Advertisement
Advertisement

সেনা প্রত্যাহার ইস্যুতে ট্রাম্পকে সমর্থন ভারতীয় বংশোদ্ভূত ডেমোক্র্যাটের

শান্তিপ্রক্রিয়ার পক্ষে সওয়াল তাঁর।

Indian-American Congressman backs Trump
Published by: Tanujit Das
  • Posted:December 22, 2018 6:04 pm
  • Updated:December 22, 2018 6:04 pm

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক:  সিরিয়ার পাশাপাশি আফগানিস্তান থেকে সেনা প্রত্যাহারের প্রক্রিয়া শুরু করে দিয়েছে আমেরিকা৷ একথা জানিয়েছেন খোদ মার্কিন প্রেসিডেন্ট৷ যাকে তালিবানদের সঙ্গে শান্তিপ্রক্রিয়া শুরু করার উল্লেখযোগ্য পদক্ষেপ বলে মনে করছেন ট্রাম্পের সমর্থনকারীরা৷ তবে উল্লেখযোগ্য বিষয় হল, মার্কিন প্রেসিডেন্টের এই সিদ্ধান্তকে সমর্থন জানিয়েছে তাঁরই বিরোধী শিবিরের একজন জনপ্রতিনিধিও৷ আফগানিস্তান থেকে সেনা প্রত্যাহার করাকে সঠিক বলে সমর্থন করেছেন ভারতীয় বংশোদ্ভূত ডেমোক্র্যাট প্রতিনিধি রো খান্না৷

[মেক্সিকো সীমান্তে প্রাচীর নিয়ে বিবাদ, বন্ধ মার্কিন কোষাগার]

Advertisement

বৃহস্পতিবার মার্কিন প্রেসিডেন্ট ঘোষণা করেন, সিরিয়া থেকে সেনা প্রত্যাহারের কথা৷ পাশাপাশি তিনি জানান, আফগানিস্তান থেকেও সেনা প্রত্যাহারের প্রক্রিয়া শুরু হয়ে গিয়েছে৷ আগামী দু’মাসের মধ্যে সেদেশ থেকে সাত হাজার সেনা সরিয়ে নেবে আমেরিকা৷ মার্কিন প্রেসিডেন্টের এই সিদ্ধান্তকে ‘হঠকারী’ বলে সমালোচনা করেছে কূটনৈতিক মহলের একাশং৷ তবে তাঁকে সমর্থন করেছে ক্যালিফোর্নিয়া থেকে নির্বাচিত মার্কিন কংগ্রেসের ডেমোক্রেট সদস্য রো খান্না৷ মার্কিন প্রেসিডেন্টের বিরোধী শিবির ডেমোক্র্যাটদের প্রতিনিধি হয়েও ট্রাম্পের সেনা প্রত্যাহার করাকে সঠিক বলে মনে করেন তিনি৷ কেন এমন সিদ্ধান্ত? নিজের সিদ্ধান্তের সমর্থন যথাযথ যুক্তিও দিয়েছেন মার্কিন কংগ্রেসের এই ডেমোক্র্যাট প্রতিনিধি৷ তিনি বলেন, “দক্ষিণ এশিয়ায় শান্তিরক্ষার ক্ষেত্রে সবচেয়ে বেশি সাহায্য করতে পারে ভারত, পাকিস্তান, চিনের মতো আঞ্চলিক দেশগুলি৷ সেকারণে ওই দেশগুলিকে শান্তি রক্ষার্থে উৎসাহিত করতে হবে৷ দিনের পর দিন আফগানিস্তানে সেনা মোতায়েন করে রাখলে কিছু হবে না৷”

Advertisement

[হেনস্তা চলছেই, ইমরানের আমলে ইসলামাবাদে অসহায় ভারতীয় কূটনৈতিকরা]

যুদ্ধবিধ্বস্ত আফগানিস্তানে শান্তি প্রতিষ্ঠায় দীর্ঘদিন ধরেই চেষ্টা চালাচ্ছে আমেরিকা৷ তালিবানদের সঙ্গে শান্তি প্রতিষ্ঠার উদ্দেশ্যে আগেই পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানকে চিঠি লিখেছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প৷ চিঠিতে তিনি অনুরোধ করেছিলেন, যাতে তালিবানদের সঙ্গে শান্তিপ্রক্রিয়ায় মধ্যস্থতাকারীর ভূমিকা পালন করেন পাক প্রধানমন্ত্রী৷ কিন্তু আমেরিকার সেই চিঠির তেমন একটা যথাযথ উত্তর দেননি পাক প্রধানমন্ত্রী৷ কিন্তু এই শান্তি প্রতিষ্ঠায় গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ শুরু করেছে আমেরিকা৷ যদিও তাঁর এই সিদ্ধান্তকে ভাল ভাবে নেয়নি কাবুল৷ ওয়াশিংটনের বিরুদ্ধে প্রচ্ছন্নে ক্ষোভ উগরে দিয়েছে আফগান প্রেসিডেন্ট আশরফ ঘানির দপ্তর৷ তাঁদের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, আমেরিকা সেনা সরালেও আফগানিস্তানের নিরাপত্তার উপরে এই সেনা প্রত্যাহারের প্রভাব পড়বে না৷

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ