Advertisement
Advertisement

Breaking News

Hong Kong

হংকংয়ে ঢেকে ফেলা হল তিয়ানআনমেন বিক্ষোভের শেষ স্মারক, ইতিহাস মোছার চেষ্টা চিনের

গণতন্ত্রের হত্যা করে 'অস্বস্তিকর' ইতিহাস মুছতে মরিয়া চিন।

Hong Kong’s last Tiananmen Square memorial covered | Sangbad Pratidin
Published by: Monishankar Choudhury
  • Posted:January 30, 2022 10:01 am
  • Updated:January 30, 2022 10:01 am

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: গণতন্ত্রের হত্যা করে ‘অস্বস্তিকর’ ইতিহাস মুছতে মরিয়া চিন। এবার কমিউনিস্ট শাসকদের নির্দেশে হংকংয়ে (Hong Kong) ঢেকে ফেলা হল তিয়ানআনমেন স্কোয়ার বিক্ষোভের শেষ স্মারক।

[আরও পড়ুন: আফগানিস্তান নিয়ে বড় পদক্ষেপ ভারতের, মধ্য এশিয়ার ৫ দেশের সঙ্গে যৌথ কর্মসমিতি তৈরির পথে দিল্লি]

জানা গিয়েছে, হংকং ইউনিভার্সিটির কাছে একটি পায়ে চলা সেতুর উপর আঁকা ক্যালিগ্রাফিতে ১৯৮৯ সালে গণতন্ত্রের দাবিতে বেজিংয়ের তিয়ানআনমেন স্কোয়ারে হওয়া বিক্ষোভে শহিদদের স্মরণ করা হয়। প্রতিবছর পড়ুয়ারা নতুন করে ওই ক্যালিগ্রাফিতে রং করে দিত। বিবিসি সূত্রে খবর, শনিবার বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ধাতুর পাত বসিয়ে ওই ক্যালিগ্রাফি ঢেকে দেয়। তারা জানিয়েছে, নিয়মিত সংস্কারের অংশ হিসেবে এটা করা হয়েছে। কিন্তু এই পদক্ষেপের উদ্দেশ্য সবার কাছে স্পষ্ট। বলে রাখা ভাল, গত কয়েকবছর ধরেই স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চল হংকংয়ের উপর নিজেদের নিয়ন্ত্রণ বাড়িয়েছে বেজিং। যার অংশ হিসেবে হংকং থেকে একে একে তিয়েনআনমেন বিক্ষোভের স্মরণে বানানো নানা স্মারক মুছে ফেলা হচ্ছে।

Advertisement

গত ডিসেম্বর মাসে হংকংয়ের লিংনান বিশ্ববিদ্যালয় এবং চাইনিজ ইউনিভার্সিটি অফ হংকং থেকে তিয়েনআনমেন (Tiananmen) ইতিহাসের সমস্ত স্মারক, প্রতীকী ভাস্কর্য সরিয়ে দেওয়া হয়। রাতারাতি সেখান থেকে সরানো হয় দীর্ঘ স্তম্ভ যা ‘পিলার অফ শেম’ নামে পরিচিত। এই স্তম্ভের গায়ে অজস্র খোদাই ছিল তিয়ানআনমেন স্কোয়ারে নিহতদের অনেকের মূর্তি। দিনের আলোয় দেখা গেল, তা আর নেই। এই ঘটনায় হংকংয়ের বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ুয়ারা ক্ষোভে ফেটে পড়েন। সমালোচকরা বলছেন, এভাবে আগ্রাসন দেখিয়ে কলঙ্ক মুছে দেওয়ার চেষ্টা করছে চিন।

Advertisement

উল্লেখ্য, গতবছরের শেষের দিকে তিয়েনআনমেন হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদ করায় দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছে হংকংয়ের ধনকুবের তথা গণতান্ত্রিক আন্দোলনের অন্যতম মুখ জিমি লাইকে। একইসঙ্গে দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছে গণতন্ত্রকামী প্রাক্তন সাংবাদিক গাইনেথ হো এবং প্রাক্তন মানবাধিকার সংক্রান্ত আইনজীবী চাউ হাং তুংকে। আর এসবের পর এবার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকেও তিয়েনআনমেনকে মুছে দেওয়ার মরিয়া প্রয়াস চালাল চিন।

[আরও পড়ুন: ‘যুদ্ধ হলে ভয়ানক জবাব দেওয়া হবে রাশিয়াকে’, ইউক্রেনের প্রেসিডেন্টকে আশ্বাস বাইডেনের]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ