সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: এ জীবন বাঁচারও, এ জীবন মরণেরও। মৃত্যু কখন যে দরজায় এ কড়া নাড়ে কেউ বলতে পারে না। তবে মরণের অনুভূতিও সুখের হয় যদি মনের মানুষটা পাশে থাকে। যাঁকে ‘ভালবাসি’ বলে বিদায় নেওয়া যায়। সেখানেই যেন মুহূর্তটা থেমে যায়। প্রাণ বেরিয়ে গেলেও থেকে যায় ভালবাসা। চোখে জল থাকলেও ঠোঁটের কোনে থেকে যায় হাসি। প্রিয়জনকে ভালবেসে বিদায় জানানোর হাসি। সেই হাসিই আজ রয়েছে ডেভিড মোশেরের ঠোঁটে। আর স্মৃতিতে রয়েছে বেদনা। সদ্য হওয়া স্ত্রী হিথারকে চিরতরে হারানো বেদনা। তবে দু’জনে ক্ষণিকের যে মুহূর্ত একসঙ্গে বাঁচলেন তাই ডেভিডের সারা জীবনের সম্পদ হয়ে রয়ে গেল।
[OMG! ২০৪০ সালের মধ্যে বিলুপ্ত হয়ে যাবে সাধের চকোলেট!]
২০১৫ সালে হিথারের সঙ্গে প্রথম দেখা হয়েছিল ডেভিডের। প্রথম দর্শনেই প্রেম। বন্ধুরা তাঁদের হরিহর আত্মা বলে রসিকতা করতেন। কিন্তু সুখের সময় বেশিক্ষণ স্থায়ী হয় না। হলও না। যেদিন হিথারকে বিয়ের জন্য প্রপোজ করার কথা ডেভিড ভেবেছিলেন, সেদিনই তিনি জানতে পারেন স্তন ক্যানসারে আক্রান্ত তাঁর প্রেমিকা। কিন্তু এ খবরও টলাতে পারেনি ডেভিডকে। প্রপোজ তিনি করেছিলেন প্রেমিকাকে। এও জানতেন যে ক্যানসারের যে স্টেজে হিথার রয়েছেন, বাঁচার কোনও আশাই নেই। তবুও ঠিক করেছিলেন বিয়ের শপথ তিনি হিথারের সঙ্গেই নেবেন। তাঁর শেষের এই সময়টাকে আনন্দে ভরিয়ে দেবেন।
[চিনে ফিরল জুরাসিক যুগ, সন্ধান মিলল ৩০টি ডাইনোসরের ডিমের]
প্রথমে ঠিক করেছিলেন ডিসেম্বরের ৩০ তারিখ বিয়ে করবেন। কিন্তু হিথারের শারীরিক পরিস্থিতি ক্রমেই খারাপ হচ্ছিল। শেষে কানেক্টিকাটের সেন্ট ফ্রান্সিস হাসপাতালে ২২ ডিসেম্বর বিয়ের আয়োজন করা হয়। সাদা গাউনে হাসপাতালের বেডে শুয়ে ছিলেন হিথার। মৃত্যুশয্যাতেই প্রেমিকার হাতে আংটি পরিয়ে দেন ডেভিড। জীবনের শেষ শব্দ দু’টি উচ্চারণ করেন হিথার। প্রেমিকের দিকে গভীর দৃষ্টিতে তাকিয়ে বলেন ‘I Do’। কিছুক্ষণের মধ্যেই নিথর হয়ে যায় হিথারের শরীর। কিন্তু তাঁর মৃত্যু হয় হিথার মোশের হয়েই। এই পাওনা নিয়েই সারা জীবন কাটিয়ে দিতে চান ডেভিড। দু’জনের এই আবেগমথিত মুহূর্তগুলিই ছড়িয়ে পড়েছে নেটদুনিয়ায়। হয়েছে ভাইরাল। নেটিজেনরাও শামিল হয়েছেন সেই ক্ষণের।
[সর্বদা তাজমহল দেখার সাধ পূরণ নাও হতে পারে ভারতীয়দের, কেন জানেন?]
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.