Advertisement
Advertisement

Breaking News

বেজিংয়ে বাড়ছে মুসলিমদের উপর অত্যাচার, চুপ ইসলামাবাদ

প্রকাশ্যে পাক দ্বিচারিতা!

Islamic countries silent on atrocities against Muslims in China
Published by: Tanujit Das
  • Posted:September 1, 2018 4:32 pm
  • Updated:September 1, 2018 4:32 pm

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: চিনে ক্রমাগত বেড়ে চলেছে সংখ্যালঘু মুসলিম নাগরিকদের উপর অত্যাচার৷ যা নিয়ে ইতিমধ্যেই সরব হয়েছে রাষ্ট্রসংঘ, আমেরিকা ও ইউরোপিয় ইউনিয়ন৷ তবে আশ্চর্যজনক ভাবে এই ইস্যুতে মুখে কুলুপ এঁটেছে পাকিস্তান, সৌদি আরব, তুরস্ক, ইন্দোনেশিয়া ও মালয়েশিয়ার মতো ইসলামিক রাষ্ট্রগুলি৷ এমনকি চুপ রয়েছে অর্গানাইজেশন অফ ইসলামিক কর্পোরেশন৷ যাতে দু’মুখো নীতি বলে ব্যাখ্যা করছেন অনেকেই৷

[পাকিস্তানে নিষিদ্ধ সিনেমার ‘অশালীন’ পোস্টার, বিতর্কের মুখে মন্ত্রী]

Advertisement

তিন সপ্তাহ আগে রাষ্ট্রসংঘ একটি রিপোর্ট পেশ করে৷ যেখানে উল্লেখ করা হয়েছে, বর্তমানে চিনে এক মিলিয়ন তুর্কিভাষী মানুষ বসবাস করেন৷ যাঁরা উইঘুরস সম্প্রদায়ের অন্তর্ভূক্ত৷ বলপূর্বক তাঁদের শিনজিয়াং প্রদেশের বিশেষ ক্যাম্পে নিয়ে যাওয়া যাচ্ছে চিনা প্রশাসন এবং সেখান তাঁদের মগজ ধোলাই করা হচ্ছে৷ চলছে অত্যাচার৷ এই রিপোর্ট পেশের পরেই চিনের বিরুদ্ধে সুর চড়িয়েছে মার্কিন প্রশাসন৷ দাবি উঠেছে অভিযুক্ত শীর্ষ চিনা অাধিকারিকদের কালো তালিকাভুক্ত করার৷ এই বিষয়ে প্রতিবাদ জানিয়ে চিঠি পৌঁছে গিয়েছে মার্কিন স্টেট সচিব মাইক পম্পেও ও ট্রেজারি সচিব স্টিভেন মুছিনের কাছে৷ চিঠি লিখেছেন সেনেটর মার্কো রুবিও ও খ্রিস স্মিথ৷ সংখ্যালঘু মুসলিমদের উপর এই চিনা আগ্রাসনের প্রতিবাদ করেছে ইউরোপিয় ইউনিয়নের আধিকারিকরাও৷

Advertisement

[জল বাড়ছে ব্রহ্মপুত্রে, ভারতে বন্যা সতর্কতা জারি করল চিন]

তবে আশ্চর্যের বিষয় হল, মুসলিমদের উপর চিনের এই অত্যাচারের বিরুদ্ধে এখনও পর্যন্ত মুখ খুলতে দেখা যায়নি কোনও সংখ্যাগরিষ্ঠ ইসলামিক রাষ্ট্রকে৷ তাঁদের মধ্যে অন্যতম পাকিস্তান, ইন্দোনেশিয়া, মালয়েশিয়া, সৌদি আরব৷ এমনকি তুর্কি নাগরিকদের উপর অত্যাচার চললেও, বেজিং-এর বিরুদ্ধে মুখ বুঝে রয়েছে তুরস্ক৷ এমনকি কাশ্মীর বা রোহিঙ্গা ইস্যুতে মতামত দিলেও এই বিষয়ে মুখে কুলুপ এঁটেছে অর্গানাইজেশন অফ ইসলামিক কর্পোরেশন৷ ইসলামিক রাষ্ট্রগুলির এই দ্বিচারিতার কারণ বুঝতে না পারলেও তা অনুমান করতে পারছেন আন্তর্জাতিক বিশেষজ্ঞরা৷ তাঁদের মতে, চিনের সঙ্গে বাণিজ্যিক সু-সম্পর্ক বজায় রয়েছে উল্লেখিত ইসলামির রাষ্ট্রগুলির৷ আর পাকিস্তানের সব ঋতুর বন্ধু চিন৷ আন্তর্জাতিক মহলে একাধিক বিষয়ে চিনের ভরসাতেই অস্তিত্ব টিকিয়ে রেখেছে ইসলামাবাদ৷ ফলে এই মুহূর্তে চিনের চোখে চোখ রেখে কতটা কথা বলতে পারবে মুসলিম অধ্যুষিত রাষ্ট্রগুলি সেই বিষয়ে সন্দেহ রয়েছে আন্তর্জাতিক বিশেষজ্ঞদের৷

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ