সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মার্কিন বিমান ও মহাকাশযান নির্মাণকারী সংস্থাগুলির ব্যবসায়িক গোপন নথি পাচার করার অভিযোগে গ্রেপ্তার এক চিনা গুপ্তচর৷ ধৃতের নাম ইয়াজুন জুং৷ গত এপ্রিল মাসে তাকে বেলজিয়াম থেকে গ্রেপ্তার করে মার্কিন গুপ্তচর সংস্থা এফবিআই৷ ধৃতকে এতদিন নিজেদের হেফাজতে রেখে জেরা করছিলেন এইবিআই-এর তদন্তকারীরা৷ বুধবার তাকে তুলে দেওয়া হল মার্কিন পুলিশের হাতে৷ তার কাছ থেকে একাধিক তথ্য পাওয়া গিয়েছে বলে জানিয়েছেন তদন্তকারী অফিসারেরা৷ মিলেছে গোপন নথি পাচারের প্রমাণও৷
[নভেম্বরেই ফের বৈঠক ট্রাম্প-কিমের, সুসম্পর্ক বজায় রাখার বার্তা]
এই ঘটনাকে হাতিয়ার করেই এবার চিনের উপরে চাপ বাড়ানোর কৌশল নিয়েছে আমেরিকা৷ মার্কিন তদন্তকারীদের বক্তব্য, আন্তর্জাতিক বাণিজ্যে টিকে উঠতে না পেরে, তাঁদের সংস্থাগুলিতে গুপ্তচর ঢুকিয়ে তথ্য পাচারের পন্থা অবলম্বন করেছে বেজিং৷ বিশেষজ্ঞরা বলছে, চিন-মার্কিন বাড়তে থাকা বাণিজ্যিক উত্তেজনার পরিবেশে এই ঘটনা ঘৃতাহুতি করবে৷ তাঁদের বক্তব্য, আন্তর্জাতিক বাণিজ্যিক মহলে আমেরিকাকে পিছনে ফেলতেই এই সমস্ত কাজ করছে চিন৷ তাঁদের আসল উদ্দেশ্য, বিভিন্ন মার্কিন সংস্থার গোপন তথ্য নিজেদের হস্তগত করে ওয়াশিংটনকে বাণিজ্যিক দৌঁড়ে পিছনে ফেলা৷ যথারীতি ওয়াশিংটনের এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে বেজিং৷
[‘ইভাঙ্কা পুরো ডিনামাইট’, মেয়েকে নিয়ে মন্তব্য ট্রাম্পের]
উল্লেখ্য, ইতিমধ্যে পাঁচ হাজার কোটি ডলারের চিনা পণ্যের উপর আমদানি শুল্ক বসিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তাঁদের আশা ছিল, এর ফলে চিনের সঙ্গে তাঁদের বাণিজ্য ঘাটতি কমবে। কিন্তু তেমনটা হয়নি। পরিসংখ্যান বলছে, বাণিজ্য যুদ্ধের জেরে আগস্টে চিনের রপ্তানি বৃদ্ধি কিছুটা কমেছে ঠিকই, কিন্তু তাতে আমেরিকার কোনও লাভ হয়নি। বরং বাণিজ্য ঘাটতি রেকর্ড ছুঁয়েছে।