Advertisement
Advertisement
Houthi

লোহিত সাগরে হাউথিদের দৌরাত্ম্য! দুস্থদের কাছে পৌঁছচ্ছে না খাবার-ওষুধ, উদ্বিগ্ন আমেরিকা

লোহিত সাগরের পরিস্থিতি নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন মার্কিন বিদেশ সচিব অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন। 

Houthi attacks in Red Sea preventing food, medicine from reaching vulnerable says US
Published by: Suchinta Pal Chowdhury
  • Posted:April 19, 2024 8:56 pm
  • Updated:April 19, 2024 8:57 pm

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: গত কয়েক মাস ধরে লোহিত সাগরে একের পর এক পণ্যবাহী জাহাজে হামলা চালাচ্ছে ইয়েমেনের হাউথিরা। ইরানের মদতপুষ্ট এই সশস্ত্র সংগঠনটি আক্রমণ শানাচ্ছে এডেন উপসাগরেও। নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের পথে। ফলে দুস্থ মানুষদের কাছে খাদ্য, ওষুধ ও আরও প্রয়োজনীয় সামগ্রী পৌঁছে দিতে বিঘ্ন ঘটছে। যা নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করলেন মার্কিন বিদেশ সচিব অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন।  

ইজরায়েল-হামাস যুদ্ধের পর থেকেই লোহিত সাগরে হামলা বৃদ্ধি পেয়েছে। বিভিন্ন দেশের চোখ রাঙানি উপেক্ষা করে লোহিত সাগরে হামলা চালিয়ে যাচ্ছে ইয়েমেনের হাউথিরা। মিসাইল ছুড়ছে পণ্যবাহী জাহাজে। ইরানের মদতপুষ্ট এই জঙ্গিদের বিরুদ্ধে পালটা আক্রমণ শানাচ্ছে আমেরিকা ও ব্রিটেনও। হামলা করা হচ্ছে জঙ্গি ডেরাতেও। এই আবহে শুক্রবার ব্লিঙ্কেন উদ্বেগ প্রকাশ করে এক্স হ্যান্ডেলে লেখেন, ‘লোহিত সাগরে পণ্যবাহী জাহাজে হামলা চালাচ্ছে হাউথিরা। এর ফলে দুস্থ মানুষদের কাছে খাদ্য ও ওষুধ পৌঁছে দিতে বিঘ্ন ঘটছে। সমস্যায় পড়তে হচ্ছে তাঁদের। আমি জি ৭ গোষ্ঠীভুক্ত দেশগুলোকে আহ্বান জানাচ্ছি। এই অঞ্চলের স্বাধীনতা রক্ষায় আমাদের একজোট হতে হবে।’

Advertisement

[আরও পড়ুন: নজরে চিন, ফিলিপিন্সের হাতে অত্যাধুনিক ব্রহ্মস মিসাইল তুলে দিল ভারত]

লোহিত সাগরের এই উদ্বেগজনক পরিস্থিতির মাঝেই মধ্যপ্রাচ্যে ফের ঘনাচ্ছে যুদ্ধের মেঘ। এবার লড়াইয়ের আসরে ইজরায়েল ও ইরান। গত ১ এপ্রিল সিরিয়ায় ইরানের দূতাবাসে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায় হয়। অন্তত ১৩ জন প্রাণ হারান। মৃতদের মধ্যে ছিলেন দুজন ইরানি সেনাকর্তাও। এই হামলার পিছনে ইজরায়েলের ‘হাত’ ছিল বলে অভিযোগ তেহরানের। তার বদলা নিতে গত ১৩ এপ্রিল ইজরায়েলে মিসাইল হামলা চালায় ইরান। তার পর থেকে চাপানউতর চলছিল দুদেশের মধ্যে। এর মাঝেই বৃহস্পতিবার গভীর রাতে ইরানে আছড়ে পড়ে বেশ কয়েকটি ইজরায়েলি ক্ষেপণাস্ত্র। মনে করা হচ্ছে, দিন কয়েক আগে তেহরানের আক্রমণের জবাব দিতেই ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়েছে ইজরায়েলি ডিফেন্স ফোর্সেস (আইডিএফ)। বিশ্লেষকদের আশঙ্কা, এর প্রভাব পড়তে পারে লোহিত সাগরেও। ইরানের মদতপুষ্ট হাউথিরা আরও জোরাল হামলা চালাতে পারে পণ্যবাহী জাহাজগুলোতে।

Advertisement

উল্লেখ্য, গত বছরের নভেম্বর থেকে লোহিত সাগরে হামলা তীব্র করেছে হাউথিরা। ইয়েমেনের সশস্ত্র সংগঠনটির তরফে জানানো হয়েছে, গাজায় প্যালেস্তিনীয়দের সমর্থনে এই হামলা চালানো হচ্ছে। ইজরায়েলের বিরুদ্ধে যুদ্ধে হামাসের পক্ষে রয়েছে তারা। যতদিন না গাজায় ইজরায়েলি ফৌজ হামলা বন্ধ করছে ততদিন এই আক্রমণ চলবে। গত ৭ অক্টোবর ইজরায়েলে বেনজির হামলা চালায় প্যালেস্তিনীয় জঙ্গি সংগঠন হামাস। যার বদলা নিতে গত ছয় মাস ধরে গোটা গাজা ভূখণ্ড গুঁড়িয়ে দিচ্ছে তেল আভিভ। খুঁজে খুঁজে আক্রমণ করা হচ্ছে জেহাদিদের ডেরায়। ইজরায়েলি বাহিনীর হাতে নিকেশ হয়েছে হামাসের বেশ কয়েকজন শীর্ষ নেতা। কিন্তু এই যুদ্ধে প্রাণ হারাচ্ছেন গাজার নিরীহ মানুষরাও। ইতিমধ্যেই সেখানে মৃতের সংখ্যা ৩৩ হাজার পেরিয়ে গিয়েছে।

[আরও পড়ুন: লাইভ টিভিতে জোর করে সঞ্চালিকার মাথায় ওড়না চাপালেন পাকিস্তানি যুবক! তুঙ্গে বিতর্ক]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ