Advertisement
Advertisement

Breaking News

Israel

রকেট হামলার বদলা নিল ইজরায়েল, বিমান হানায় খতম ইসলামিক জেহাদের নেতা

জঙ্গি গোষ্ঠী হামাসের সঙ্গে ইজরায়েলের লড়াই কিছুতেই থামছে না।

Islamic Jihad commander killed in Israeli air strike in Gaza | Sangbad Pratidin
Published by: Monishankar Choudhury
  • Posted:May 18, 2021 1:35 pm
  • Updated:May 18, 2021 2:30 pm

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: জঙ্গি গোষ্ঠী হামাসের সঙ্গে ইজরায়েলের (Israel) লড়াই কিছুতেই থামছে না। আন্তর্জাতিক মঞ্চের উদ্বেগ বাড়িয়ে গাজায় লাগাতার বিমান হানা চালিয়ে যাচ্ছে ‘ইজরায়েল ডিফেন্স ফোর্সেস’। পালটা তেল আভিভ, আশকেলন-সহ ইজরায়েলের একাধিক শহরে রকেট হামলা চালাচ্ছে হামাস ও ইসলামিক জেহাদ। সব মিলিয়ে এপর্যন্ত গাজায় প্রাণ হারিয়েছেন কমপক্ষে ২০০ জন। নিহত হয়েছেন বেশ কয়েকজন ইজরায়েলি নাগরিক। এহেন পরিস্থিতিতে এবার জঙ্গি সংগঠন ইসলামিক জেহাদের শীর্ষনেতাকে খতম করেছে ইজরায়েল।

[আরও পড়ুন: ইজরায়েল-প্যালেস্তাইন নিয়ে এবার সম্মুখসমরে চিন-আমেরিকা! চড়ছে উত্তেজনার পারদ]

আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, সোমবার গাজায় ইজরায়েলের বিমান হামলায় নিহত হয়েছে ইসলামিক জেহাদের শীর্ষনেতা হুসাম আবু হারবিদ। এক বিবৃতিতে ইজরায়েলের সেনাবাহিনী জানিয়েছে, তাদের দেশে একাধিক অ্যান্টি-ট্যাংক মিসাইল হামলার নেপথ্যে রয়েছে ওই জঙ্গি সংগঠনটি। বলে রাখা ভাল, গাজার দখল রয়েছে হামাসের হাতে। আর এই জঙ্গি সংগঠনটির সঙ্গে মিলেই ইজরায়েলের বিরুদ্ধে হামলা চালাচ্ছে ইসলামিক জেহাদ। ফলে সংগঠনের শীর্ষনেতার মৃত্যুতে এই লড়াই যে আরও ভয়ংকর হয়ে উঠবে তা স্পষ্ট। এদিকে, নেতার মৃত্যুর বদলা নিতে ইতিমধ্যে ইজরায়েলের উপকূলবর্তী আসড শহরে একাধিক রকেট হামলা চালিয়েছে ইসলামিক জেহাদ। প্রসঙ্গত, গাজা থেকে রকেট হামলা বন্ধ না হলে পালটা হামলা চলবে বলে বারবার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু। হামাসকে সমূলে ধ্বংস করে দেওয়া হবে বলে হুঙ্কার দিয়েছেন ইহুদি দেশটির বিদেশমন্ত্রী বেনি গানৎজ। ফলে এই যুদ্ধ যে দীর্ঘমেয়াদী হতে চলেছে তা স্পষ্ট। কিন্তু এই রক্তক্ষয়ী সংগ্রাম বন্ধ করতে ইতিমধ্যে আসরে নেমেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। খবর এমনটাই। ইজরায়েল ও প্যালেস্তাইনের মধ্যে সংঘর্ষ বিরতির চেষ্টা করছে আমেরিকা।

Advertisement

উল্লেখ্য, কয়েকদিন আগে জেরুজালেমের আল আকসা মসজিদে ইহুদি ও মুসলিম সম্প্রদায়ের অনুগামীদের মধ্যে সংঘাত শুরু হয়। তারপর তা ক্রমে ভয়াবহ আকার নেয়। রমজানের নমাজ পড়তে জেরুজালেমের আল আকসা মসজিদে জড়ো হয়েছিলেন হাজার হাজার মুসলমান। বলে রাখা ভাল, আল আকসা মসজিদ ইসলাম ধর্মাবলম্বীদের কাছে অন্যতম শ্রদ্ধার স্থান। পাশাপাশি, এটি ইহুদিদের কাছেও একটি পবিত্র স্থান। যাকে তারা টেম্পল মাউন্ট হিসাবে জানেন। এই জায়গায় এর আগেও বেশ কয়েকবার দুই সম্প্রদায়ের মধ্যে সংঘাত হয়েছে। ইজরায়েলের পুলিশ দাবি করেছে, ওই দিন সন্ধ্যার নামাজের পর হাজার হাজার মুসলিম ধর্মাবলম্বী দাঙ্গা শুরু করলে তারা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার জন্য’ শক্তি প্রয়োগ করতে বাধ্য হয়েছে। এদিকে, বসতি স্থাপনের জন্য পূর্ব জেরুজালেমের বাড়িঘর থেকে প্যালেস্তিনীয়দের উচ্ছেদ করার সম্ভাবনায় পরিস্থিতি আরও জটিল হয়ে উঠেছে।

Advertisement

[আরও পড়ুন: ইজরায়েলের ‘ভয়ংকরতম’ বিমান হানায় বিধ্বস্ত গাজা! অন্তত ২৬ জনের মৃত্যু]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ