সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: শান্তির জন্য শক্তির প্রয়োজন৷ তাই দায়িত্বশীল দেশ হিসেবে আগ্রাসনের পথে না হেঁটে সার্বভৌমত্ব বজায় রাখতে সামরিক শক্তি বাড়াচ্ছে ভারত৷ সম্প্রতি, চিন ও পাকিস্তানের আধুনিক সমরসজ্জায় অশনি সংকেত দেখছে নয়াদিল্লি৷ বেশ কয়েকবার পরমাণু হামলার হুমকিও দিয়েছে পাকিস্তান৷ এছাড়াও দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলে রয়েছে ‘ড্রাগনে’র চোখ রাঙানি৷ তাই এবার দেশের সুরক্ষায় মোতায়েন করা হবে দুর্ভেদ্য ‘মিসাইল ডিফেন্স সিস্টেম’৷ রাশিয়ার কাছ থেকে ৩৯,০০০ হাজার কোটি টাকা খরচে কেনা হচ্ছে পাঁচটি অত্যাধুনিক ‘ট্রায়াম্ফ এয়ার ডিফেন্স মিসাইল সিস্টেম’।
কীভাবে কাজ করে এই এয়ার ডিফেন্স মিসাইল সিস্টেম?
অত্যাধুনিক এই ‘ঢাল’ দেশের দিকে ধেয়ে আসা যে কোনও ক্ষেপণাস্ত্র, বোমারু বিমান, ড্রোন, এমনকী স্টেলথ ফাইটার জেটকে চিহ্নিত ও ধ্বংস করতে সক্ষম। ৪০০ কিলোমিটার এলাকা জুড়ে অন্তত ৩০০টি লক্ষ্যবস্তুকে একসঙ্গে চিহ্নিত করতে সক্ষম এই ডিফেন্স সিস্টেম৷ সেই সঙ্গে অন্তত তিন ডজন লক্ষ্যবস্তুকে ধ্বংসও করতে পারবে৷ দেশের গুরুত্বপূর্ণ পরমাণু গবেষণা কেন্দ্র ও সরকারি ভবনগুলিতে এই সিস্টেম বসানো হবে৷ একবার এই চুক্তি চূড়ান্ত হয়ে গেলে পাকিস্তান ও চিনের পারমাণবিক ক্ষেপণাস্ত্র আক্রমণের হাত থেকেও অনেকটা নিশ্চিন্ত থাকবে ভারত৷
ইতিমধ্যেই দেশীয় প্রযুক্তিতে ‘মিসাইল শিল্ড’ তৈরি করে সামরিক ক্ষেত্রে আমেরিকা ও রাশিয়ার মতো প্রথম সারির দেশগুলির সমকক্ষ জায়গায় পৌঁছে গিয়েছে ভারত। ভারতের নিজস্ব ইন্টারসেপ্টর মিসাইল শত্রুপক্ষের ছোড়া ব্যালিস্টিক মিসাইলকে ভূপৃষ্ঠ স্পর্শ করার ১০০ কিলোমিটার আগেই ধ্বংস করতে সক্ষম। প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের একটি সূত্র জানাচ্ছে, পাঁচটি এস-৪০০ সিস্টেম আগামী ৫৪ মাসের মধ্যেই পুরোদস্তুর কাজ শুরু করে দেবে এ দেশে, আশা করা হচ্ছে এমনটাই। প্রথমে মাঝারি পাল্লার ব্যালিস্টিক মিসাইল, পরে ধীরে ধীরে তার ক্ষমতা বাড়ানো হবে। এর জন্য ভারতীয় সংস্থা ও গবেষকদের সাহায্য করবেন রুশ বিজ্ঞানীরা। চিন ছয়টি নতুন এস-৪০০ এসএ-২১ গ্রাউলার মিসাইল শিল্ড তৈরি করে ফেলেছে দেখেই ভারতও তড়িঘড়ি নিজেদের সুরক্ষা ব্যবস্থাকে মজবুত করতে চায়।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.