Advertisement
Advertisement

Breaking News

পাকিস্তান

ইমরানের জনপ্রিয়তায় ভাটা, ফের পাকিস্তানের রাশ ধরতে চলেছে ফৌজ!

ইমরান সরকারের অন্তত ১২টি গুরুত্বপূর্ণ পদে রয়েছেন সেনা আধিকারিকরা।

Imran Khan's popularity dips, army grips Pakistan tightly
Published by: Monishankar Choudhury
  • Posted:June 10, 2020 2:59 pm
  • Updated:June 10, 2020 2:59 pm

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: খাতায়-কলমে গণতান্ত্রিক দেশ পাকিস্তান। ১৯৪৭ সালে তৈরি হওয়ার পর প্রায় ৭০ বছরের ইতিহাসে সেনাশাসকদের হাতে সে দেশে বহুবার ধর্ষিত হয়েছে গণতন্ত্র। ১৯৫৮ সালে পাকিস্তানের প্রথম রাষ্ট্রপতি ইস্কান্দার মির্জা থেকে শুরু করে ১৯৯৯ সালে পারভেজ মুশারফ, নির্বাচিত সরকার হেলায় ভেঙে ক্ষমতা দখল করতে কোনও দ্বিধাবোধ করেননি কেউই। বর্তমানের ইমরান খান সরকারের সঙ্গেও কি তেমনটাই হতে চলেছে? করোনা মহামারীর আবহে উঠছে এমন প্রশ্নই। বিগত দু’মাসে খোদ ইসলামাবাদের অন্দরে ঘটা একাধিক ঘটনায় জোরাল হচ্ছে তেমন আশঙ্কাই।

[আরও পড়ুন: ‘সত্যিই ভারতের ভূখণ্ড দখল করেছে চিন, তবে…’, রাহুলকে জবাব লাদাখের বিজেপি সাংসদের]

সূত্রের খবর, ইমরান সরকারের অন্তত ১২টি গুরুত্বপূর্ণ পদে রয়েছেন প্রাক্তন বা কর্মরত সেনা আধিকারিকরা। এর মধ্যে সবথেকে উল্লেখযোগ্য হল, পাক সরকারি বিমান সংস্থা, ন্যাশনাল ইন্সটিটিউট অফ হেলথ ও বিদ্যুৎ সরবরাহ বিভাগ। এই তিনটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণই ক্ষেত্রেই শীর্ষ পদে রয়েছেন সেনা আধিকারিকরা। এবং বিগত দু’মাসে অর্থাৎ করোনা মহামারীর আবহেই এই তিনটি পদ পূরণ করা হয়। তাৎপর্যপূর্ণভাবে পাকিস্তানে করোনা মহামারীর বিরুদ্ধে লড়াইয়ে নেতৃত্ব দিচ্ছে ন্যাশনাল ইন্সটিটিউট অফ হেলথ। ফলে সরকারের নেপথ্যে আসলে পাকিস্তানে করোনা নিয়ে সিদ্ধান্ত নিচ্ছে সেনা বলেই মনে করছেন বিশ্লেষকরা।

Advertisement

বিগত কয়েকমাস ধরেই আর্থিক মন্দা, জিনিসপত্রের লাগাতার মূল্যবৃদ্ধি, ভেঙে পড়া স্বাস্থ্য পরিকাঠামো-সহ একাধিক বিষয়ে ইমরান সরকারের জনপ্রিয়তা তলানিতে ঠেকেছে। ২০১৮ সালে পাক ফৌজের স্নেহধন্য হয়ে ক্ষমতায় এসে ‘নয়া’ পাকিস্তানের স্বপ্ন দেখিয়েছেন প্রাক্তন পাক ক্রিকেটার। তবে সেই ইমরানের ‘নতুন; পাকিস্তানে মোহভঙ্গ হয়েছে সে দেশের জনতার। এহেন পরিস্থিতিতে সরকারের গুরুত্বপূর্ণ পদ হাতে নিয়ে গণতন্ত্রের আড়ালে আসলে পাক সেনাই দেশের রাশ হাতে নিয়েছে বলে মনে করছেন ‘Atlantic Council’-এর সিনিয়র ফেলো উজেইর ইউনুস।

Advertisement

উল্লেখ্য, নির্বাচনের আগে থেকেই সেনার সঙ্গে তাঁর কোনও সম্পর্ক নেই বলেই দাবি করে এসেছেন ইমরান খান। যদিও অনেকেরই দাবি পাক সেনার অঙ্গুলি হেলনেই প্রধানমন্ত্রী পদে বসতে পেরেছেন তিনি। ক্ষমতায় আসার পর অবশ্য সুর পাল্টেছেন ইমরান। কয়েক মাস আগে এক জনসভায় তিনি বলেন, ‘সেনা আমার সঙ্গে দাঁড়িয়ে রয়েছে।’ করোনা আবহে দেশবাসীকে অযথা আতঙ্কিত না হওয়ার বার্তা দিলেও পাকিস্তানে লকডাউন ঘোষণা করেন সেনার মুখপাত্র। ফলে লকডাউন লগু করা এবং তা তুলে নেওয়াও সেনার নির্দেশেই হচ্ছে বলে মনে করা হচ্ছে, সব মিলিয়ে ফের প্রকাশ্যে না হলেও পর্দার আড়ালে সেন অভ্যুথানের আশঙ্কা করছেন অনেকেই।

[আরও পড়ুন: গলছে বরফ! সেনা পিছনোর পর লাদাখ ইস্যুতে ফের বৈঠকে বসছে ভারত ও চিন]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ