Advertisement
Advertisement

শাস্তিদানের আগে মৃত্যু হলে, তিনদিন ফাঁসিতে ঝোলানো হবে মুশারফের দেহ

এমনটাই নির্দেশ পাকিস্তানের বিশেষ আদালতের।

'Hang Pervez Musharraf's body at Islamabad chowk for 3 days'
Published by: Monishankar Choudhury
  • Posted:December 20, 2019 12:49 pm
  • Updated:December 20, 2019 12:49 pm

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হওয়ার আগেই মৃত্যু হলে, পারভেজ মুশারফের দেহ তিনদিন ফাঁসিতে ঝুলিয়ে রাখা হবে। বৃহস্পতিবার প্রাক্তন পাক প্রেসিডেন্টের বিরুদ্ধে মামলার বিস্তারিত রায়ে এমনটাই নির্দেশ দিয়েছে পাকিস্তানের বিশেষ আদালত।

গত মঙ্গলবার রাষ্ট্রদোহিতার অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত হওয়ায় মুশারফকে মৃত্যুদণ্ড দেয় তিন সদস্যের বেঞ্চ। তারপর বিস্তারিত রায়ে বলা হয়, “পর্যবেক্ষণের পর আমরা প্রতিটি অভিযোগেই অভিযুক্তকে দোষী সাব্যস্ত করেছি। এই অপরাধের জন্যই ওর মৃত্যুদণ্ড প্রাপ্য। শাস্তির আগে যদি তাঁর মৃত্যুও হয়, তাহলে তাঁর দেহ ইসলামাবাদের সেন্ট্রাল স্কোয়ারে টেনে এনে তিনদিন ধরে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে রাখা হবে।” বেঞ্চের নেতৃত্বে থাকা পেশওয়ার হাই কোর্টের প্রধান বিচারপতি ওয়াকার আহমেদ শেঠ ১৬৭ পাতার ওই বিস্তারিত রায় লিখেছেন। এদিকে, এই রায় নিয়ে প্রতিক্রিয়া দিতে গিয়ে পাকিস্তানের প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট তথা সেনাপ্রধান মুশারফ জানিয়েছেন, ব্যক্তিগত আক্রোশের কারণেই এই রায় দিয়েছে আদালত। দুবাইয়ের হাসপাতাল থেকে দেওয়া এক অডিও বার্তায় তিনি আরও জানান, এই রায় সন্দেহজনক। সংবিধান মেনে সবকিছু করা হলে এই মামলার কোনও শুনানিই হত না। উঁচুতলার কিছু মানুষ ক্ষমতার অপব্যবহার করে নির্দিষ্ট একজনকে নিশানা করেছেন। এর ফলে ওই সমস্ত লোকেদের আসল অভিসন্ধি প্রকাশ্যে চলে এসেছে।

Advertisement

[আরও পড়ুন: ‘ভারতের গণতন্ত্রকে সম্মান করি’, CAA বিতর্কের মধ্যেই তাৎপর্যপূর্ণ বার্তা আমেরিকার]

বিশ্লেষকদের মতে, নাম না করে পাকিস্তানের প্রধান বিচারপতি আসিফ সইদ খোসার বিরুদ্ধে তোপ দেগেছেন মুশারফ। উল্লেখ্য, ১৯৯৯ সালে থেকে ২০০৮ সাল পর্যন্ত পাকিস্তানের মসনদে ছিলেন মুশারফ। কারগিল যুদ্ধে হারের পর তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফের উপর দায় চাপিয়ে ক্ষমতা দখল করেন তিনি। তাঁর আমলেই পাক-অধিকৃত কাশ্মীরে ভারত বিরোধী কার্যকলাপ তুঙ্গে পৌঁছায়। ২০০১ সালে ৯/১১ হামলার পর মুশারফের নেতৃত্বে আফগানিস্তানে মার্কিন লড়াইয়ে যোগ দেয় পাকিস্তান। তাৎপর্যপূর্ণভাবে, তাঁর আমলে বেশ মজবুত হয় পাক অর্থনীতি। ২০০২ সালে প্রসিডেন্ট পদে নির্বাচিত হলেও প্রতিশ্রুতি মতো সেনাপ্রধানের পদ ছাড়তে অস্বীকার করেন মুশারফ। ২০০৭ সালে তাঁর বিরুদ্ধে একাধিক মামলা দায়ের হওয়ায় সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতিকে বরখাস্ত করেন তিনি। তারপর থেকেই প্রাক্তন সেনাপ্রধানের বিরুদ্ধে বিক্ষোভের হওয়া বইতে শুরু করে। বাধ্য হয়ে গদি ছাড়তে হয় তাঁকে।

Advertisement

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ