সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক : মোজাম্বিক ও জিম্বাবোয়েতে সাইক্লোন ইদাইয়ের ফলে কমপক্ষে ১২৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। নিখোঁজ আরও অনেকে। রবিবার থেকে শুরু হওয়া বিধ্বংসী এই ঘূর্ণিঝড়ের তাণ্ডবে রাস্তায় উলটে পড়েছে গাছ, ছিঁড়ে গিয়েছে বিদ্যুৎ ও টেলিফোনের তার। হড়পা বান ও প্রবল হাওয়ার ফলে বন্ধ এয়ারপোর্টও। শুধু তাই নয়, এই সাইক্লোনের জেরে একটি এলাকা থেকে অন্য এলাকার যান চলাচল ও ফোনে যোগাযোগও বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে।
মোজাম্বিক প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, এখনও পর্যন্ত ইদাইয়ের ফলে দেশের মধ্যবর্তী এলাকায় ৬২ জনের মৃত্যু হয়েছে। অন্যদিকে জিম্বাবোয়ের পূর্বদিকের এলাকাগুলোতে শুক্রবার ও শনিবার মিলিয়ে ৬৫ জনের প্রাণ গিয়েছে। এপ্রসঙ্গে মোজাম্বিকের পরিবেশমন্ত্রী বলেন, “শুধুমাত্র বেইরা ও ডন্ডো জেলা থেকে এখনও পর্যন্ত ৬২ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। আমরা আশঙ্কা করছি দেশের বিভিন্ন জায়গা থেকে বিস্তারিত খবর আসার পর এই সংখ্যাটা আরও বাড়বে। তবে আমি মনে করি এই ঘটনা মোজাম্বিকের ইতিহাসে আগে কোনওদিন হয়নি। এখনও পর্যন্ত এটাই সবচেয়ে বড় প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের ঘটনা। সবকিছু ধ্বংস হয়ে গেছে। বর্তমানে আমাদের কাছে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল সাধারণ মানুষের প্রাণ রক্ষা করা।”
[ভিডিও গেম! চোখে বিস্ময় নিয়েই মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ল ক্রাইস্টচার্চের খুদে]
গত বৃহস্পতিবার মোজাম্বিকের বেইরা শহরে প্রথম আছড়ে পড়ে ইদাই। সেখানে ধ্বংসলীলা চালানোর গতিপথ পালটে তা প্রবেশ করে জিম্বাবোয়ে ও মালাউইয়ে। ইতিমধ্যেই এই সাইক্লোনের দাপটে বাড়ি, স্কুল, হাসপাতাল, ও পুলিশ স্টেশন সব ধ্বংস হয়ে গিয়েছে বেইরা শহরে। প্রচণ্ড ঝোড়ো হাওয়া ও প্রবল বর্ষণে তৈরি হয়েছে বন্যা পরিস্থিতি। অনেক নিচু এলাকা চলে গেছে জলের তলায়। এর ফলে আশ্রয়হীন হয়েছেন লক্ষ লক্ষ মানুষ। সবকিছু ফেলে বাঁচার তাগিদে নিরাপদ আশ্রয়ের খোঁজে অন্যত্র ঠাঁই নিয়েছেন তাঁরা। জিম্বাবোয়ে, মোজাম্বিক ও মালাউইয়ে মিলিয়ে এখনও পর্যন্ত দেড় কোটি মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। তবে সব থেকে বেশি ক্ষতি হয়েছে মোজাম্বিকে৷ সেখানকার অধিকাংশ ঘরবাড়িই নিশ্চিহ্ন হয়ে গিয়েছে ভয়াবহ ইদাইয়ের প্রকোপে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.