Advertisement
Advertisement

Breaking News

Haibatullah Akhundzada

Taliban Terror: ‘শরিয়ত আইনেই জীবন চলবে আফগানিস্তানে’, সরকার গঠনে পর বার্তা তালিবান সুপ্রিমোর

স্বমেজাজে ফিরল তালিবান।

Life In Afghanistan Will Be Regulated By Laws Of Holy Sharia: Taliban Supremo | Sangbad Pratidin
Published by: Monishankar Choudhury
  • Posted:September 8, 2021 11:50 am
  • Updated:September 8, 2021 11:50 am

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: গণতন্ত্র নয়, আফগানিস্তানে (Afghanistan) জীবন চলবে শরিয়ত আইন মেনে। সরকার গঠনের পর স্বমেজাজে ফিরে সাফ জানিয়ে দিল তালিবান সুপ্রিমো হায়বাতোল্লা আখুন্দজাদা। ফলে ‘ইসলামিক আমিরশাহী’ বা ‘ইসলামিক এমিরেটস অফ আফগানিস্তান’-এ সংখ্যালঘু ও মহিলাদের পরিণাম কী হতে চলেছে তা স্পষ্ট।

[আরও পড়ুন: Taliban Terror: তালিবানের সঙ্গে ‘সমস্যা রয়েছে’ চিনের, আফগানিস্তানে সরকার গঠনের পর মন্তব্য বাইডেনের]

মঙ্গলবার দীর্ঘ জল্পনার শেষে সরকার গঠন করে তালিবান (Taliban)। স্বাভাবিকভাবেই, জেহাদি গোষ্ঠীটির মন্ত্রিসভায় অন্তর্ভুক্ত হয়েছে সিরাজউদ্দিন হাক্কানির মতো রাষ্ট্রসংঘের তালিকাভুক্ত জঙ্গি। ফলে দেশটি যে আবারও সন্ত্রাসের চারণভূমি হয়ে উঠবে সেই আশঙ্কাই সত্যি প্রমাণিত হয়েছে। তবে এই ডামাডোলে পরিস্থিতিতে কাবুল দখলের পর প্রথমবারের জন্য মুখ খুলেছে তালিবদের শীর্ষনেতা হায়বাতোল্লা আখুন্দজাদা। তাঁর বক্তব্য, শরিয়তের আওতায় আন্তর্জাতিক আইন ও চুক্তিগুলি মেনে চলবে তালিবান। সহজ কথায় ইসলামের দোহাই দিয়ে আন্তর্জাতিক আইন বা চুক্তি কোনওটাই যে মানবে না জেহাদির তা স্পষ্ট।

Advertisement

এবার নিজের বিবৃতিতে আখুন্দজাদা বলেছে, “ভবিষ্যতে প্রশাসনের সমস্ত কাজ এবং জনজীবন নিয়ন্ত্রিত হবে শরিয়ত আইন মেনেই।” বিশ্লেষকদের মতে, দোহায় সব পক্ষকে নিয়ে সরকার গঠনের প্রতিশ্রুতি দিলেও সেই কথা যে রাখবে না তালিবান তা জানায় ছিল। আর প্রত্যাশামতোই দেশের প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট হামিদ কারজাই, আবদুল্লা আবদুল্লা বা গুলবুদিন হেকমতিয়ার তালিব মন্ত্রিসভায় জায়গা পাননি। আর মহিলা ও আমজনতার মানবাধিকার রক্ষা করা হবে বলে যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল তালিবান তাও রক্ষা করবে না জেহাদিরা।

Advertisement

উল্লেখ্য, আফগানিস্তানে তালিবানের শাসনকে মান্যতা দেওয়া নিয়ে বিভক্ত বিশ্ব। পাকিস্তান, রাশিয়া, চিন ও ইরানের মতো দেশগুলির স্বীকৃতি শুধুমাত্র আনুষ্ঠানিক প্রক্রিয়া। কারণ আমেরিকাকে কোণঠাসা করতে তালিবানের সঙ্গে বিগত সাত বছর ধরে আলোচনা চালাচ্ছে মস্কো ও বেজিং। সেই চেষ্টা এবার ফলপ্রসূ হয়েছে। একইভাবে আফগানভূমে ভারতের প্রভাব খর্ব করতে তালিবানই ইসলামাবাদের প্রধান অস্ত্র। বাকি রইল ইউরোপের দেশগুলি ও আমেরিকা। তা এই মুহূর্তে তাদের স্বীকৃতি না পেলেও খুব একটা প্রভাব পড়বে না তালিবদের উপর।এদিকে, আফগানিস্তান নিয়ে আলোচনা করতে আজই দিল্লিতে বৈঠকে বসছেন ভারতের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভাল ও রাশিয়ার ন্যাশনাল সিকিউরিটি অ্যাডভাইজর নিকোলাই পেত্রোশেভ।   

[আরও পড়ুন: Taliban Terror: তালিবানের সঙ্গে ‘সমস্যা রয়েছে’ চিনের, আফগানিস্তানে সরকার গঠনের পর মন্তব্য বাইডেনের]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ