সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বাংলাদেশে যাওয়া মায়ানমারের রোহিঙ্গা শরণার্থীদের জন্য লঙ্গর খুলেছে শিখদের একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা। খালসা এইড নামের সংস্থাটি রবিবার থেকে বাংলাদেশের সীমান্ত শহর টেকনাফে এই লঙ্গরখানা চালু করেছে।
শরণার্থীদের সাহায্য করার জন্য প্রাথমিক প্রস্তুতি নিয়েই বাংলাদেশ গিয়েছে স্বেচ্ছাসেবী সংস্থাটি। প্রাথমিকভাবে ৫০ হাজার মানুষকে সাহায্য পৌঁছে দিতে চায় তারা। যদিও টেকনাফের শরণার্থী শিবিরে শরণার্থীর সংখ্যা ৩ লক্ষের বেশি। খাবার, জল, কাপড় ও বাসস্থানের কোনও বন্দোবস্ত নেই। প্রবল বৃষ্টির মধ্যেই রাত কাটাচ্ছেন তারা।
খালসা এইডের পক্ষ থেকে শরণার্থীদের জন্য কমিউনিটি কিচেনের ব্যবস্থা করা হয়েছে। ত্রিপলেরও ব্যবস্থা করা হয়েছে। যদিও তা সংখ্যার তুলনায় অনেক কম। তাও কয়েকদিনের মধ্যেই বন্দোবস্ত করে ফেলা হবে বলে জানিয়েছেন স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার ম্যানেজিং ডিরেক্টর।
ঢাকা থেকে ফেরিতে ১০ ঘণ্টার রাস্তা টেকনাফ। লঙ্গরের জন্য যাবতীয় জিনিস নিয়ে যাওয়া হচ্চে ঢাকা থেকেই। তবে প্রতিকূলতা আছে। সংস্থাটি জানাচ্ছে ঢাকা থেকে দূরত্ব এবং প্রবল বৃষ্টিতে বারবারই আটকে যাচ্ছে লঙ্গরের কাজ। পরিস্থিতি যতদিন না স্বাভাবিক হচ্ছে ততদিন লঙ্গর চালু থাকবে বলে জানানো হয়েছে সংস্থার তরফে।
স্বেচ্ছাসেবী সংস্থাটির আরেকটি দল দিন কয়েকের মধ্যে ত্রাণের সহায়তার জন্য পৌঁছে যাবে বলে জানানো হয়েছে। জম্মু-কাশ্মীর থেকে যাওয়া খালসা এইড সংস্থার অপর এক সদস্য জীবনজ্যোত সিং জানিয়েছেন, মায়ানমার থেকে পায়ে হেঁটে টেকনাফ পৌঁছতে শরণার্থীদের কম করে ১০ দিন সময় লেগেছে। এই শরণার্থীদের যাওয়ার আর কোনও জায়গা নেই বলেই জানিয়েছেন তিনি। শরণার্থী পরিবারগুলির সঙ্গে কথা বলে তাঁরা জানতে পেরেছেন, প্রথমে পায়ে হেঁটে মায়ারমারের ঘন জঙ্গল পার করে তাঁরা। এরপর নৌকায় সীমান্ত পার করে ফের পায়ে হেঁটে ওই শরণার্থী শিবিরে পৌঁছেছেন শরণার্থীরা।
অন্যদিকে রোহিঙ্গা ইস্যুতে মায়ানমারের পাশে চিন। মায়ানমারের রাখাইন প্রদেশে আগস্টের শেষে পুলিশ ফাঁড়িতে সন্ত্রাসবাদী হামলার পাল্টা সামরিক অভিযানে সেখানকার ৩ লক্ষের বেশি সংখ্যালঘু রোহিঙ্গা মুসলিম ভিটেছাড়া হয়ে বাংলাদেশে পালিয়েছে। রোহিঙ্গা ইস্যুর কড়া সমালোচনা করেছে রাষ্ট্রসংঘ।