Advertisement
Advertisement

পাকিস্তানে হিন্দু ছাত্রী হত্যা, ‘অজানা আতঙ্কে’ তদন্তে না বিচারকের

হস্টেল থেকে ফাইনাল ইয়ারের ছাত্রী নম্রিতা চান্দানির ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়।

Judge refuses to probe dental patient death in Pakistan
Published by: Monishankar Choudhury
  • Posted:September 24, 2019 10:14 am
  • Updated:September 24, 2019 10:14 am

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: পাকিস্তানে হিন্দু ডাক্তারি ছাত্রীর অস্বাভাবিক মৃত্যুর তদন্তভার নিতে অস্বীকার করলেন স্থানীয় আদালতের এক বিচারক। সূত্রের খবর, অজ্ঞাত পরিচয় লোকের কাছ থেকে হুমকি পেয়ে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন সিন্ধ প্রদেশের লারকানা জেলা বিচারক।

[আরও পড়ুন: সাবধান! আর মাত্র কয়েকঘণ্টার মধ্যে ধেয়ে আসছে প্রবল ঘূর্ণিঝড় হিক্কা]

Advertisement

গত সপ্তাহে সিন্ধ প্রদেশের লারকানা জেলায় বিবি আসিফা ডেন্টাল কলেজের হস্টেল থেকে ফাইনাল ইয়ারের ছাত্রী নম্রিতা চান্দানির ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়। এই ঘটনায় একটি অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা দায়ের হলেও, তা মানতে নারাজ ছাত্রীর পরিবার। নম্রিতাকে খুন করা হয়েছে বলে তাঁর পরিবারের অভিযোগ। এই মর্মে একটি এফআইআরও দয়ের করে তাঁর। তারপর ওই ঘটনার বিচার বিভাগীয় তদন্তের নির্দেশ দেয় পাক সরকার। পুলিস ঘটনার তদন্তে নেমে ৩২ জনকে আটক করে। তাদের মধ্যে ওই ছাত্রীর দু’জন সহপাঠীও রয়েছে। এদিকে একটি পাক সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, গত ১৮ সেপ্টেম্বর পাকিস্তানের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক বিচার বিভাগীয় তদন্তের ভার নেওয়ার জন্য লারকানা জেলা বিচারকের কাছে আবেদন জানায়। পাকিস্তানের স্বরাষ্ট্রসচিব আব্দুল কবীর কাজি বলেন, ‘আমি দেশের বাইরে রয়েছি। পুলিসের কাছ থেকে ওই বিচারকের দায়িত্ব না নেওয়ার কথা জানতে পেরেছি। তবে ওই বিচারকের কাছ থেকে এখনও লিখিত জবাব পাইনি। পাশাপাশি তিনি ওই বিচারকের নাম জানাতেও অস্বীকার করেন।’

Advertisement

সিন্ধুপ্রদেশের ঘোটকি জেলার মীরপুর মাথেলো এলাকার বাসিন্দা ছিলেন নম্রিতা। বিবি আসিফা ডেন্টাল কলেজের ফাইনাল ইয়ারের ছাত্রী ছিলেন। পড়াশোনার জন্য কলেজের হোস্টেলেই থাকতেন। গত সোমবার রাতেতাঁর ঘরের দরজা ভিতর থেকে বন্ধ ছিল। হোস্টেলের অন্য ছাত্রীরা অনেকক্ষণ ধরে ডাকাডাকি করলেও দরজা খোলেনি। সন্দেহ হওয়ায় দরজার ফাঁক দিয়ে ঘরের ভিতরে উঁকি মেরে পরিস্থিতি বোঝার চেষ্টা করেন তাঁরা। আর তখনই চোখে পড়ে খাটের উপর গলায় দড়ি বাঁধা অবস্থায় ঝুলছেন নম্রিতা। পরে ঘরের দরজা ভেঙে ভিতরে ঢোকে হোস্টেলের নিরাপত্তারক্ষীরা। তাঁর মৃতদেহটি উদ্ধার করে স্থানীয় হাসপাতালে ময়নাতদন্তের জন্য নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু, করাচি থেকে যুবতীটির পরিবার না আসা পর্যন্ত ময়নাতদন্ত শুরু করতে দেয়নি পুলিশ।

[আরও পড়ুন: ১৭৮ বছরের থমাস কুক দেউলিয়া, বিশ্বজুড়ে কর্মহীন ২২ হাজার কর্মী]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ