Advertisement
Advertisement
Serbia

বিবাদের কারণ নম্বর প্লেট! যুদ্ধপ্রস্তুতি শুরু করল সার্বিয়া

কসোভো সীমান্তে বিপুল মাত্রায় সেনা মোতায়েন করেছে সার্বিয়া।

Kosovo: Serbia puts troops on high alert over rising tensions | Sangbad Pratidin
Published by: Monishankar Choudhury
  • Posted:December 28, 2022 1:48 pm
  • Updated:December 28, 2022 1:48 pm

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: জোসেফ ব্রজ টিটোর যুগোস্লাভিয়া আর নেই। নয়ের দশকে ভেঙে খান খান হয়ে যায় স্লাভ দেশটি। আর রাষ্ট্রভঙ্গের সেই রক্তাক্ত সংঘাতের রেশ এখনও রয়ে গিয়েছে। মাঝে মধ্যেই তা দাবানলের আকার নেয়। এবার কসোভোয় বসবাসকারী সার্বদের উপরে হামলা হতে পারে, এই আশঙ্কায় যুদ্ধের প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছে সার্বিয়া। আর গাড়ির নম্বর প্লেটই নাকি এর কারণ।

বিবিসি সূত্রে খবর, কসোভো সীমান্তে বিপুল মাত্রায় সেনা মোতায়েন করেছে সার্বিয়া। পালটা প্রস্তুতি শুরু করেছে কসোভো। পরিস্থিতি এতটাই জটিল, যে কোনও মুহূর্তে বেজে উঠতে পারে যুদ্ধের দামামা। মঙ্গলবার সার্বিয়ার প্রতিরক্ষামন্ত্রী মাইলোস ভুসেভিচ জানিয়েছেন, তাদের সেনাবাহিনী যুদ্ধ প্রস্তুতির সর্বোচ্চ পর্যায়ে রয়েছে । বেলগ্রেডের এই সেনা তৎপরতা কসোভোর পরিস্থিতি আরও জটিল করে তুলেছে। অভ্যন্তরীণ শান্তি বিঘ্নিত হওয়া এবং পড়শি দেশের সম্ভাব্য হামলা- এই জোড়া আশঙ্কার মুখে কসোভোর প্রেসিডেন্ট ভিয়োসা ওসমানি।

Advertisement

[আরও পড়ুন: পশ্চিমী দেশগুলির নির্ধারিত মূল্য মেনে নেওয়া দেশগুলিকে তেল বিক্রি করবে না রাশিয়া]

জানা গিয়েছে, প্রিস্টিনার সব থেকে বেশি চিন্তা হচ্ছে সার্ব-অধ্যুষিত এলাকা মিত্রোভিচা নিয়ে। এই শহরের সার্বদের উপরে হামলা চালাতে পারে ওসমানির বাহিনী, এই আশঙ্কা গত কয়েক দিন ধরেই বাড়ছে। গত ১০ ডিসেম্বর থেকে শহরের সার্ব অধ্যুষিত ও আলবেনীয় অধ্যুষিত এলাকার সংযোগকারী রাস্তায় বিশাল বিশাল ট্রাক রেখে এলাকা দু’টি পরস্পরের থেকে বিচ্ছিন্ন করে রেখেছেন শহরের সার্ব বাসিন্দারাই। কিন্তু খবর, সেনাবাহিনী সেই ব্যারিকেড ভেঙেই হামলা চালাবে। আর এই সংঘাতের কারণ হচ্ছে গাড়ির নাম্বার প্লেট। সম্প্রতি, দেশের সার্ব নাগরিকদের সার্বিয়া প্রশাসনের জারি করা নাম্বার প্লেট খুলে কসোভোর প্লেট লাগানোর নির্দেশ দিয়েছে প্রিস্টিনা। আর এতেই চটেছেন কসোভোর সার্বরা।

Advertisement

উল্লেখ্য, ২০০৮ সালে সার্বিয়া থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে স্বাধীনতা ঘোষণা করে কসোভো (Kosovo)। আমেরিকা ও ইউরোপের দেশগুলি কসোভোকে স্বীকৃতি দিলেও তা মেনে নেয়নি সার্বিয়া। ফলে বলকান অঞ্চলে সংঘাতের বারুদ মজুত ছিলই। বিগত দেড় দশক থেকে কসোভোয় আমেরিকা ও ইউরোপের মিলিত শান্তিরক্ষা বাহিনী মজুত রয়েছে।

[আরও পড়ুন: অর্থনৈতিক সংকটে জেরবার, আমেরিকায় পুরনো দূতাবাস নিলামে তুলল পাকিস্তান]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ