সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: আগামী বছরই দেশে লোকসভা ভোট। নানান বিতর্কের মধ্যেও দেশবাসীর কাছে নিজের জনপ্রিয়তা ধরে রেখেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তাঁরই পরিণাম স্বরূপ দেশের ১৯টি রাজ্যে উড়ছে গেরুয়া ধ্বজা। এবার বিশ্বের দরবারেও যে মোদির বৃহস্পতি তুঙ্গে তা জানাল এক নয়া সমীক্ষা। গ্যাল্লাপ ইন্টারন্যাশনাল অ্যাসোসিয়েশন ও সি-ভোটার নামে দুই আন্তর্জাতিক সংস্থার যৌথ সমীক্ষা বলছে, বিশ্বের জনপ্রিয় রাষ্ট্রনায়কদের তালিকায় তিন নম্বরে রয়েছেন মোদি। পুতিন, ট্রাম্পকে অনেক পিছনে ফেলে তিন নম্বরে রয়েছেন তিনি। মোদির ধারেকাছেই নেই বিশ্বের অন্যতম দুই শক্তিশালী দেশের রাষ্ট্রনায়ক।
বিশ্বের ৫০টি প্রথম সারির দেশের জনগণের উপর এই সমীক্ষা চালিয়ে দেখা গিয়েছে, জনপ্রিয় নেতাদের মধ্যে তৃতীয় হলেন মোদি। এশিয়া থেকে চিনা রাষ্ট্রপতি এবং নিজের আগ্রাসী মনোভাবের জন্য পরিচিত শি জিনপিং। তালিকায় দশ নম্বরে রয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। নয়া অভিবাসন নীতি ও একগুচ্ছ বিতর্কিত সংস্কারের জন্যই ২০১৭ সালে নিজের জনপ্রিয়তা অনেকটা খুঁইয়েছেন বলে মত বিশেষজ্ঞদের। শীর্ষে রয়েছেন জার্মানির চ্যান্সেলর অ্যাঞ্জেলা মার্কেল। যাঁর অঙ্গুলিহেলনেই এখন উঠছে-বসছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন। মার্কেলের পরই দ্বিতীয় স্থানে রয়েছেন ফ্রান্সের নয়া নির্বাচিত রাষ্ট্রপতি এমানুয়েল ম্যাক্রোঁ। মার্কেল ঘনিষ্ঠ ম্যাক্রোঁ নিজের কূটনৈতিক সিদ্ধান্তগ্রহণের জন্য প্রথম বিশ্বের দেশগুলিতে বেশ জনপ্রিয়। এছাড়াও নিজের চেয়ে বয়সে দ্বিগুণ মহিলার সঙ্গে লিভ-ইন সম্পর্কে থাকার দরুণ আধুনিক স্বাধীনচেতা ও প্রগতিশীল ফরাসিদের কাছে কাছের মানুষ ম্যাক্রোঁ। এই দুজনের পরই তৃতীয় স্থানে রয়েছেন মোদি। চারে এবং পাঁচে রয়েছেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী টেরেসা মে এবং চিনের রাষ্ট্রপতি শি জিনপিং। তাঁদেরও পরে ষষ্ঠ স্থানে রয়েছেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন।
বিশ্বের প্রথম তিন মোদি প্রশংসক দেশ ভিয়েতনাম, ফিজি ও আফগানিস্তানের মানুষ সবচেয়ে বেশি ভোট দিয়েছেন মোদির পক্ষে। আফগানিস্তানের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর সুসম্পর্ক সুবিদিত। ফিজিতেও সফরে গিয়েছিলেন মোদি। সেখানে ভারতীয় বংশোদ্ভূতদের আধিক্য এবং সরকারি ভাষা হিন্দি হওয়ায় মোদির পক্ষে ভোট যাওয়া অস্বাভাবিক মনে করছেন না বিশেষজ্ঞরা। উল্লেখযোগ্যভাবে ২০১৫ সালের তুলনায় ২০১৭ সালে কমিউনিস্ট দেশ ভিয়েতনামে মোদির জনপ্রিয়তা উত্তরোত্তর বৃদ্ধি পেয়েছে। তবে মোদির বিপক্ষে ভোট বেশি দিয়েছেন পাকিস্তান, দক্ষিণ কোরিয়া এবং প্যালেস্টাইন। পাকিস্তানের কারণ সবারই প্রায় জানা। গতবছর দক্ষিণ কোরিয়ার সঙ্গে বেশ কিছু অস্ত্রচুক্তি বাতিল করেছে ভারত। ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর সঙ্গে বৈঠকের পরপরই প্যালেস্টিনীয়দের মধ্যে মোদির বিরুদ্ধে ক্ষোভ বৃদ্ধি পায়।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.