সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দীর্ঘ জল্পনার অবসান করে ১২ জুন সিঙ্গাপুরে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে বৈঠকে বসতে চলেছেন উত্তর কোরিয়ার সর্বাধিনায়ক কিম জং উন। গোটা আন্তর্জাতিক মহল ও সংবাদমাধ্যমের নজর এখন এই বৈঠকের দিকে। কিন্তু সূত্রের খবর, ট্রাম্পের সঙ্গে বৈঠকে বসতে পারেন ‘নকল’ কিম। কিমের মতোই দেখতে তাঁর একজন ডামি।
[ফের মহাকাশ অভিযানের প্রস্তুতি বাংলাদেশে, এবার পাড়ি দেবে ‘বঙ্গবন্ধু-২’ ]
কারণ, নিরাপত্তা৷ যার জন্য ভিনদেশ সফরে যেতে নারাজ কিম নিজেই। কারণ ২০১১ সালে ক্ষমতায় আসার পর তিনি প্রথমবার বিদেশ সফর করেন চিনে। প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সঙ্গে দু’বার বৈঠক করেছেন তিনি৷ তবে সেক্ষেত্রে নিজের সবুজ রঙের ব্যক্তিগত ট্রেনে চড়েই চিনে যাত্রা করেছিলেন তিনি৷ বিশেষ প্রযুক্তিতে তৈরি সেই ট্রেনে পারমাণবিক বিস্ফোরণেও যে কেউ কয়েক ঘণ্টা বেঁচে থাকতে পারবেন। ওই ট্রেন থেকেই আস্ত একটা দেশ বা সরকার চালানো যায়। এমনই সব অত্যাধুনিক ও চমকপ্রদ ব্যবস্থা রয়েছে তাতে। আসলে ঘরকুনো বলে বদনাম আছে কিমের। গোটা দুনিয়াকেই বিশেষ করে ইউরোপ ও আমেরিকাকে সন্দেহের চোখে দেখেন তিনি। আশঙ্কায় থাকেন, তাঁকে খুনের ছক কষছে বা তাঁর বিরুদ্ধে অভ্যুত্থানের ছক কষছে আমেরিকা, ব্রিটেন-সহ গোটা ইউরোপ। তাই বিদেশ সফরে কোথাও যান না। নিজের গাড়ি, জাহাজ, কপ্টার, ট্রেন ছাড়া কোনও কিছুতেই তিনি চড়েন না। সেগুলোকে সফরের সময় বিদেশে নিয়ে যেতে খরচও অনেক। তাই তাঁকে আমন্ত্রণ জানানোর গরজ দেখায় না কোনও দেশ। তিনি যান না রাষ্ট্রসংঘের কোনও অধিবেশনেও।
[রোহিঙ্গাদের দেশে ফেরাতে রাষ্ট্রসংঘের সঙ্গে চুক্তি স্বাক্ষর মায়ানমারের]
তবে, ট্রাম্প ও কিমের মধ্যে হতে চলা এই বৈঠক নিয়ে প্রথম থেকেই উত্তেজনায় ফুটছে আন্তর্জাতিক কূটনৈতিক মহল৷ সীমান্তবর্তী ডিমিলিটারাইজড জোনের পিস হাউসে গতমাসেই হাত মিলিয়েছিল চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী উত্তর কোরিয়া ও দক্ষিণ কোরিয়া৷ দীর্ঘ প্রায় ৬৫ বছরের শত্রুতা ভুলে করমর্দন করতে দেখা গিয়েছিল উত্তর কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট কিম জং উন ও দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট মুন জে ইন-কে৷ আরও একটি বিষয়ে উল্লেখযোগ্য হয়ে উঠেছিল এই বৈঠক৷ এখান থেকেই বরফ গলতে শুরু করেছিল ওয়াশিংটন ও পিয়ংইয়ংয়ের মধ্যেও৷ এরপর প্রকাশ্যে আসে যুযুধান দু’পক্ষ, অর্থাৎ ট্রাম্প ও কিমের বৈঠকের খবর৷ শোরগোল পড়ে যায় আন্তর্জাতিক মহলে৷ দীর্ঘ টানাপোড়েনের পরে ঠিক হয় ‘নিউট্রাল ভ্যেনু’ সিঙ্গাপুরে ১২ জুন হবে এই ঐতিহাসিক বৈঠক৷ এরই মাঝে সৃষ্টি হয় আরও প্রতিকূলতা৷ তাদের না জানিয়ে আমেরিকা ও দক্ষিণ কোরিয়ার বায়ুসেনা মহড়া করলে ক্ষোভ প্রকাশ করে উত্তর কোরিয়া৷ পাশাপাশি চিনা প্রসিডেন্ট জিংপিংয়ের সঙ্গে কিম বৈঠক করলে তাতেও রেগে যাযন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প৷ এমন টানাপোড়েনের অবস্থায় আশঙ্কার মেঘ জমতে থাকে ১২ জুনের বৈঠককে কেন্দ্র করে৷ তবে সম্প্রতি হোয়াইট হাউস থেকে নিশ্চিত করা হয় নির্দিষ্ট দিনে ও নির্দিষ্ট সময়েই হচ্ছে বিশ্বের দুই পারমাণবিক শক্তিধর রাষ্ট্রের কাঙ্খিত বৈঠক৷
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.