সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: নিজেদের বাঁচাতে এবার আদাজল খেয়ে আসরে নেমে পড়ল ভারত ও ইন্দোনেশিয়া। চিনের সম্প্রসারণবাদী মনোভাব থেকে নিজেদের রক্ষা করতেই দুই দেশ হাত মিলিয়েছে বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা। সাবংয়ে বন্দর উন্নয়নের দিকে নজর দিয়েছে দুই দেশই। সেই সঙ্গে মালাক্কা স্ট্রেইটসের প্রবেশের দিকে নজর দেওয়া হচ্ছে।
[ সাংবাদিকের মুখে খাবার তুলে ধরছে শিশু, উদ্বাস্তু ভূমির এই ছবিই ঝড় তুলল নেটদুনিয়ায় ]
চিন আপাতত নজর দিয়েছে জলপথের দিকে। সেদিক দিয়েই নিজের এলাকা সম্প্রসারণে ব্যস্ত বেজিং। তাই জলপথকে সুরক্ষিত করতে হাত মিলিয়েছে ভারত ও ইন্দোনেশিয়া। ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও ইন্দোনেশিয়ার প্রেসিডেন্ট জোকো উইদোদো আলোচনার পর এনিয়ে একটি চুক্তি করেছেন। এছাড়াও দুই দেশ প্রতিরক্ষা ও উপকূলবর্তী সুরক্ষার দিকেও নজর দিচ্ছে দুই দেশ।
এছাড়া ভারত ও ইন্দোনেশিয়ার মধ্যে সম্পর্ক দৃঢ় করতে সচেষ্ট হয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। ইন্দোনেশিয়া থেকে যারা ভারতে ঘুরতে আসবে, তাদের জন্য ৩০ দিনের ফ্রি ভিসা মঞ্জুর করা হয়েছে। মোদি বলেছেন, “আপনারা অনেকেই ভারতে যাননি। আমি আপনাদের সবাইকে পরের বছর কুম্ভমেলায় আমন্ত্রণ জানাচ্ছি।”
[ শান্তি প্রতিষ্ঠায় সবথেকে বেশি শহিদ ভারতীয় জওয়ানরাই, মত রাষ্ট্রসংঘের ]
চিনের সম্প্রসারণ মনোভাবের দিকে নজর রেখে দুই দেশই উপকূলবর্তী সীমান্তের মধ্যস্থতা করতে প্রস্তুত। রাষ্ট্রসংঘের সমুদ্র সংক্রান্ত আইন মেনেই এটি করা হবে বলে জানা গিয়েছে। ইন্দোনেশিয়ার অর্থনৈতিক অঞ্চলে অনৈতিকভাবে প্রবেশ করার অভিযোগ উঠেছে চিনের বিরুদ্ধে। শোনা যাচ্ছে, দক্ষিণ চিন সাগরের নাতুনা সাগর অঞ্চল নিজের দখলে আনছে চাইছে চিন। ভারতের সঙ্গে চুক্তির এটি ইন্দোনেশিয়ার অন্যতম কারণ বলে মনে করা হচ্ছে। এদিকে ভারতের অরুণাচল প্রদেশ-সহ বেস কিছু এলাকায় শকুনের চোখ মেলে তাকিয়ে রয়েছে চিন। সম্ভবত এই কারণেই প্রতিরক্ষা নিয়ে ভাবিত দুই দেশ।
এছাড়া আলোচনা সভায় ভারত ও ইন্দোনেশিয়া, দুই দেশের অর্থনীতি, প্রতিরক্ষা ও সাংস্কৃতিক ক্ষেত্রে দুই দেশের দৃষ্টিভঙ্গি নিয়েও কথাবার্তা হয়। প্রসঙ্গত, এই প্রথম ভারত এশিয়ার কোনও দেশের সঙ্গে তার দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে কথাবার্তা বলল।