সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ১৯৮৪ সালের জুন মাস। অমৃতসরের বাতাসে ভেসে বেড়াচ্ছে বারুদের গন্ধ। স্বর্ণমন্দির থেকে ভেসে আসছে খালিস্তানিদের রণহুঙ্কার ‘জো বোলে সো নিহাল, সতশ্রী অকাল’ আর গুলির শব্দ। ভারতীয় সেনাবাহিনী ও খালিস্তানি জঙ্গিদের মধ্যে চলছে তুমুল লড়াই। ‘অপারেশন ব্লু স্টার’-এর সেই ভয়াবহ দিনগুলি আজও তাড়া করে ফেরে শিখ সম্প্রদায়কে। দাগ মিলিয়ে গেলেও ক্ষত আজও শুকোয়নি। আজও ভারত সরকারের প্রতি ক্ষোভ রয়েছে কানাডার শিখ সম্প্রদায়ের মনে। তারই প্রমাণ স্বরূপ এবার ভারত সরকারের আধিকারিকদের প্রবেশ নিষিদ্ধ করল কানাডার ওন্টারিও প্রদেশের ১৪টি গুরুদ্বার।
[‘সাহায্যের বিনিময়ে পাকিস্তান শুধু প্রতারণাই করেছে’, আক্রমণাত্মক ট্রাম্প]
জানা গিয়েছে, গত ৩০ ডিসেম্বরের ওন্টারিও প্রদেশের জোট প্রকাশ গুরুদ্বারে শিখ ধর্মগুরুদের একটি বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তবে ব্যক্তিগতভাবে কোনও আধিকারিক গুরুদ্বারে প্রার্থনা করতে আসতে পারেন বলে জানানো হয়। গুরুদ্বার কমিটির এই পদক্ষেপ উসকে দিয়েছে প্রবল বিতর্ক। এবিষয়ে জানতে চাওয়া হলে, অকাল তখত জাঠেদার জ্ঞানী গুরবচন সিং জানান যে এমন কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি। গুরুদ্বারে কাউকেই প্রবেশে বাধা দেওয়া যায় না। যদিও সংশ্লিষ্ট গুরুদ্বারা কমিটির মুখপাত্র অমরজিত সিংহ মান জানান, এতদিন অলিখিতভাবে এই নিয়ম মানা হত। এবার তা আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা করা হল। ভারত সরকারের বিরুদ্ধে কানাডার শিখ সম্প্রদায়ের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে নাক গলানোর অভিযোগও তোলেন তিনি। তাঁর দাবি এই সিদ্ধান্তের ফলে সেই চেষ্টা ব্যর্থ হয়ে যাবে।
মনে করা হয় খালিস্তানি আন্দোলনের শিকড় রয়েছে কানাডাতেই। সম্প্রতি পাঞ্জাবে ফের মাথা চাড়া দিয়ে উঠছে খালিস্তানি আন্দোলন। পুলিশের জালে পড়েছে ‘বব্বর খালসা’ জঙ্গি সংগঠনের একাধিক সদস্য। অভিযোগ তাদের অর্থের যোগান আসছিল কানাডা থেকেই। এই পরিস্থিতিকেই নজরে রেখে ওই দেশের শিখ সম্প্রদায়ের সঙ্গে সম্পর্ক মজবুত করতে উঠেপড়ে লেগেছে কেন্দ্র। কিন্তু এই ঘটনায় ফের ধাক্কা খেল সেই চেষ্টা বলেই মনে করা হচ্ছে।
[চিনে ফিরল জুরাসিক যুগ, সন্ধান মিলল ৩০টি ডাইনোসরের ডিমের]