সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: নতুন বছরে নজির গড়ে দেখাল আইসল্যান্ড। বিশ্বের প্রথম দেশ হিসেবে আইসল্যান্ডের আইনসভা ঘোষণা করল, একই কাজের জন্য মহিলাদের তুলনায় পুরুষদের অতিরিক্ত পারিশ্রমিক পাওয়া বেআইনি। অর্থাৎ নারী-পুরুষের বেতনে থাকবে না কোনও ভেদাভেদ। নতুন নিয়ম বছরের প্রথম দিন থেকেই চালু হয়েছে। যদিও আইসল্যান্ডের পার্লামেন্টে এই আইন পাশ হয়েছিল গত বছর জুন মাসে। দেশের সরকারি এবং বেসরকারি-দুই ক্ষেত্রেই এই নয়া নিয়ম কার্যকর হচ্ছে।
[নোট বাতিল ও জিএসটির প্রভাব, আর্থিক বৃদ্ধির হার কমে ৬.৫%]
নতুন এই বিল পাসের পর ২০২২ সালের মধ্যে কর্মক্ষেত্রে লিঙ্গ বৈষম্য সম্পূর্ণ মুছে যাবে আশা রাখছেন আইসল্যান্ডের মহিলারা। পুরনো নিয়ম অনুযায়ী, আইসল্যান্ডে নারী ও পুরুষদের মধ্যে বেতনে ৫.৭ শতাংশ পার্থক্য ছিল। সংবাদসংস্থা পিটিআই সূত্রে পাওয়া খবর অনুযায়ী, আইসল্যান্ডে যে সব কোম্পানিতে ২৫ জনের বেশি কর্মচারী কাজ করেন, সেই সব কোম্পানির মালিককে সরকারের কাছ থেকে ‘ইক্যুয়াল পে’ পলিসি সংক্রান্ত সার্টিফিকেট নিতে হবে। অন্যথায় তাঁদের জরিমানা করা হবে। প্রতি তিন বছর অন্তর এই পলিসি সংক্রান্ত সার্টিফিকেট পুনর্নবীকরণ করতে হবে।
[উত্তর কোরিয়াতেই ভেঙে পড়ল কিমের ক্ষেপণাস্ত্র, দাবি মার্কিন রিপোর্টে]
ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরামের তথ্য অনুযায়ী, নারী ও পুরুষদের বেতনে ভেদাভেদের তালিকায় বিশ্বে এক নম্বরে আছে ইয়েমেন। স্ক্যান্ডিনেভিয়ার দেশগুলি (নরওয়ে, সুইডেন, ফিনল্যান্ড) এই তালিকায় বেশ নিচের দিকে। ২০১৭ সালে পারিশ্রমিকের বৈষম্যের বিরুদ্ধে পথে নেমেছিলেন গোটা বিশ্বের হাজার হাজার মহিলা। সমান পারিশ্রমিকের দাবিতে মাঝে সরব হয়েছিলেন সেরেনা উইলিয়মসের মতো তারকারাও। গত নয় বছর ধরে ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরামের তালিকায় মোস্ট জেন্ডার-ইক্যুয়াল কান্ট্রি হিসেবে আইসল্যান্ডের নাম উঠে এসেছে। আইসল্যান্ডের আইনসভাতেও এখন ৫০ শতাংশ সদস্য মহিলা।