Advertisement
Advertisement

Breaking News

‘মাত্র ১০ মিনিট লাগবে’, হংকংয়ের গণতন্ত্রকামীদের হুমকি লাল ফৌজের

মূল শহর থেকে প্রায় ৩৫ কিলোমিটার দূরে শেনঝেন শহরে ঘাঁটি গেড়েছে চিনা ফৌজ৷

Chinese military warns it can hit Hong Kong in 10 minutes
Published by: Monishankar Choudhury
  • Posted:August 16, 2019 3:21 pm
  • Updated:May 19, 2020 9:27 am

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: হংকংয়ে বেনজির বিক্ষোভ থামাতে এবার সরাসরি আসরে নামল চিনা সেনা৷ গণতন্ত্রকামী জনতাকে হুঁশিয়ারি দিয়ে লাল ফৌজ বলেছে, শহরে পৌঁছাতে তাদের মাত্র ১০ মিনিট লাগবে৷ 

সার দিয়ে দাঁড়িয়ে লালফৌজের ট্রাক

বর্তমানে, মূল শহর থেকে প্রায় ৩৫ কিলোমিটার দূরে শেনঝেন শহরে ঘাঁটি গেড়েছে চিনা ফৌজ৷ সারি দিয়ে দাঁড়িয়ে রয়েছে লালফৌজের সাঁজোয়া গাড়ি৷  সেই ছবি প্রকাশ করেছে চিনা সংবাদমাধ্যম৷ এই ছবি প্রকাশ্যে আসতেই কার্যত স্বশাসিত দ্বীপটিতে উদ্বেগ চরমে৷

Advertisement

Advertisement

হংকংয়ে গণতন্ত্রকামী জনতার বিক্ষোভ নিয়ন্ত্রণে আগেই চিনকে সংযত পথে এগোনোর নির্দেশ দিয়েছে রাষ্ট্রসংঘ৷ তবে আন্তর্জাতিক মঞ্চটিকে কার্যত বুড়ো আঙুল দেখিয়ে হংকং সীমান্তে বিপুল সেনা মোতায়েন শুরু করেছে বেজিং৷ ‘শেনঝেন বে স্পোর্টস সেন্টার’ নামে একটি প্রতিষ্ঠানের বাইরে সার সার ট্যাঙ্ক দাঁড়িয়ে থাকার ভিডিও প্রকাশ্যে এসেছে। যা দেখে অনেকেরই অনুমান, বড় ধরনের কোনও অভিযান শুরু হতে চলেছে। উল্লেখ্য, ব্রিটিশ শাসন সমাপ্ত হওয়ার পর চিনের মূল ভূখণ্ডের তুলনায় অনেকটাই স্বাধীনতা ভোগ করে এসেছে হংকং৷ বিশ্বের অন্যতম বড় অর্থনীতির শহরটিতে কোনওকালেই লাল ফৌজের বুটের আওয়াজ সেই অর্থে শোনা যায়নি৷ যদিও হংকং শহরে প্রায় ৬ হাজার জওয়ানের একটি গ্যারিসন রয়েছে চিনা সেনার৷ আইন অনুযায়ী, আইনশৃঙ্খলা বজায় রাখতে ও হিংসা থামাতে লাল ফৌজের মদত চাইতে পারেন হংকংয়ের প্রশাসক ক্যারি ল্যাম৷ পরিস্থিতি আরও ঘোরাল করে সদ্য বিক্ষোভ নিয়ে মুখ খুলেছেন হংকং সেনাঘাঁটির কমান্ডার৷ তাঁর সাফ কথা, ‘এহেন বিক্ষোভ কোনও মতেই বরদাস্ত করা যায় না৷’ এর ঠিক আগেই বিক্ষোভকারীদের উদ্দেশ্যে কড়া হুঁশিয়ারি দিয়েছে বেজিং৷ ফলে সব মিলিয়ে, হংকংয়ে তিয়ানআনমেন স্কোয়ার গণহত্যার পুনরাবৃত্তি হতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করছেন অনেকেই৷  

বিশ্লেষকদের মতে, এর আগেও বিভিন্ন অহিংস আন্দোলনকে ‘সন্ত্রাসবাদ’ তকমা দিয়ে সৈন্য অভিযান চালিয়েছে চিন। তিব্বত এবং শিনজিয়াংয়ের মতো ছোট ছোট অঞ্চলই তার প্রমাণ। রাষ্ট্রসংঘের মানবাধিকার সংক্রান্ত হাইকমিশনার মিশেল বাচেলে বলছেন, “হংকংয়ের প্রতিবাদের সঙ্গে সন্ত্রাসকে মেলালে চিন কিন্তু পরিস্থিতিকে আরও ভয়ঙ্কর করে তুলবে।”

উল্লেখ্য, বিগত বেশ কয়েক দিন থেকেই বিক্ষোভকারীদের দখলে রয়েছে হংকং বিমানবন্দর৷ রাস্তায় নেমে গণতন্ত্রের দাবিতে বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন লক্ষ লক্ষ মানুষ৷ কার্যত স্তব্ধ বিশ্ব অর্থনীতির অন্যতম বড় কেন্দ্র হংকং৷       

[আরও পড়ুন: মাঝ আকাশে বিমানে পাখির ধাক্কা, ভুট্টা খেতে জরুরি অবতরণ পাইলটের]

 

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ