BREAKING NEWS

১৬ আশ্বিন  ১৪৩০  বুধবার ৪ অক্টোবর ২০২৩ 

READ IN APP

Advertisement

সুনামি আসন্ন! আশঙ্কা জাগিয়ে তুলল মেক্সিকো উপকূলের দৈত্যাকার মাছ

Published by: Sucheta Sengupta |    Posted: July 23, 2020 2:12 pm|    Updated: July 23, 2020 2:18 pm

Large Oar fish known as 'Earthquake fish' seen at Mexico bay

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: আবার প্রবল কম্পন আর সুনামিতে (Tsunami) ধ্বংস হয়ে যাওয়ার সময় আসন্ন? এত বছর পর ২০১১ সালে জাপানের সুনামির স্মৃতি উসকে দিল মেক্সিকো উপকূলে ধরা পড়া দৈত্যাকার মাছ, যা ‘ভূমিকম্পের মাছ’ বলে পরিচিত। আর তারপরই এই আশঙ্কায় ধুকপুকানি শুরু হয়েছে স্থানীয় বাসিন্দাদের। আবারও কি তেমন বিপর্যয়ের দিন ঘনিয়ে এল? প্রশ্নের উত্তর হাতড়াচ্ছেন তাঁরা।

কিন্তু কী এমন সেই মাছ, যা দেখে এতটা আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ল? ১৩ ফুট লম্বা মাছটি আসলে ‘ওর ফিশ’। সামুদ্রিক মাছ। মুখটা অনেকটা হাঙরের মতো। গায়ের রং রুপোলি। উপকূলে খুব একটা দেখা যায় না। আর সে কারণেই বোধহয় সমুদ্রসৈকতে এর আবির্ভাব অশনি সংকেত বলে ধরে নেওয়া হয়। যেমন, ২০১১ সালের মার্চ মাসে জাপানে ভয়াবহ কম্পন আর সুনামির আগে নাকি সৈকতে দেখা গিয়েছিল ওর ফিশ (Oar Fish)। তারপর থেকেই তার নাম হয়ে যায় ‘ভূমিকম্পের মাছ’।

[আরও পড়ুন: ‘২০২১-এর আগে করোনা ভ্যাকসিন হাতে পাওয়ার আশা নেই’, আশঙ্কার বাণী WHO কর্তার]

সেই বিপর্যয়ের কথা এখনও ভুলতে পারেননি অনেকেই। রিখটার স্কেলে ৯ মাত্রা ভূমিকম্প আর তার হাত ধরে আসা সুনামি, সমুদ্রের ৪০ মিটার উচ্চতার ঢেউ ভাসিয়ে নিয়ে গিয়েছিল অনেকগুলো দ্বীপ। নিমেষের মধ্যে মৃত্যুর মুখে ঢলে পড়েছিলেন হাজার হাজার মানুষ। সরকারি হিসেব অনুযায়ী, সংখ্যাটা ১০ হাজার ছুঁইছুঁই। আর এই সমুদ্র দানবের হাত ধরে ফুকুশিমা পরমাণু প্রকল্পেও ঘনিয়েছিল বিপদ। নিউক্লিয়ার চুল্লি লিক হয়ে সেখান থেকে বিষাক্ত পারমাণবিক গ্যাস বেরিয়ে সংলগ্ন এলাকাকে কার্যত মৃত্যুপুরীতে পরিণত করে। এই বিষাক্ত গ্যাসেও কম মানুষের মৃত্যু হয়নি।

[আরও পড়ুন: তথ্য চুরির আশঙ্কা, হিউস্টনে চিনা দূতাবাস বন্ধের নির্দেশ আমেরিকার]

২০১১র বিপর্যয় সামলাতে অনেকটা সময় লেগেছিল জাপানের। এ থেকে শিক্ষা নিয়ে পরিকাঠামোয় অনেক বদলই এনেছিল প্রযুক্তিতে অনেকটা এগিয়ে থাকা এই দ্বীপ দেশ। ৯ বছর পর ফের সেই স্মৃতিই উসকে দিল মেক্সিকো উপকূলে ধরা পড়া ওর ফিশ। ফার্নান্দো কেভালিন ও ডেভিড জাবেদোরস্কি নামে দুই যুবক মাছটিকে আবিষ্কার করে সৈকতের একেবারে ধারে। এত লম্বা মাছ, দু’জনে দু’দিকে ধরে তাঁরা ছবিও তোলেন। তারপর তাকে সমুদ্রে ছেড়ে দেন ফার্নান্দো ও ডেভিড। সেই ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হতেই ছড়িয়েছে ত্রাস। তবে ফার্নান্দোর মতে, এই মাছ নাকি প্রোটিনে পরিপূর্ণ। অন্যান্য অঙ্গও বেশ কার্যকরী। তা সত্ত্বেও এই মাছের আবির্ভাব অশুভ বলেই মনে করে স্থানীয় মানুষ।

Sangbad Pratidin News App: খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
নিয়মিত খবরে থাকতে লাইক করুন ফেসবুকে ও ফলো করুন টুইটারে