BREAKING NEWS

৫ আশ্বিন  ১৪৩০  শনিবার ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৩ 

READ IN APP

Advertisement

‘যুদ্ধের জন্য প্রস্তুতি নাও’, সেনাকে নির্দেশ চিনের প্রেসিডেন্ট জিনপিংয়ের

Published by: Tanujit Das |    Posted: January 6, 2019 10:12 am|    Updated: January 6, 2019 10:12 am

'Get ready for battle', Xi Jinping

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: যেকোনও পরিস্থিতির জন্য তৈরি থাকতে হবে। এমনকী, যুদ্ধের জন্যও। দেশের সেনাবাহিনীর শীর্ষকর্তাদের সঙ্গে বৈঠকে এভাবেই যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত থাকার নির্দেশ দিলেন চিনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং। দক্ষিণ চিন সমুদ্রের অধিকার নিয়ে বিভিন্ন প্রতিবেশী দেশের সঙ্গে চিনের স্নায়ুর যুদ্ধ চলছে। পাল্লা দিয়ে বাড়ছে বাণিজ্য যুদ্ধ ও তাইওয়ানের মূল ভূখণ্ডের সঙ্গে সংযুক্তিকরণ নিয়ে আমেরিকার সঙ্গে মতবিরোধ। এই অবস্থায় সেনাবাহিনীর শক্তিবৃদ্ধির কথা মাথায় রেখেই নানা কৌশল নিচ্ছে চিন।

[রবিতে বছরের প্রথম সূর্যগ্রহণ ও ‘সুপার উলফ ব্লাড মুন’ থেকে বঞ্চিত দেশ]

প্রেসিডেন্ট জিনপিং চিনের সেন্ট্রাল মিলিটারি কমিশনের চেয়ারম্যানও। শুক্রবার দেশের শীর্ষ সেনাকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেন তিনি। নতুন বছরে এটাই ছিল সেনাকর্তাদের সঙ্গে প্রেসিডেন্টের প্রথম বৈঠক। চিনা সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, মূলত সৌজন্যমূলক হলেও প্রতিরক্ষা সংক্রান্ত বিভিন্ন বিষয় নিয়ে কথা হয় সেই বৈঠকে। সেখানেই সেনাবাহিনীর উদ্দেশে ওই বার্তা দেন প্রেসিডেন্ট। দেশের নিরাপত্তা ও সার্বভৌমত্বের ক্ষেত্রে সেনাবাহিনীর ভূমিকার কথা স্মরণ করিয়ে প্রেসিডেন্টের বার্তা, ‘বিশ্বে নানা গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তন ঘটে চলেছে। গত এক শতকে এমন ধরনের বদল আগে হয়নি। তাই সেনারা যেন কোনও কঠিন পরিস্থিতির মুখোমুখি হতে ভয় না পায়।’ এ দিনের বৈঠকে কোনও দেশের নাম করেননি জিনপিং। তবে কূটনৈতিক মহল চিনা প্রেসিডেন্টের এই মন্তব্যকে বিশেষ গুরুত্ব দিচ্ছে। কারণ, সাম্প্রতিক কালে তাইওয়ান, আমেরিকা বা ভারত, নানা দেশের বিরুদ্ধে হুঁশিয়ারি দিতে দেখা গিয়েছে বেজিংকে। স্বাধীনতার কথা ভুলে যাওয়া উচিত বলে সম্প্রতি তাইওয়ানের উদ্দেশে হুঙ্কার ছেড়েছেন জিনপিং। পাশাপাশি, আমেরিকাকে জবাব দিতে শক্তিশালী ‘মোয়াব’ বোমার সফল উৎক্ষেপণ করেছেন। আবার, ভূমি থেকে আকাশে এস-৪০০ অত্যাধুনিক ক্ষেপণাস্ত্রের সফল পরীক্ষা সেরে নয়াদিল্লিকেও বার্তা দিয়েছে বেজিং।

[মার্কিন ‘মাদার অফ অল বম্বস’-এর চেয়েও শক্তিশালী মারণাস্ত্র এবার চিনের অস্ত্রাগারে]

বেজিং বরাবরই মনে করে, তাইওয়ান চিনের অংশ। ১৯৭৯-তে সংযুক্তির যে প্রস্তাব তাইওয়ানকে পাঠিয়েছিল চিন, তার ৪০ বছর পূর্তি উপলক্ষে সম্প্রতি বক্তৃতা দেন জিনপিং। তাতে প্রেসিডেন্ট শান্তির কথা বলেও হুঁশিয়ারি দিয়ে রাখেন, প্রয়োজন পড়লে সামরিক বাহিনীকেও ব্যবহার করা হতে পারে। যদিও স্বশাসিত তাইওয়ান নিজেদের স্বাধীন অঞ্চল বলেই মনে করে।

Sangbad Pratidin News App: খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
নিয়মিত খবরে থাকতে লাইক করুন ফেসবুকে ও ফলো করুন টুইটারে