সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: এ যেন বিনা মেঘে বজ্রপাত। ইমরান খানের সরকারকে কার্যত হতবাক করে কাশ্মীর ইস্যুকে ভারতের অভ্যন্তরীণ বিষয় বলে জানিয়ে দিল তালিবান। পাক সেনার ষড়যন্ত্রে জল ঢেলে সোমবার সন্ত্রাসবাদী সংগঠনটি সাফ জানায়, কাশ্মীরে তালিবান কখনও হস্তক্ষেপ করব না। সেখানে পাক মদতপুষ্ট জেহাদিদের পাশে থাকার কোনও প্রশ্নই নেই।
[আরও পড়ুন: এবার ঘ্রাণশক্তির মাধ্যমে করোনা রোগী শনাক্ত করবে কুকুর! ব্রিটেনে শুরু প্রশিক্ষণ]
তালিবানদের রাজনৈতিক শাখা ইসলামিক এমিরেটস অফ আফগানিস্তানের মুখপাত্র সুহেল শাহিন সোমবার একটি টুইট করেছেন। সেখানে তিনি লিখেছেন, “কাশ্মীর সমস্যায় তালিবান-যোগ বিষয়ে যে খবরগুলি মূলধারার সংবাদমাধ্যম তুলে ধরছে বারবার তা ভুল। অন্য দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপই করতে চায় না তালিবান।” সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ায় চাউর হয়েছে, তালিবানরা ভারতের সঙ্গে কোনও ভাবেই সুসম্পর্কে রাজি নয়। বলা হয়, তালিবান মুখপাত্র জাবিউল্লাহ মুজাহিদ মনে করে কাশ্মীর সমস্যা সমাধান না হলে এই সমীকরণ সহজ হবে না। সূত্রের খবর, ভারতের তরফে বিষয়টিতে তালিবানদের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হয়। এর পরেই তালিবানরা জানান, এই দাবি একেবারে অযৌক্তিক। ভুয়ো-ভিত্তিহীন খবর ছড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। কাশ্মীর ভারতের অভ্যন্তরীণ বিষয়। সেই বিষয়ে কিছুই বলার নেই তাঁদের।
বিশ্লেষকদের দাবি, তালিবানের মধ্যে বিভিন্ন গোষ্ঠী রয়েছে। প্রায়শই তাদের মধ্যে বিরোধ দেখা যায়। ফলে অবস্থান পালটাতে সংগঠনটির খুব বেশি সময়ের প্রয়োজন হয় না। আফগানিস্তানে তালিবান ও আল-কায়দার জন্ম হয়েছে পাকিস্তানের হাত ধরেই। সংগঠনটির শীর্ষ নীতি নির্ধারক সভা বা ‘সুরা’ কাজ করে পাকিস্তানের বালোচিস্তান প্রদেশের রাজধানী কোয়েটা থেকে। সংগঠনটির সামরিক সাক্ষা ‘হাক্কানি নেটওয়ার্ক’-এর মূল ঘাঁটি রয়েছে পেশাওয়ার শহরে। ফলে পাকিস্তানের থেকে চাপ এলে ভারত বিরোধী পদক্ষেপ করতে পিছপা হবে না তালিবান।
[আরও পড়ুন: ফের বালোচিস্তানে বিদ্রোহীদের হামলা, নিহত অন্তত ৭ পাকিস্তানি সেনা]