সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: শরীরে হৃৎপিণ্ড নেই৷ অথচ দিব্যি বেঁচে স্যান লার্কিন! তাও আবার এক দু’দিন নয়৷ ৫৫৫ দিন! অবাক লাগছে তো? কিন্তু ঠিকই পড়েছেন৷
যে হৃৎপিণ্ডে রক্তারক্ত চলাচল কয়েক সেকেন্ডের জন্য বন্ধ হয়ে গেলে একজনের প্রাণ চলে যেতে পারে, দেহের সেই অমূল্য অঙ্গটি ছাড়া কীভাবে বাঁচা সম্ভব? শুধু তাই নয়, এই অবস্থাতেই ভাইয়ের সঙ্গে শপিং মলে ঘোরা, তিন সন্তানের সঙ্গে খেলাধুলো, সবই চালিয়ে গিয়েছেন মিচিগানবাসী লার্কিন৷ চিকিৎসা বিজ্ঞানের উন্নতি এই অসাধ্যও সাধন করেছে৷ আসলে তাঁর পিঠের ব্যাগটাতেই লুকিয়ে আসল রহস্য৷
ঘটনা হল, হৃৎপিণ্ড প্রতিস্থাপনের জন্য গত বছর অক্টোবরে লার্কিনের হৃৎপিণ্ডটি অস্ত্রোপচার করে বের করে নেওয়া হয়৷ চিকিৎসকরা জানিয়েছিলেন, প্রতিস্থাপনের জন্য বেশ কিছু দিন সময় লাগবে৷ ততদিন কাজ চালানোর জন্য একটি কৃত্রিম হৃদযন্ত্র দেওয়া হয় তাঁকে৷ পিঠের ব্যাগে রাখা সেই যন্ত্রটির মাধ্যমেই চলে লার্কিনের শ্বাসক্রিয়া৷ ফলে দীর্ঘ ৬ মাস হাসপাতালে থাকারও প্রয়োজন হয়নি তাঁর৷ গত মে মাসে মিচিগান বিশ্ববিদ্যালয়ের ফ্র্যাঙ্কেল কার্ডিওভাস্কুলার সেন্টারে তাঁর হৃৎপিণ্ড প্রতিস্থাপিত করা হয়৷ দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠছেন ২৫ বছরের লার্কিন৷ সাহসের সঙ্গে মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ে জয়ী তিনি৷ বলছেন, “বেশিরভাগ মানুষ ভেবেই ভয় পাবেন, কৃত্রিম হৃদযন্ত্র ব্যবহার করেও এতদিন বাঁচা যায়! তাঁদের বলতে চাই, ভয়টাই আমার হাতিয়ার হয়ে ওঠে৷ হৃৎপিণ্ড প্রতিস্থাপনের পরও তাই এত তাড়াতাড়ি বাড়ি ফিরে যেতে পারছি৷”
আমেরিকার প্রতিস্থাপন নেটওয়ার্কের তথ্য অনুযায়ী দেশজুড়ে প্রায় ৪০০০ রোগী এরকম হৃৎপিণ্ড প্রতিস্থাপনের অপেক্ষায় রয়েছেন৷