Advertisement
Advertisement
Myanmar

মায়ানমারে গ্রেপ্তার জাপানের সাংবাদিক, জুন্টার উপর চাপ বাড়াল টোকিও

সাংবাদিক ইউকি কিটাজুমিকে ইয়েনসিন কারাগারে রাখা হয়েছে।

Japanese journalist held in Myanmar moved to prison, says embassy | Sangbad Pratidin
Published by: Monishankar Choudhury
  • Posted:April 20, 2021 5:15 pm
  • Updated:April 20, 2021 5:15 pm

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সাংবাদিকের গ্রেপ্তারিতে মায়ানমারের উপর চাপ বাড়াল জাপান (Japan)। দ্রুত ওই সাংবাদিকের মুক্তির দাবি জানিয়েছে টোকিও। সোমবার মায়ানমারের জাপানি দূতাবাস জানায়, সাংবাদিক ইউকি কিটাজুমিকে ইয়াঙ্গনের কাছে ইয়েনসিন কারাগারে রাখা হয়েছে।

[আরও পড়ুন: আফগান সীমান্তে বাড়ছে জেহাদি গতিবিধি, পাকিস্তানের সঙ্গে আলোচনা আমেরিকার]

বিবিসিকে এক প্রত্যক্ষদর্শী জানিয়েছেন, গত রবিবার রাতে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে যাওয়া হয় সাংবাদিক ইউকিকে। তাঁকে দু’হাত উপরে তুলতে বলা হয়। তারপর তাঁকে একটি গাড়িতে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়। তবে এই বিষয়ে মায়ানমারের জুন্টার মুখপাত্রও মুখ খোলেননি। ‘ইয়াঙ্গন মিডিয়া প্রফেশনালস’ নামের একটি মিডিয়া প্রোডাকশন সংস্থা চালাতেন ইউকি। তার আগে তিনি বাণিজ্যিক সংবাদপত্র ‘নিক্কেই’-এর সাংবাদিক ছিলেন। ইউকির ফেসবুক পেজ এবং অনলাইন মিডিয়ায় দেওয়া তাঁর নানা সাক্ষাৎকার থেকে এমনটাই জানা গিয়েছে। এর আগে গত ফেব্রুয়ারিতেও গ্রেপ্তার করা হয়েছিল ইউকিকে। গত ১ ফেব্রুয়ারি সামরিক অভ্যুত্থান কভার করছিলেন তিনি। পরে অবশ্য তাঁকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছিল।

Advertisement

উল্লেখ্য, গত ফেব্রুয়ারি মাসে অভ্যুত্থান ঘটিয়ে মায়ানমারের (Myanmar) রাশ নিজের হাতে নিয়ে নেয় টাটমাদাও বা বার্মিজ সেনা। কাউন্সিলর আং সান সু কি-সহ আটক করা হয় নির্বাচিত সরকারের শীর্ষ পদাধিকারীদের। এর পর থেকেই দেশজুড়ে শুরু হয়েছে বিক্ষোভ। সম্প্রতি বৌদ্ধ নববর্ষ উপলক্ষে ২৩ হাজার বন্দিকে মুক্তি দিয়েছে জুন্টা। মায়ানমারের বেশ কয়েকটি কারাগার থেকে বন্দিদের মুক্তির প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক এক পুলিশ আধিকারিক জানিয়েছেন, ইয়াঙ্গনের ইনসেইন জেল থেকে অন্তত ৮০০ জন বন্দিকে মুক্তি দেওয়া হচ্ছে। বিশ্লেষকদের মতে, এই প্রক্রিয়া নতুন কিছু নয়। প্রতিবছর থিংগ্যান বা বৌদ্ধ নববর্ষ উপলক্ষে কিছু সংখ্যক বন্দিকে মুক্তি দেওয়া হয় মায়ানমারে। কিন্তু সেনাশাসনে তযমুল বিক্ষোভের মাঝেও সেই প্রথা পালন করা নিয়ে সন্দেহ ছিল। যদিও বিশেষজ্ঞদের একাংশের মতে, যাদের মুক্তি দেওয়া হচ্ছে তারা মূলত চুনোপুঁটি। আসলে গণতন্ত্রকামীদের বন্দি করার উদ্দেশেই কারাগারে জায়গা বানাচ্ছে জুন্টা।

Advertisement

[আরও পড়ুন: আফগান সীমান্তে বাড়ছে জেহাদি গতিবিধি, পাকিস্তানের সঙ্গে আলোচনা আমেরিকার]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ