সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কুমিরের গলায় বাঁধা দড়ি। সেটির অন্য প্রান্ত এক ব্যক্তির হাতে। ব্যক্তি যত হাঁটেন, কোনওক্রমে হেঁটে এগোয় কুমিরও। আর এমন ঘটনা দেখে তাজ্জব পথচলতি মানুষ। পোষ্যকে নিয়ে রাস্তায় বেরনো নতুন কিছু তো নয়। কুকুর, বিড়াল নিয়ে প্রায়শই রাস্তায় বেরোন অনেকে। কিন্তু কুমিরকে নিয়ে রাস্তায় বেরনো প্রায় নজিরবিহীনই বলা যায়। সে ঘটনারই সাক্ষী থাকল উত্তর চিনের এক ব্যস্ত রাস্তার মানুষ।
প্রায় পাঁচ ফুট লম্বা কুমিরটিকে রাস্তায় দেখে অনেকেই আঁতকে উঠেছিলেন। কিন্তু পরে খেয়াল করে দেখেন, দড়ি বেঁধে সেটিকে নিয়ে চলেছে এক ব্যক্তি। মৃত নয়, জীবন্ত কুমিরকেই এভাবে হাঁটিয়ে নিয়ে যাওয়া হল। দেখে তাজ্জব সাধারণ মানুষ। প্রথমে অনেকে হকচকিয়ে গিয়েছিলেন। কিন্তু যাতে মানুষের কোনও ক্ষতি না হয়, সে কারণে কুমিরটির মুখ শক্তপোক্ত করে বাঁধা ছিল।
[ জিপে বাঁধা কাশ্মীরি যুবক, মেজরের পুরস্কারে উঠল পাল্টা প্রশ্ন ]
কেন এভাবে কুমিরটিকে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল? জানা যাচ্ছে, যে ব্যক্তি কুমিরটির মালিক তিনি আসলে একটি খাবারের দোকানের মালিক। কাবাব বানানোর জন্যই কুমিরটিকে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল। যদিও এ ধরনের ঘটনায় প্রতিবাদে সরব হয়েছে ‘পেটা’। সংস্থার দাবি, কুমিরের মতো প্রাণীকে এভাবে মানুষের মধ্যে আনা উচিত নয়। তাতে যে কোনও সময় বিপদ ঘটতে পারত। পশু সুরক্ষার বিষয়েও সরব হয়েছে সংস্থাটি।
যদিও চিনে কুমির মারা কোনও বেআইনি কাজ নয়। সারা পৃথিবীতে কুমির আমদানির ক্ষেত্রেই চিনই এগিয়ে। আফ্রিকা থেকে যত কুমির রপ্তানি করা হয়, তার প্রধান গন্তব্যস্থলই চিন। সে দেশে কুমিরের মাংসকে বেশ স্বাস্থ্যকর ও রোগ প্রতিরোধক হিসেবেই ধরা হয়। সেক্ষেত্রে আইনগত কোনও সমস্যা নেই। কিন্তু যেভাবে কুমিরটিকে নিয়ে গিয়েছেন ওই মাংসবিক্রেতা তা নিয়ে উঠছে নানা প্রশ্ন।
[ ‘অরুন্ধতীকে লক্ষ্য করে পাথর ছুড়তে দ্বিধা করবে না নিক্ষেপকারীরা’ ]
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.