Advertisement
Advertisement

Breaking News

স্বামীর দেহ টুকরো টুকরো করে তার পাশেই নিশ্চিন্তে ঘুম স্ত্রীর, ফ্ল্যাটে ঢুকে হতবাক পুলিশ

করাচির বীভৎস ঘটনায় ঝড় উঠেছে পাকিস্তান সংবাদমাধ্যমে।

Karachi Cops Find Dismembered Body Parts in Flat, Woman Sleeping near | Sangbad Pratidin

ছবি: প্রতীকী

Published by: Kishore Ghosh
  • Posted:December 11, 2021 4:01 pm
  • Updated:December 11, 2021 4:01 pm

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: পাকিস্তানের করাচি (Karachi City of Pakistan) শহরের একটি ফ্ল্যাটে ঢুকে চমকে গেল পুলিশ। ঘরময় খণ্ডবিখণ্ড স্বামীর দেহ, সেখানেই নিশ্চিন্তে ঘুমোচ্ছেন স্ত্রী। ইতিমধ্যে স্বামীকে খুনের (Murder) অভিযোগে ওই মহিলাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। বীভৎস ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই ঝড় উঠেছে পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যমগুলিতে (Pakistan Media)।

করাচির সিনিয়র পুলিশ (Police Official) আধিকারিক জুবের নাজির শেখ জানিয়েছেন, আবাসনের এক বাসিন্দা ওই ফ্ল্যাটের দরজার সামনে কাটা আঙুল দেখতে পেয়ে থানায় ফোন করেছিলেন। পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে দেখে, ফ্ল্যাটের একটি ঘরে এক ব্যক্তির খণ্ডবিখণ্ড দেহ পড়ে রয়েছে, তার পাশে নিশ্চিন্তে অঘোরে ঘুমোচ্ছে এক মহিলা। মৃত ব্যক্তির দেহাংশ ফ্ল্যাটের অন্য ঘর থেকেও মিলেছে।

Advertisement

[আরও পড়ুন: ‘আমরাই বিশ্বের বৃহত্তম গণতন্ত্র’, আজব দাবি লালচিনের]

জানা গিয়েছে, নিহত ব্যক্তির নাম মহম্মদ সোহেল (৭০) (Mahammad Sohel)। তিনি সদর এলাকার আবদুল্লা হারুন রোডের ওই ফ্ল্যাটেরই বাসিন্দা ছিলেন। জেরায় অভিযুক্ত মহিলা স্বামীকে খুনের কথা স্বীকার করেছেন। মহিলা জানান নিহত ব্যক্তি তাঁর স্বামী, পরে জামাইবাবু বলে দাবি করেন। যদিও প্রতিবেশীরা জানিয়েছেন, বিয়ে না হলেও দু’জনে একসঙ্গে থাকতেন। উভয়ের মধ্যে টাকাপয়সা নিয়ে মাঝেমধ্যেই ঝগড়া চলত বলেও তাঁদের দাবি।

করাচি পুলিশ জানিয়েছে, মহিলাকে মাদকাসক্ত অবস্থায় গ্রেপ্তার করা হয়। তাঁর মাদক নেওয়ার অভ্যাস ছিল বলেই মনে করা হচ্ছে। এদিকে ফ্ল্যাট থেকে একটি ছুড়ি ও একটি হাতুড়ি উদ্ধার হয়েছে। তবে ওই ব্যক্তিকে কবে খুন করা হয়েছিল, সেই বিষয়ে এখনও নিশ্চিত হওয়া যায়নি। তবে তা সপ্তাহ খানেকের মধ্যেই ঘটেছে বলে আন্দাজ করা হচ্ছে। 

Advertisement

[আরও পড়ুন: হংকংয়ের আদালতে দোষী সাব্যস্ত গণতন্ত্রকামী ধনকুবের জিমি লাই]

একটি সূত্রে জানা গিয়েছে, নিহত মহম্মদ সোহেলের নিজের আলাদা পরিবার রয়েছে। স্ত্রী-সন্তান নিয়ে করাচির সদর এলাকাতে থাকতেন তিনি। ওই পরিবার চাইছিল অভিযুক্ত মহিলার সঙ্গে লিভ ইনে না থেকে তাঁকে যেন বিয়ে করে নেন সোহেল।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ