশি নাগরিক। যারা সুদানে কাজ করতে গিয়েছিল।
এই ঘটনায় টুইট করে দুঃখপ্রকাশ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর কথায়, “সুদানে গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে মৃত ১৮ জনের আত্মার শান্তি কামনা করি। তাঁদের পরিবারের পাশে আছি। দেশের বিভিন্ন প্রান্তের মানুষ বিশ্বের নানা প্রান্তে কাজ করতে গিয়েছেন। তাঁদের সুস্থতা কামনা করি।”
Saddened at the demise of 18 Indians in LPG tanker blast in Sudan. My condolences to the bereaved families. Our country’s workers are placed in different parts of the world and face various risks. May all stay safe
— Mamata Banerjee (@MamataOfficial) December 4, 2019
[আরও পড়ুন : নদীর নিচে সোনার খনি! ব্রিটেনে খোঁজ মিলল সবথেকে বড় স্বর্ণ টুকরোর]
মঙ্গলবার কারখানার ভিতরে আনলোডিংয়ের কাজ চলছিল। সেসময় আচমকা বিস্ফোরণ ঘটে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, হঠাৎই বিকট শব্দ কেঁপে ওঠে গোটা এলাকা। সঙ্গে সঙ্গে কারখানাটিতে আগুন ধরে যায়। দাউদাউ করে জ্বলতে থাকে কারখানার বাইরে দাঁড়িয়ে থাকা গাড়িগুলিও। কারখানার ভিতরে থাকা কর্মীরা সাহা্য্যের জন্য চিৎকার করতে থাকেন। হুড়োহুড়ি পড়ে যায় গোটা এলাকায়। মুহূর্তের মধ্যে কালো ধোঁয়ায় ঢেকে যায় গোটা এলাকা। নিরাপত্তাকর্মী ও এলাকাবাসীর হাত মিলিয়ে তাঁদের উদ্ধারের চেষ্টা করলেও কোনও লাভ হয়নি। আগুনে ভস্মীভূত হয়ে যায় গোটা কারখানা। গুরুতরভাবে জখমদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। তবে কীভাবে এই বিস্ফোরণ ঘটল, তা এখনও জানা যায়নি।
[আরও পড়ুন : লন্ডনের দ্বিতীয় সর্বাধিক প্রচলিত ভাষা বাংলা, স্বীকৃতি দিল নয়া সমীক্ষা]
কারখানার এক কর্মী উইলিয়াম বলেন, “কী হল আমি ঠিক বুঝতেই পারলাম না। বিস্ফোরণের শব্দ শুনে ছুটে পালিয়ে গিয়েছিলাম।আমার পিছনে আরও একজন ছিল। আগুনের শিখায় তিনিও গুরুতর জখম হন। আমারও পায়ে চোট লাগে।” ঘটনাস্থলে থাকা আরেক প্রত্যক্ষদর্শী হুসেন ওমরক জানান, “আমি প্রায় ১৪টি দেহ উদ্ধার করলাম। আগুনে সম্পূর্ণ দগ্ধ। তাঁদের চেনাই যাচ্ছিল না।”
[আরও পড়ুন : টাকা নেই, মার্কিন প্রেসিডেন্ট পদের দৌড়ে ইতি টানলেন কমলা হ্যারিস]
ঘটনা প্রসঙ্গে সুদান সরকারের তরফে জারি বিবৃতিতে বলা হয়েছে, প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে কারখানায় সঠিক অগ্নিনির্বাপক ব্যবস্থা ছিল না। পাশাপাশি প্রচুর পরিমাণে দাহ্যবস্তুও মজুত করা হয়েছিল। জখম কর্মীদের বাঁচাতে সুদান সরকারের তরফে সাধারণ মানুষকে রক্তদানের আরজি জানানো হয়েছে।