সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: জইশ-ই-মহম্মদ নামের কোনও সন্ত্রাসবাদী সংগঠন নেই পাকিস্তানে। শুনতে হাস্যকর মনে হলেও কাগজেপত্রে কিন্তু এটাই সত্য। এক ভয়ানক ষড়যন্ত্র করে মাফিক মাসুদ আজহারের জঙ্গি সংগঠনটির নাম বদল করা করেছে। এবার ‘আল মুরাবিতন’ নাম নিয়েছে জইশ। এমনই বিস্ফোরক তথ্য মিলল একটি সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমের তদন্তে।
[উপত্যকায় সেনার সাফল্য, পুলওয়ামায় নিকেশ কুখ্যাত জৈশ জঙ্গি নুরা ত্রালি]
জানা গিয়েছে এই নয়া নাম নিয়ে ভারতের বিরুদ্ধের বড়সড় নাশকতার ছক কষছে জইশ। ইতিমধ্যে পাকিস্তান থেকে যুবকদের দলে টানার জন্য প্রচার শুরু করেছে ‘আল মুরাবিতন’। এর জন্য ইসলামাবাদ, করাচি, লাহোর ও রাওয়ালকোটের স্কুল ও কলেজগুলিকে নিশানা করছে জঙ্গি সংগঠনটি। তর্ক প্রতিযোগিতার নামে সেখানে পড়ুয়াদের মগজধোলাই করে জেহাদি তৈরি করা হচ্ছে। ইসলাম ও জেহাদের বিষয় নিয়ে অনুষ্ঠিত তর্ক প্রতিযোগিতাগুলিতে উপস্থিত থাকছে খোদ জঙ্গি মাসুদ। প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার স্বরূপ অস্ত্র তুলে দিচ্ছে ওই জঙ্গি নেতা।
কেন নাম পালটাতে বাধ্য হয়েছে জৈশ?
সম্প্রতি মাসুদ আজহারকে আন্তর্জাতিক জঙ্গি ঘোষণার জন্য রাষ্ট্রসংঘে সওয়াল করে ভারত ও আমেরিকা। চিনের আপত্তিতে তা ভেস্তে গেলেও চরম উদ্বিগ্ন হয়ে উঠে মাসুদ ও তার সংগঠন। রাষ্ট্রসংঘে পার পেয়ে গেলেও, যেকোনও মুহূর্তে আসতে পারে মার্কিন নিষেধাজ্ঞা। এছাড়াও ইসলামাবাদের সঙ্গে তলানিতে থেকেছে ওয়াশিংটনের সম্পর্ক, হুঁশিয়ারি দিয়েছেন ট্রাম্প। ফলে জইশ-ই-মহম্মদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে বাধ্য হতে পারে পাকিস্তান। সেক্ষেত্রে সংগঠনটির সমস্ত সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত হওয়ার ভয় রয়েছে। ফলে নাম পালটে সেই সম্ভাবনা উড়িয়ে দিল জইশ। এবার রাষ্ট্রসংঘ নিষেধাজ্ঞা চাপলেও ‘আল মুরাবিতন’ নামের আড়ালে নিরবিচ্ছিন্নভাবে সন্ত্রাস চালিয়ে যেতে পারে সংগঠনটি।
পাঠানকোট হামলার পর মাসুদ আজহারকে গৃহবন্দি করার কথা ঘোষণা করে পাকিস্তান। তবে আদতে যে তা ধাপ্পা সেটা প্রমাণ হয়ে যায়। পাকিস্তানে অবাধে সভা করতে দেখা যায় জইশ প্রধানকে। ভারতের দখল থেকে কাশ্মীর আজাদ করার হুমকিও দেয় ওই জঙ্গি। সম্প্রতি জম্মু ও কাশ্মীরে জৈশের কোমর ভেঙে দিয়েছে ভারতীয় সেনা। গত বছর ডিসেম্বরের পুলওয়ামায় সেনার হাতে নিকেশ হয় কুখ্যাত জৈশ জঙ্গি নুরা ত্রালি। চারফুটের ওই ‘বামন’ জঙ্গির মৃত্যুতে উপত্যকায় কোণঠাসা হয়ে পড়েছে জৈশ।