সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মহিলার শ্লীলতাহানির জেরে উত্তপ্ত হয়ে উঠল লিবিয়ার সাভা। গত চার দিন ধরে সেখানে গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব অব্যাহত। যদিও মহিলার শ্লীলতাহানি মানুষের হাতে হয়নি, হয়েছে বাঁদরের হাতে।
খবর, যে দুই গোষ্ঠীর মধ্যে এই দ্বন্দ্ব চলছে তাদের নাম গদ্দাদফা এবং অওলাদি সুলেমান। চার দিন আগে গদ্দাদফা গোষ্ঠীর কিছু মেয়ে পথ দিয়ে যাচ্ছিল। হঠাৎ করেই একটা বাঁদর তাদের উপর ঝাঁপিয়ে পড়ে হিজাব নিয়ে টানাটানি শুরু করে। তাতে মেয়েদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। তারা বেসামাল হয়ে যায়। পথের মধ্যই খুলে যায় তাদের হিজাব। এবং অসন্তোষ ছড়ায় গদ্দাদফা গোষ্ঠীর মধ্যে। কেন না, ওই বাঁদরটি ছিল অওলাদ সুলেমান গোষ্ঠীর এক দোকানদারের।
এর পরেই রক্তধারা বইতে শুরু করে সাভার পথে। গদ্দাদফা গোষ্ঠীর লোকেরা প্রথমে ওই বাঁদরটাকে হত্যা করে, তার পরে তার দোকানদার-মালিককে। বদলা নিতে অস্ত্র হাতে তুলে নেয় অওলাদ সুলেমানরাও। শুরু হয় গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব। এখনও পর্যন্ত যাতে ১৬জন প্রাণ হারিয়েছেন। আহতের সংখ্যা ৫০-এর কাছাকাছি।
গত চার দিন ধরে এই সমস্যায় জেরবার হয়ে রয়েছে লিবিয়া। সাভায় এখন আর জীবনযাত্রা স্বাভাবিক নেই। সব দোকানের ঝাঁপ বন্ধ। বন্ধ হয়ে গিয়েছে পাঠশালাও। দিনের বেলাতেও পথ পুরো শুনশান। কেউই জীবনের ঝুঁকি নিয়ে পথে নামতে সাহস পাচ্ছেন না।
স্থানীয়রা জানিয়েছেন, গদ্দাদফা এবং অওলাদ সুলেমান- এই দুই গোষ্ঠীরই উপার্জনের প্রধান পথ অস্ত্রব্যবসা। তাদের হাতে আর যাই হোক, আধুনিক অস্ত্রের অভাব নেই। ফলে দাঙ্গা চলছেই। এখনও তা থামার নাম নেই!